বাচ্চাদের করা বিব্রতকর প্রশ্নকে এড়িয়ে যাবেন না......।।

লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১২:৫২ দুপুর

কিংবা ধমক দিয়ে এমন কিছু বলবেন না যাতে তাদের সেই বিষয়ে আরো বেশি আগ্রহের সৃষ্টি হয়! এই যেমন ধরুন, টিভি দেখতে বসেছেন সে সময় স্যানোরার অ্যাড দেখালো আর আপনার বাচ্চা তার বাচ্চাসুলভ অভ্যাসে জিজ্ঞেস করলো- এটা কি? আপনি বিব্রত না হয়ে এবং বিব্রত হলেও সেটা তাকে বুঝতে না দিয়ে বলুন- বাবা/ মা, এটা বড়দের ন্যাপি! Nappy for adults! দেখবেন কিচ্ছা শেষ!

ধরুন বাচ্চার সাথে টিভি দেখছেন সে সময় পিলের অ্যাড চলে আসলো আর বাচ্চা জিজ্ঞেস করলো - এটা কিসের ঔষধ ? আপনি বিব্রত না হয়ে বা তাকে ধমক না দিয়ে বলুন বাবা/ মা, এটা ঘুমের ঔষধ বা জ্বরের ঔষধ!

এতে করে হবে কি, আপনি নিজেও বিব্রত হওয়া থেকে প্রশান্তি পাবেন এবং বাচ্চার আগ্রহ ও মিটে যাবে! কিন্তু প্রব হলো- অনেকেই সেটা করে না, তারা ধমকে- ধামকে বাচ্চাদের বলে- এত কিছু জানতে হবে না বা এড়িয়ে যায়, চ্যানেল পাল্টায়! একটা কথা কি We have to educate them and I know it's embarrassing

এরকম বিভিন্ন বিষয়ে বাচ্চাদের করা প্রশ্নগুলোকে ধমকে ধামকে চুপ করিয়ে দিয়ে কিংবা এড়িয়ে না গিয়ে কৌশলে এমনভাবে বলুন যাতে তারাও সন্তুষ্ট হয় আর প্রশ্ন করতে না পারে!

আমার স্পস্ট মনে আছে, আমি তখন নাইন এ, খালার বাসায় ছিলাম, রাতে টিভি দেখতে বসে হুট করে স্যানোরার অ্যাড শুরু হয়, আর পাশে থাকা ফাইভ পড়ুয়া কাজিন বলে ওঠে ওর মা’কে- আম্মু এটা কি? আমার খালা কোনরকম বিব্রত না হয়ে বলে - ওটা ঘর মোছার কাপড় বাবা! আমি বিব্রত হতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে হেসে মরি! কিন্তু পরে বুঝি- খালা দারুন একটা কাজ করেছেন! সেই থ্রি পড়ুয়া ভাই এর আগ্রহ এবং তার বিব্রতকর প্রশ্নের উত্তর বেশ ভালো ভাবেই দিয়েছেন!

অনেকের বিব্রত হওয়া শুনে লিখলাম, আর একটা ব্যাপার যেহেতু আমাদের প্রয়োজনেই এই বিজ্ঞাপনগুলোর অ্যাড হয় এবং এটা আমাদের দেখতে হয় সো বিষয়টা সেভাবেই বাচ্চাদের সাথে ডিল করুন!

বিষয়: বিবিধ

১৪০৩ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

340337
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! সবার আগে ফাস্ট হয়ে নেই পরে মন্তব্য।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
281817
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : হাহহা ধন্যবাদ !
340345
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : একটা স্মৃতি মনে পরে গেল। আমার ছোটবেলাটা কেটেছে একটা সরকারি হাসপাতালের কোয়ার্টারে। নারী-পুরুষদের জন্মবিরতিকরণ নানান প্রোডাক্টের বড় বড় বিলবোর্ড ঝুলত সেখানে। বিলবোর্ডে দেখা জন্মবিরতিকরণ প্রোডাক্টের বিষয় দেখে আমি কৌতুহলবশত আমার ভাইয়াকে জিঙ্গেস করেছিলাম, এটা কি? কি করে? আমার ভাই আমাকে বিশাল একটা ধমক দিয়েছিল। বেয়াদব কার সাথে মিশিস তুই? আমি তো থ!! কেন যে ধমক খেলাম আর কি এমন খারাপ কিছু জিঙ্গাসা করলাম তাও বুঝলাম না। শুধু এটুকু বুঝেছিলাম খারাপ কিছু হবে তাই এমন আচরণ। যেহেতু হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকতাম আর সবারই বাবা-মা ডাক্তার-নার্স ইত্যাদি পেশার সাথে জড়িত ছিল তাই মেডিকেল বই পুস্তক ছিল আমাদের কাছে খুব সহজলভ্য। আবার নার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর মেয়েরা আমাদের খুব আদর করত। আমি আর আমার ফ্রেন্ড দুজন লেগে পরলাম রহস্য উম্নোচনে। মেডিকেল বই-পুস্তক ঘেটে ঘটনা বের করে ফেললাম। মনে আছে সব জানার পর আমি অবাক দৃষ্টিতে আমার ফ্রেন্ডের দিক তাকাচ্ছিলাম আর ও আমার দিক হা করে তাকিয়ে ছিল। আমার ফাস্ট এক্সপ্রেশনটা ছিল: মানুষ বিয়ে করে এসব করে!!! কিভাবে! আমি জীবনেও বিয়ে করবোনা, আমার ফ্রেন্ডও একই কথা বলেছিল। বয়ঃসন্ধিকালে অামাদের দেশে ছেলে-মেয়েদেরকে বিশেষত মেয়েদেরকে অনেক বড় সমস্যায় পরতে হয়। কিছু বিষয় আমাদের দেশে অতিরিক্ত জটিল করে তোলা হয়েছে যা কাম্য ছিলনা। মাসিকের সমস্যা নিয়ে একটা মেয়েকে কেন লুকোচুরি করতে হবে? এটা কি নিষিদ্ধ কিছু? এটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া কিন্তু আমাদের সমাজ, পরিবার বিষয়গুলোকে এতটাই জটিল করে তোলে একটা মেয়েকে এতটাই মানষিক নির্যাতনের মাঝে রাখে যে, একটা মেয়ে ব্যাপারটাকে অস্বাভাবিক করে ফেলে। পুরুষদের কাছে ব্যাপারটা আবার মজার খোড়াক করে রাখা হয়। কতটা জঘন্য মানষিকতা হলে এটা করা যায় জানিনা। ইসলাম এভাবে শিখায়নি। হাদিস, ইতিহাস ইত্যাদির ভিত্তিতে তৎকালীন আরবের অবস্হা মূল্যায়ন করলে দেখা যায় ব্যাপারটা কোন লুকানো-লজ্জাকর কোনটাই ছিলনা। মাসিক এর সাথে সাথে নারীদের ইবাদত-বন্দেগীর ব্যাপারগুলো খুব ওতপ্রোতভাবে জড়িত তাই পরিবার তথা বাবা-মা, ভাই-বোন ও সমাজ তাকে এসব ব্যাপারে ছোটবেলা থেকেই প্রয়োজনীয় শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান করত। বাবার কাছে, ভাইয়ের কাছে লুকোচুরি করতে হতনা, বাবা-ভাইয়ের কাছে জবাবদিহী করতে হতনা, কেন সে রোজা রাখলনা? কেন সে নামাজ পড়ছেনা? এসব খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। আর যেহেতু ইসলাম বাবা-মাকে ১০ বছর বয়সেই নামাজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা-দীক্ষা সম্পন্ন করতে বলেছে তাই ছেলে-মেয়েদের এসব বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়া হত, তাদের কর্তব্য বুঝিয়ে দেয়া হত। একটা পজিটিভ দিক আমাদের দেশের কওমী মাদ্রাসার নীচের দিকের ক্লাসগুলোতে এখনো এসব বিষয়ে কম বয়সী ছেলে-মেয়েদেরকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। আরবে এখনো এই বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিক কারণ দ্বীনি জ্ঞানের প্রবাহ। কিন্তু আমাদের দেশ, না এরা পুরো মডার্ণ, না ইসলামিক, এখন তো নিজের সংস্কৃতি বলতেও কিছু নেই। এরা পশ্চিমা ও ভারতীয় সাংষ্কৃতিক গোলাম কিন্তু ইসলাম মানতে রাজিনা আবার ছাড়তেও রাজিনা। মিশ্র কালচার। না পারে পশ্চিমা প্রভাব হজম করতে , না পারে ছাড়তে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
281818
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : হু ভাই কিছু বিষয়কে আমরাই জটিল করে তুলি!!! অথচ এগুলো ইচ্ছে করলে খুব সহজেই হ্যান্ডল করা যায়! ভালো থাকবেন!

Happy
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
281825
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি ভাই কিভাবে বুঝলেন? আপুও তো হতে পারি Tongue
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৭
281882
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার লিঙ্গ নিয়ে রহস্যয়েই রয়ে গেলাম। ভাই বললো নাকি আপু বলবো? @ঘুম
340353
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : হুম ভালো পরামর্শ। ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
281819
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : ভালো থাকবেন! Happy
340364
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪১
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : হুম ভালো পরামর্শ। ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
281820
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : ভালো থাকবেন! Happy
340410
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধমক দেওয়া বা এড়িয়ে যাওয়া বিকৃত কেীতুহল এর সৃষ্টি করে। অথচ এভাবে শিক্ষা দেওয়া হলে সেটা কাজেও আসে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
281821
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : হু ভাইয়া! ভালো থাকবেন! Happy
340504
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : হায় হায়!! মিথ্যা বলার পরামর্শ!! মিথ্যা বলার চেয়ে সত্যিটা গুছিয়ে বললেও বোধহয় সমস্যা সমাধান হয়!
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৮
281883
আবু জান্নাত লিখেছেন : ফিরেছেন, আলহামদু লিল্লাহ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৪
281884
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : Ha pry alam!
340521
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : সমসাময়িক সুন্দর বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ধনবাদ
340662
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : যথার্থ সুন্দর বলেছেন, অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File