নারীর শরীরের কাটা-ছেড়া কয়টা পুরুষ বোঝে...?
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৬ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৫৯:৪৩ দুপুর
> আহা পুরুষ বোঝে না সেই শরীরে কত যন্ত্রনা হয়!
> একটা মেয়ে আর একটা মেয়ের যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় (ছেলেও তাই) ! এরপর জন্মের পর একটু বড় হলেই সেই মেয়ের কান/ নাক ফুটানোর যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়! এরপর একটু বড় হলেই শুরু হয় প্রতি মাসের জন্য পিরিয়ড নামক এক যন্ত্রণা ! আর একটু বড় হয়... তখন বিয়ের রাতের সতিচ্ছেদের যন্ত্রনা! এরপর শুরু হয় ৯ মাসের বাচ্চা পেটে ধরে রাখার যন্ত্রনা, তখন থেকেই যন্ত্রনা বেশি শুরু! যদি
মিসক্যারিজ হয়, যদি ডিএমসি করতে হয়, যদি বাচ্চা নরমালে হয়, সিজারে হয়... সব কিছুতেই চলে কাটা- ছেড়ার যন্ত্রনা! বুঝতে কি পারে একটা পুরুষ সে সময়ের একটা মেয়ের যন্ত্রনাগুলো? পারে না! যদি মেয়ে বাচ্চা হয় চলে ছেলের জন্য বারবার বাচ্চা নেয়ার যন্ত্রনা! সেই মেয়েটার শরীর চলুক বা না চলুক, কে শোনে কার কথা? ছেলে আমার চাই! যদি সন্তান না হয় তারও যন্ত্রনা, যদি স্বামী বাচ্চা না চায় আর এসে যায় ভুল করে তখন সে বাচ্চা ফেলে দেয়ার জন্য যন্ত্রনা সইতে হয় একটা মেয়েকে! বোঝে একটা পুরুষ কি যন্ত্রনা হয় অই শরীরে? এরপর গর্ভ নিরোধক ব্যাবস্থায় পিল খেলে, কিংবা অন্য কোন পদ্ধতি গ্রহন করলেও চলে অই শরীরটাতে যন্ত্রনা! এরপর আসে বয়সকালে মেনাপোজকালীন যন্ত্রনা!
>> আহ্! নারী! কত যন্ত্রনা সয়ে চলে... তবু অত্যাচারিত হয়... ! তবু যতটুকু সহানুভূতি / সহযোগিতা দরকার তা না পায় পুরুষের কাছে না মেয়েদের কাছে! (কারন কিছু ক্ষেত্রে শাশুড়ী নামক মহিলাও নিজে মেয়ে হয়েও অন্যের মেয়ের ঐসময়ের যন্ত্রনা বুঝতে চায় না)
*** আপাতত আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা সত্ত্বেও সেজ আম্মুর (চাচী) কষ্ট সহ্য করতে পারছি না! উনি অনেক অসুস্থ!
বিষয়: বিবিধ
২৯৯৩ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
উহ! এত কষ্টের মধ্যে থেকেও ন্যয্য অধিকার না চেয়ে সমঅধিকারের আন্দোলন করে..............
এই জাতির ভাগ্যে সুখ আসবে কোত্থেকে?
আমার ফুফু বলতেন,
ভুল বুঝবেন না যেন!!
মেয়েদের কষ্টের স্তরগুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন,
জাযাকিল্লাহ
কিন্তু বিভিন্ন যন্ত্রনা ও কাটাছেঁড়ার অবস্থাগুলোর সাথে পুরুষের সম্পর্কটা বুঝিনি!!
প্রবাসী মজুমদার এর মত বলতে পারি নিজের কথাও, বলবোনা!
দায়িত্ব-সচেতন দম্পতি পরস্পরের জন্য যা করে থাকেন তা কোন আইন বিধি দিয়ে বিচার করা অসম্ভব!
পূরুষ নিয়ন্ত্রিত!
নারী নিয়ন্ত্রিত!
==========
আপন ঘরের প্রিয়তমার কষ্টগুলো বুঝে না। এমন পূরুষের সংখ্যা কত!
=========
আবার সেই প্রিয়তমার আচরণ যদি হয় বিপরীত - তখন কি হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ। সুন্দর করে পর্যায়গুলো তুলে এনেছেন।
বাকি নারীরা শুধু কষ্ট ভোগ করে আর পুরুষদের বুঝি কোন কস্ট হয় না???
আহ্ ।সবাই স্বার্থপর!!
একজন পুরুষযে প্রতিটি কস্টের বোঝা মাথায় নিতে হয় ,তাকি কখনও ভেবেছেন?
ওপাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।
বিয়ে করার পর নারী পুরুষ দুয়ের ব্যবধানটা এখন বুঝতে পারি। কারন নদীর দুকুল পাড়ি দিয়েছি বলে।
নারীদের এসব দায়ীত্ব দেয়ার কারণেই আল্লাহ বলেছে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত। রাসুল সা নারীরর প্রতি সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের নারী পাগল পুরুষরা তিন তিনটা নারীকে সিরিয়ালে রেখেছে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। হাসিনা না হলে খালেদা। এ দু ব্যর্থ হলে ১১ নং প্লেয়ার রুশন প্রস্ততু। আর কি চাই? হাহাহা..
প্রত্যোক পরিবার যদি তার সন্তান, মা, স্ত্রী সবাইকে মর্যাদা দেয় তাহলে সমস্যা থাকেনা।
বিয়ে করে দু দটি সন্তান সিজার হ্ওয়াতে তৃতীয় সন্তান চাইনি। কাছ থেকে দেখেছি বউয়ের কষ্ট। তাই যে যেখানে যে নারীকে অত্যারচার করেছে, সেে তার জন্য দায়ী। সবাই নয়।
যাইহোক, আমার বউয়ের বিচারে আমি শ্রেষ্ঠ স্বামী। তাই আমি আপনার এ পোষ্টের কথিত ব্যক্তি নয়। আলহামদুলিল্লাহ.....। বিয়ের ইন্টাভিউ পড়লে বুঝতে পারবেন।
এক্ষেত্রে নারীদেরও কিছু দায়ীত্ব আছে। সমাজের কিছু দায়ীত্ব আছে। স্বামীর অনেক দায়ীত্ব আছে। কিন্তু দু:খজনক হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারী পুরুষের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য যে যোগ্যতা, বিবেক দরকার, একটি শিক্ষিতদের ও নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যারা ইসলামের বিপরীত সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অসভ্য লুইচ্চা। এদের নেতৃত্বেই আজ পহেলা বৈশাখের নামে রাজধানীতে নারী বিবস্র হয়।
তবু্ও নারীরা দল বেধে ওসবশ শৃগালের কন্টে কন্ঠ মিলিয়ে গাওয়ার জন্য মরিয়া। অতি লোভী নারীদের কারনেই ঢাকা সহ সারা দেশ পাপে নিমজ্জিত।
সব মিলিয়ে অন্যার উপর দোষ না চাপিয়ে বিবেক জাগ্রত করা খুব প্রয়োজন। আর সে কাজটি শুরু করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন