হুপুড়চুপুড় করে খাবেন না, আমরা যেটা করি এবং মেয়েদের জিগাইবেন না!
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৮ জুন, ২০১৬, ১০:২০:৩৯ সকাল
রোজা এলেই এক শ্রেনীর মানুষ সেহরীতে/ ইফতারীতে হুপুড়চুপুড় করে খায়!! সে কি খাওয়ার বাহার! সেসব খাবারের নাম ও সেই সেই!! বড় বাপের বড় পোলা/ খাসির কল্লা/ মুরগির গিলা/ জিল্পির প্যাচ/ ভুনাভুনি/ বাপ রে বাপ কি সব খাবার!! কারো কারো পেটে সহ্য হয় ও বটে! আর কেউ খাইয়া মরে জ্বালায়! আমি বলি কি-- এবারের পবিত্র রমজান মাস জুড়ে থাকবে প্রচন্ড গরম। তাই সারাদিন সিয়াম সাধনার পর শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে ইফতারীতে বেছে নিতে পারেন সেই সকল খাবার যেগুলো আপনাকে পানিশুন্যতা থেকে দূরে রাখবে। যেমন- তরমুজ/ শশা/ জাম/ আনারস আর বেশি করে করে ফল খান, সাথে শরবত! বলবেন- ফলে ফরমালিন কিন্তু ফল খাওয়া তো আমরা তবু বাদ দেইনি!! এর থেকে আরো ভালো যদি এক মুঠ ভাত / পান্তা ভাত খান ! ভাজাপোড়া বেশি না খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান ! আর হুপুড়চুপুড় খাওয়ার আগে কিছু মানুষের কথা ভাবুন যারা খেতে পারছে না?
হ আমরা যা করি- আমরা যে পাড়াতে থাকি ( জায়গাটা আমাদের, মানে পাড়াটা) সেখানে আত্মীয়- স্বজন ও প্রতেবেশী মিলে ৩২টা পরিবার থাকে! আমরা একদম প্রথম রোজা থেকে ২/৩টা পরিবারে রোজ ইফতারী দেই, এভাবে ৩২টা পরিবারে এক মাসের মধ্যে দেয়া হয়ে যায়! এদের মধ্যে অনেকেই নিম্নবিত্ত / মধ্যবিত্ত এবং সচ্ছল !! তার মধ্যে ২টা পরিবার যারা আমাদের আশ্রিত আমাদের পাশের বাসাতে থাকে, তাদের প্রতিদিন ইফতারী দেই! এভাবে আত্মীয়- স্বজন , প্রতিবেশীদের সাথে পারস্পরিক সৌহার্দ যেমন বজায় থাকে তেমনি একজন রোজাদারকে প্রতিদিন ইফতারী ও করানো হয়ে যায় ( কারন অইসব বাসায় কেউ না কেউ রোজা থাকে এবং আমাদের দেয়া ইফতারী নিশ্চয়ই খায় ) ! শুধু এবার আমার মামনী অসুস্থ থাকাতে এই আয়োজনে আমরা যেতে পারছি না! কিন্তু অই দুই পরিবারের এক পরিবারে আমরা ডাল/ বুট/ বেসন কিনে দিয়েছি! এছাড়াও প্রায় প্রায় আসা ফকিরদের ও আমরা ইফতারী দিয়ে থাকি!
তাই বলছিলাম- আপনি ও ভেবে দেখুন হুপুড়চুপুড় না খেয়ে একজন রোজাদারকে প্রতিদিন একটা খেজুর, একটা বড়া একটু ঘুগনি , এক মুঠ মুড়ি দিয়ে ইফতারী করাতে পারেন কি না?
আর হ্যা আগেও বলেছিলাম- মেয়েদের জিগাইবেন না রোজা আছো কি না? জানেন ই তো প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েরা সব রোজা রাখতে পারে না!! রোজা আছো কি না এই প্রশ্নে তাদের বিব্রত করা থেকে বিরত থাকুন! কারন সবাই ঈপ্সি না- যে ঠাস কইরা আপ্নের করা বেহুদা প্রশ্নে বইলা দেবে- না নেই আমার পিরিয়ড চলছে! (যদি সেই টাইমে জিগাই থাকেন ) !!
বিষয়: বিবিধ
১২২৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর শেষ বিষয়টা সুযোগ নিয়ে অনেক মেয়ে আজকাল পুরা রমজানেই রোজা রাখছেনা সেটাও সত্য।
হি হি হি
সুন্দর বলেছেন,
তবে খাদকদের কানে কোন কথা ই ঢুকবে না বোধহয়।
তবে মেয়েদের কে রোজার কথা জিজ্ঞেস করা যেমন বিব্রতকর তেমনি,
রোজা রেখে কোন মেয়ে ন্যাকামো দেখালে, সকাল ১০ টার সময়, " হুজুর মাগরিবের আজান দেয় না ক্রে। " স্টেটাস আপলোডাইলে সেটা ও বিরক্তিকর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন