সেই যুগ এই যুগ

লিখেছেন লিখেছেন সাহসী বালক ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:০৫:০৩ দুপুর

আমরা কে না জানি ১৪০০ বছরের সেই আগের কথা।কে না জানি সেই অন্ধকার যুগের দূর্নীতির ও অনাচারের কথা।বিভেদ-বিচ্ছেদ,অনাচার-অত্যাচার,অবিচার,ব্যভিচার,সুদ খাওয়া,ঘুষ খাওয়া,অগ্নি পূজা,মূর্তি পূজা,পাথর পূজা ছিল সে যুগের মানুষের স্বভাব।চুরি ডাকাতি ছিল সে যুগের প্রথা, নারী-শিশু কে জ্যান্ত কবর দেওয়া ছিল সে যুগের রীতি।এই দূর্নীতি অনাচারের মাথায় কুঠারাঘাত করতে এল ইসলাম।

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (দঃ)এ তার বিদায় হজ্জের বাণীতে বলেছিলেন"জানিও অন্ধকার যুগের প্রত্যেকটি অনুষ্টান আমার পদতলে দলিত ও মথিত হলো এবং অন্ধকার যুগের রক্তের দাবী আজ হতে বন্ধ হলো।"

তিনি উদাত্তকন্ঠে আরো বলেছিলেন "সত্য এসেছে,অসত্য বিদূরীত হয়েছে।"সত্যি সব কিছু দুর হয়ে গেল।অথচ আজ এই শতাব্দীতে এসে আমরা তার অনেকটা আবার খুজে পাই।আমরা খুজে পাই সমাজে রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি-অনাচার,শাসকদের শোষক,অবৈদ রক্তপাত,সুদ খাওয়া,ঘুষ খাওয়া,মদ খাওয়া,গাজা খাওয়া,চুরি-ডাকাতি,নারীর অমার্যদা,ধনী নারীদের বেহায়া পনা আর জুয়া খেলা।

কিন্ত কেন?

আমরা কি ভুলে গেলাম?

=ইসলাম শান্তির ধর্ম

=ইসলাম প্রগতির ধর্ম

=ইসলাম শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধর্ম

=ইসলাম সর্ব যুগের ধর্ম

=ইসলাম সর্ব ধর্মের ধর্ম

=ইসলাম সমস্ত মানবগোষ্ঠির ধর্ম

= ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম

যার সাক্ষ্য কোরআন এ দেয়।"ইন্নাদ্দীনা এন্দাল্লাহেল ইসলাম"অর্থাং নিশ্চয়ই ইসলাম আল্লাহর মোননীত ধর্ম।

পরিশেষে আহবান জানাই এই ভাবে সমাজে সুদ খুর,ঘুষ খুর,অন্যায়-ভ্যাবিচার চলতে থাকলে অচিরে এই সমাজ কিংবা দেশ ধংশ হয়ে যাবে।তাই আসুন আমরা সব অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই দেশ ও জাতি কে বাচাই।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

274984
১৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৩
নূর আল আমিন লিখেছেন : একটা সমাজকে ধ্বংসের জন্য একফোটা অশ্লীলতাই যথেষ্ট
275033
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

সমাজ ভালো রাখার, ভালো করার ফরমুলা চান??

প্রতি জুমআতেই সেটা খুতবায় বলা হয় -

إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ
وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَىٰ
وَيَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ وَالْبَغْيِ
ۚ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

আল্লাহতায়ালা আদেশ করেন-
ন্যায়-নীতি(ন্যায়বিচার), পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদের অধিকার নিশ্চিত করার
এবং তিনি নিষেধ করেন
অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি(মন্দকাজ) এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে-

তিনি তোমাদের এসব উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো!
সুরা নাহল, আয়াত ৯০


কিন্তু খতীব শুধু পড়েই যান, মুসল্লীও আরামে চোখ বুঁজে ঝিমান- শোনেন না বা শুনলেও বোঝেননা-
তাই কারোরই সচেতনতা সৃষ্টি হয়না এবং সমাজেও এ খুতবা ক্রিয়াশীল হয়না

সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
275076
১৬ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৭
সাহসী বালক লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File