আমরা করি দান এরা করে বিক্রি !!!
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ১৮ জুন, ২০১৬, ১১:৪৯:৪৭ সকাল
এটা প্রথম দেখেছিলাম ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার লঞ্চে কুরবানী ঈদের পর! দেখি পাতিলে পাতিল লঞ্চে! জানতে পারলাম এগুলতে মাংস আছে! কুরবানী ঈদে অনেকেই ( নিম্নবিত্ত ) ঢাকায় আসে, এরপর মাংস টুকায় আর তারপর তা নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে!! এরপর দিনাজপুরেও কুরবানীর সময় যারা মাংস নিতে আসে, তাদের মধ্যেই কামড়া- কামড়িতে একজন আর একজনের তথ্য ফাঁস করে বলে- মাংস নিয়ে বিক্রি করে!!
এরপর কয়েকবার আমরা কম্বল বিতরণ করেছি পারিবারিক ভাবে!! সে সময় যারা পায়নি ( আমরা প্রতি শুকবার ভিক্ষা করতে আসা ফকিরদের মাঝে বিলিয়েছিলাম) তারা পরের বার ওদের ই এলাকার মানুষের কথা বলে- বলে অমুক কে আর দিয়েন না আমগো দেন, ওরা অনেক জায়গা থেকে কম্বল আনে, এরপর বিক্রি করে!! এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি আরো অনেকের কাছেই এই তথ্য পাই!! এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কম্বল কালেকশন করে এরপর বিক্রি করে!
প্রতি শুক্রবার আসা সেইসব ফকিরদের অনেকেই এসে বলে- নাত্নির জন্য জামা/পায়জামা/ ওড়না দেন!! আমরা প্রায় প্রায় পুরনো কাপড় দেয়!! লাস্ট কালকে আমি ৬ সেট জামা দুজন ফকির কে দেই! ( ঈদ ভেবেই ৪টা জামা একদম নতুন ই দেই যেগুলো বেশি পড়িনি ) ! এর মধ্যে একজন কে দিতে গিয়ে অন্যজন দেখে ফেলে এবং বলে- মা ও তো কাপড় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে!! থমকিত হয়ে যাই!!!
যাক দানুয়া জিনিস নিয়ে যেমন ক্যা কু করতে হয় না, তেমনি যা দান করা হয় তা নিয়েও ক্যা কু করতে হয় না কিন্তু ভাবছি-- যে উদ্দেশে দেই- তা সফল হয় না!! ভাবি- ওদের দরকার কিন্তু ওরা আবার সেটার।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারণ ধোকাবাজীর অভাব নেই। ফকিরেরা ভিক্ষা করে তাও আবার সূদের উপর লাগায়।
@রিদওয়ান কবির সবুজ-
যথার্থ বলেছেন, সহমত
**
কুরবানীর গোস্ত সংরক্ষণের জন্য ওদের ঘরে তো ফ্রীজ নেই!
তাছাড়া - অনেকদিন ধরে গোস্ত খাওয়ায় ওদের প্রয়োজন নেই!
গোস্ত বিক্রি করে হয়তো কিছুদিনের অন্য খরচের সংস্থান হবে!
প্রকৃত অবস্থা বুঝলে গোস্ত বা কাপড় বিক্রি করার কারণে ওদেরকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই!
যে উদ্দেশে দেই- তা সফল হয় না!! একথা ঠিক নয়! দানকারী তার সওয়াব পূরাই পাবেন!
জাযাকুমুল্লাহ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন