রনি হতে সাধান
লিখেছেন লিখেছেন বঙ্গবীর ১০ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০৩:১১ রাত
নাম তার গোলাম মওলা রনি। ছাত্র জীবন থেকে বাম রাজনীতির ঘোর সমর্থক ও তখোর রাজনীতিক হওয়ার ফলে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন। তিনি আওয়ামী সার্টিফিকেটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০০৮ সালে, তাও তিন উদ্দীনের মহানুভবতায়। আসলে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিক দুই ধরনের। একাংশ উগ্র ও কট্টরপন্থী; যারা ধর্ম সহ্য করতে পারে না।এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিচেনা ও জনমতের তোয়াক্কা না করেই আদর্শিক চরিত্রটা প্রকাশ করে ফেলে তথা প্রকাশ্যেই ধর্মের বিরোধিতা করে। অন্য অংশ ধর্মের লেবাস পরিধান করে ও মসজিদ মন্দিরে যাতায়ত করে, বিভিন্ন অনুদান দেয়, ভদ্রতার মুখোশে জনসমাজে সুশীল হতে চায়। ইনি হলেন শেষ দলের মানুষ। সু্ন্দর সুন্দর কথা বলেন, রসিয়ে রসিয়ে লেখেন, গুরুগম্ভীর উপদেশ দেন, নীতিকথার ঝাপি নিয়ে ফেরি করছেন। সাংবাদিক পেটানো থেকে ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ স্কুলের শ্রেণিকক্ষকে দলীয় ক্যাডারের আখড়ায় পরিণত করা পর্যন্ত এমন কোন গর্হিত কাজ নেই যা তিনি করেননি। এসব কলঙ্কতিলক তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর থেকে মুক্তির জন্য প্রথমে কাদের মোল্লার চিরকুট ব্যবহার করে জামাতি ভাইদের সুনজরে আসেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে তিনি ডানব্লকের লোকদের সহানুভুতি ও এই স্বীকৃতি চাচ্ছেন যে, এই ভালো লোকটি নিজ দলে মজলুম।লোকে তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করছে। সাইদীর ইমতিহান কলামের মাধ্যমে তার এই আশার ষোলকলায় পুর্ণ হয়েছে। এখন তার অবস্থা এই যে, তারেক রহমানকে প্রশংসার ছলে নিন্দার বিষাক্ত তীরে বধ, চামচার ইতিহাস বর্ণনা দিয়ে হাসিনা সরকারকে সতর্ক করা, বাংলাদেশ প্রতিদিনে জয়কে রাজনীতির কোশল শিক্ষা দিয়ে তার সুদৃষ্টি অর্জন। জয় মামাকে নিয়ে যত ভয় বলে জয়ের কল্যাণকামী হওয়া। আবার হাসিনার চীন সফরের বিরোধীতা করে খালেদা তথা বিরোধী দলের মনোরনজন।
যিনি ১৫ আগস্ট শেখমুজিব নিহত হওয়ার পর বেতার কেন্দ্রে গিয়ে হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলানো এবং মোস্তাক আহমদকে প্রয়োজনীয় পরামরশ দান এবং শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যুক, গণমাধ্যমের কণ্টরোধক, প্রতিহিংসুক, রাজনৈতিক এতিম হাসানুল হক ইনুকে খোলা চিঠিতে শেখ মুজিবের চেয়ে জনপ্রিয় মোল্লা ওমরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ, হেমিলনের বাশিওয়ালার চেয়ে মোহসৃষ্টিকারী হিসেবে চিত্রায়িত করলেন।
আমরা জানি মতিয়া চৌধুরী শেখ মুজিব থেকে ধরে ড্যান মজিনা, ড. ইউনুস, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সহ দেশের বিশিষ্ট এমন কোন ব্যক্তি নেই যাকে তিনি কটুক্তি দ্বারা আঘাত করেনি। প্রতিটি শ্বাসে-নিঃশ্বাসে খালেদা নিজামীকে তো গালি দিচ্ছেই। ইতিহাস খ্যাত হিন্দা চরিত্রের মতিয়াকে আজ তিনি কৃষি কন্যা মতিয়া চৌধুরীর অজানা উপখ্যানে সালেহা, আবেদা তথা রাবেয়ায়ে বছরীয়ায়ে বাঙ্গালিয়া বানিয়ে দিয়ে ডিগবাজিতে এরশাদকে হার মানিয়েছেন। আসলে পানির আকার এবং রং এর যে অবস্থা এই দুই ব্যক্তির অবস্থাও একই। তাই বলি এরশাদ এ্যান্ড রনি হ্যাজ নো ইথিকস্। পার্থক্য এরশাদ জান বাচানোর জন্য ডিগবাজী করে, রনি করে স্বার্থের জন্য। এরশাদের কারণে কেউ বিভ্রান্ত হবে না কিন্তু রনির কারণে নয়াদিগন্তের পাঠকরা চরম বিভ্রান্ততে নিমজ্জিত। কারণ তিনি একদিকে দক্ষ চানক্যবিদ অন্যদিকে অভিজ্ঞ বহুরুপী চামচা। সুতরাং রনি হতে হুশিয়ার! সাবধান!
বিষয়: বিবিধ
১২৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতু দিন কুতায় ছিলা দুস্ত ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন