যা বলবেন না (২)
লিখেছেন লিখেছেন বঙ্গবীর ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০৪:৫১ রাত
ঈশ্বর শব্দটি বাংলা ভাষাবাসী সকল ধর্মের লোক কম বেশি ব্যবহার করে। ঈশ্বর শব্দের সরল অর্থ প্রভু, কর্তা, অধিপতি, অধিকারী প্রভৃতি।ধর্মৗয় ভাব গাম্বীর্যে কোন কিছু বিবেচনা না করে ব্যবহার করি। বাস্তবিক দিক ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে শব্দটির মৌলিকত্ব থাকে না।যেমন বভেশ্বর, ভারতেশ্বর, দিল্লীশ্বর, প্রাণেশ্বর, অখিলেশ্বর, নিখিলেশ্বর, সর্বেশ্বর, পরমেশ্বর ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যক্তির উপাধি। এগুলোর আবার স্ত্রীলিঙ্গও হয়। স্বয়ং ঈশ্বর শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ ঈশ্বরী।তাছাড়া হিন্দু ধর্মে শিবলিঙ্গকেও পরমেশ্বর হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। শিবলিঙ্গ পূজার সময় চক্ষুমুদ্রিত অবস্থায় পূজক (বিশেষ করে বিধবা নারী)এই শ্লোকটি পাঠ করে।
ঐং প্রমত্তং শক্তি সংযুক্তং বাণাখ্যাঞ্চ মহাপ্রভং
কামবাণান্বিত দেবং সংসার দহনক্ষমং
শৃঙ্গারাদিরসোল্লাসং বাণাখ্যাঞ্চ পরমেশ্বরম।।
অর্থ – এ লিঙ্গ মাতাল সদৃশ, মহাশক্তিশালী, মহাপ্রভাযুক্ত ও বাণ নামে আখ্যাত। গোটা সংসার দহনে সক্ষম, এটা এমনই কামবাণে পরিপূর্ণ, শৃঙ্গারাদিরসে উল্লাসিত এ বাণ আখ্যা প্রাপ্ত (লিঙ্গ)ই পরমেশ্বর।উল্লেখ্য শিবলিঙ্গকে বানলিঙ্গ বা বানেশ্বরশিবলিঙ্গ ও বলা হয়ে থাকে। তাই বিবেচনার ভার পাঠকের হাতে ছেড়ে দিয়ে সমাপ্ত করলাম।
বিঃদ্রঃ যা বলা যাবে না (১) এ (যিশু) শব্দটির জায়গায় (গড্) হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ভুল ধরে দেওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
১১৩০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন