এ যুগের ছেলে/মেয়েরা কয়জনে...

লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৫ আগস্ট, ২০১৬, ০২:৪৪:২৩ দুপুর

পড়াশুনার পাশাপাশি মক্তবে গিয়ে আরবী শিখেছে, কিংবা বাসায় কোরআন, নামায পড়া শিখে? এ যুগে বাচ্চার বয়স ৩ হতে না হতেই বিশাল সাইজের এক ব্যাগ নিয়ে গাদা গাদা বই নিয়ে কিন্ডার গার্টেন থেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পাঠানো হয়! কিন্তু সেই ছোটকাল থেকেই যে তাকে আরবী পড়া শেখাতে হবে তা আর শেখায় না এ যুগের বাবা মা’রা!

অথচ আমাদের সময়ে আমরা সেই ভোরে উঠে মক্তবে গিয়েছি, আরবী পড়া শেষ করে বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে স্কুলে গেছি, স্কুল থেকে ফিরে খেলাধুলা করেছি! বয়স বেড়েছে বাসায় মাস্টারনী দাদী রেখে কোরআন পড়া শেখানো হয়েছে আর তাই তো ক্লাস থ্রিতে বসেই কোরআন খতম করতে পেরেছি! সেই ছোটবেলা থেকেই নামায পড়ে আসছি!

আবার স্কুল করে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দৌড় দিয়েছি মাঠে এক্কা-দোক্কা, লুকোচুরি, দাঁড়িয়াবান্দা, গোল্লাছুট , ডাংগুলি , এলোন্টি-লন্ঠন, ব্যাডমিন্টন আরো কত খেলা খেলেছি! আর আজকালকার বাচ্চারা মুপাইল টিপে, কম্পিউটারে বসে গেমস খেলে , চার দেয়ালে বন্দী থাকে! বয়স বাড়লে এফবিতে আর গুগল এইতো আর কি!

আমরা পড়াশুনার পাশাপাশি, খেলাধুলা, কালচারাল প্রোগ্রাম সব কিছুতেই পার্টিসিপেট করেছি, একাধারে ভালো রেজাল্ট করেছি, বিতর্ক থেকে উপস্থাপনা, লেখালেখি,আবৃতি , গিটার বাজানো , শখের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা সবকিছুই করেছি, বাবা- মা’র সহযোগিতা পেয়েছি!

কিন্তু এখনকার বাচ্চারা না এসব এ আগ্রহী না তাদের বাবা মা’রা তাদের সময় দিয়ে সবকিছুতে এক্সপার্ট করার চিন্তা করে? এখনকার বাচ্চারা যেন জন্ম এর পর থেকেই অই মুপাইল আর কম্পিউটারে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে!!

বিষয়: বিবিধ

১৪৮০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375915
০৫ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০৩:২৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মোবাইল বানানটা একটু ঠিক করে দেন। নাকি এটা বিদ্রুপ করে লিখেছেন? এখনকার বাচ্চারা যে খেলবে মাঠ আছে বলেন? আমার ছেলেবেলা কেটেছে ঢাকার পাশের একটা জেলা শহরে সেখানেও এখন খেলার মাঠ নেই। আর মোবাইল, ফেসবুক এই জিনিসগুলি এমনিতেও কেন জানি বাচ্চাদের মস্তিষ্ক গ্রাস করে নিয়েছে। আর বাবা-মায়ের সময় কোথায় বাচ্চাকে নিয়ে কথা বলার মত? বাবা-মা দুজনই টাকার জন্য চাকরী করেন বাচ্চারা মূলত মানুষ হয় কাজের মহিলার কাছে। একজন কাজের মহিলা এই বাচ্চাটাকে কি শিখাবে যেখানে সে নিজেই সারাদিন মালিক-মালকিন না থাকাকালীন সময়টা স্টার জলসা দেখে শেষ করে, বেগম সাহেবার ফোনে মুখ বাঁকা করে বাচ্চাটার জন্য কিছু রান্না করে তাকে খাইয়ে, গোসল করিয়ে আবার টিভি নিয়ে বসে? আমি কিছুদিন আগে ব্যাংকে যখন ইন্টার্ণি করছিলাম আমার কাজ ছিল মণি আপুর ডেস্কে। উনি আমাকে অন্য কোথায় যেতে দিতেন না। তার মাত্র ১ বছরের বয়সের বাচ্চা। সেই বাচ্চাকে কাজের মহিলার কাছে রেখে সারাদিন উনি ব্যাংকে ডিউটি করেন, সেই সকালে ঢোকেন আর ছুটির পর বাসায় যেতে যেতে রাত। উনার হাজবেন্ড বাংলাদেশ বিমানে জব করেন প্রচুর টাকা বেতন পান।
এই চিত্র এখন সব ঘরেই। এরা একটু বড় হবার সাথে সাথে নামী স্কুলে ভর্তি হবার জন্য ভর্তিযুদ্ধে নেমে যাবে। আমি আমার বাসাতেই নীচ তলায় ছোট একটা ছেলেকে পড়াতাম, বাচ্চাটা সেই ভোর বেলায় উঠেই বাসায় টিচারের কাছে তারপর স্কুল, এরপর কোচিং, তারপর আবারো বাসায় রাত ১১ টা ১২টা পর্যন্ত টিচারের কাছে পড়ে। সন্তান এ প্লাস না পেলে ভাই-বোন, বান্ধবীদের কাছে সন্মান থাকবেনা তাই এ অবস্হা। তাই কোরান-হাদিস শেখার সময় কই? যাইহোক এসব বলে লাভ নেই। হতাশা প্রকাশ করে তো আর কিছু করতে পারবেননা। আপনার কথা যে বুঝবে সেও তা আমল করবেনা তাই নিজের হাতে যতটুকু সামর্থ্য আছে, আপনি সেটাই করুন। আপনার নিজের সন্তানকে যেন এমন সমস্যায় পরতে না হয়, সে দিকে নজর দিন।
375933
০৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ১১:৪৭
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
375934
০৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০১:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সবাই এখন দুনিয়ার মোহে। ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
375956
০৬ আগস্ট ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৬
অন্য চোখে লিখেছেন : উমায়রার আম্মুর জন্য সাদা ছোট একটা মোবাইল পাঠিয়েছি রাফ ইউজ এর জন্য। সেটাই এখন উমায়রা খেলনা, টেকনলজি একটা দারুণ প্রভাব ফেলে, তবে আরবী শেখা হবেনা সেই ভয়ে এবং পাশেই যেহেতু মোটামুটি ভালো মাদ্রাসা আছে তায় সেখানেই দিয়েছি বড়জন উমামাকে, তায় নতুন করে কোরান শিক্ষা নিয়ে ভাবতে হচ্ছেনা। টেকনলজি বড় হলেও শিখতে পারবে, কিন্তু ছোটকালে কোরান ধরাতে না পারলে প্রজন সেকুলার হবেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File