আহা যৌতুক ! কতিপয় ফকিরের বাচ্চা...
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৫২:০৪ দুপুর
>আগে মনে করা হত যৌতুক বুঝি গ্রামে- গঞ্জের অশিক্ষিত মানুষেরা নেয় , তারা শিক্ষার আলো নেই দেখে অত্যাচার করে! কিন্তু এখন কি গ্রাম কি শহর/ কি শিক্ষিত/ কি অশিক্ষিত শ্রেনীর কিছু ফকিরের বাচ্চা মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে হাত পাতে ! আর হাত পেতে ভিক্ষা না পেলে মেয়ের উপর নেমে আসে নির্যাতন ! এমন কি হত্যাও করে ফেলে!
> যৌতুকের কারনে কুমিল্লা মেডিক্যালের ছাত্রীকে হত্যা (খবর-ইত্তেফাক, ২ আগস্ট, পৃষ্ঠা -২) ! এর আগেও এক ডাক্তার কে মেরে ফেলা হয়েছিল! এরকম রোজ-ই খবর আসে পেপারে! যৌতুক নেয়া যাবে না আইন আছে না কি? কিন্তু তার প্রয়োগ নাই!
>সে যাক- আমার শুধু জানতে ইচ্ছে করে, যে পুরুষ সব দিক দিয়ে নারীর থেকে নিজেকে যোগ্য মনে করে, সেরা মনে করে, মহাপুরুষ ভাবে নিজেকে, সেই পুরুষরা কি করে মেয়ের বাপের কাছে ভিক্ষার জন্য হাত পাতে? আর সেই পুরুষের বাপ- মা তারা কি? তাদের লজ্জা করে না, মেয়ের বাপের কাছে ভিক্ষা চাইতে? থুঃ থুঃ সেসব পুরুষ আর তার পরিবারকে যারা বড় বড় লেকচার ছেড়ে ভিক্ষার জন্য হাত পাতে মেয়ের বাপের কাছে! এইসব পুরুষ আর তার পরিবারকে জনসম্মুখে মুড়া বাড়ুন দিয়ে পিটিয়ে হাত কেটে নেয়া উচিৎ ! যে হাত দিয়ে তারা একটা নারীর উপর অমানুষিক নির্যাতন করে!
বিষয়: বিবিধ
১১০১ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্বামীর বাবা মা ভাই বোনদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করিয়ে দেয় ? পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য পরায়ন হলে স্বামীর সংসারে অশান্তি বইয়ে দেয় ------ সে সব মেয়েদের ও তার বাবা মায়েদের কি করা উচিত ?
আর যে সব প্রশ্ন করি সেগুলোর সদুত্তর দেবার মত যোগ্যতা শুধু আপনার কেন , কোন মহিলারও নেই । কারণ এটা যে তাহলে স্ববিরোধিতা হয়ে যাবে !
নারী নির্যাতনকে ছাপিয়ে গেছে এখন পুরুষ নির্যাতন । একজন বোন চায় তার ভাই নারী নির্যাতনের বিপক্ষে সোচ্চার থাকুক । কিন্তু সে কি কখনও তার ভাবী যে তার ভাইকে প্রতি নিয়ত মানসিক নির্যাতন করে সেটার প্রতিবাদ করে ? তার সদা হাসি খুশি , চন্চল ও কেয়ারিং ভাইটি হঠাৎ করে চুপ হয়ে যায় সেটার কারণ কি কখনও বের করে দেখে ? না , কারণ সেও তো আরেক পরিবারে তার ভাবীর মতই অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে!
নিজেদের প্রতি অন্যায়ের ব্যাপারে চিল্লা ফাল্লা করবেন , গালাগাল করবেন বিপরীত লিঙ্গের লোককে । কিন্তু নিজেদের কৃত অন্যায়ের ব্যাপারে বলার কথা আসলে পিছলাবেন ।
মহিলারা এটা তো ভালই পারে , এটাই তো তাদের যোগ্যতা ।
এক সমস্যাকে পাত্তা না দিয়ে আরেকটাকে নিয়ে শোরগোল করবেন যেখানে একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড - এভাবে সমস্যার কোন সমাধান তো হবেই না বরং বাড়বে এবং এসব জিনিসে নতুন মাত্রা মাত্রা যোগ হবে।
স্বামীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবে , তারা বাবা মায়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক বজায় রাখবে , রাখাবে , সাধ্যের বাইরে খরচ করাবে ---- এগুলো সমাজ চিন্হিত সমস্যা না !!!!
আর কারও কাছে যেতে হবে না , আপন ভাইয়ের কাছ থেকেই জানতে পারবেন কি হচ্ছে ।
সব দোষ শুধু ছেলেদের , ছেলের মায়েদের !!! মেয়ে ও মেয়ের মা ও তার পরিবারের লোকেরা তো খুবই পুত পবিত্র !!
কেন , ছেলের সাধ্যের অতীত দেনমোহর ধরা হয় না মেয়ে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না এটা বলে ? সংসারে এসে কি স্বামীর ইনকামের চেয়ে বেশী খরচ করায় না মেয়েরা ?
এগুলো তো কোন আলাপেই আসে না ! এগুলো তো কোন সমস্যাই না !!
এসবের সমাধান না করে নিজেদেরটা সমাধান করার কথা চিন্তা করা তো ঠিক না ।
আপনাদের এই দ্বিমুখী মানসিকতার জন্যই তো আপনাদের সাফারিংস কখনই কমে না , কেন না আপনারা আপনাদের সমস্যাটাকে সমাজ চিন্হিত বলে দাবী করেন , আরেকজনেরটাকে পাত্তা দিতে চান না ।
এগুলো একটার সাথে আরেকটা খুব রিলেটেড , একটাকে বাদ দিয়ে আপনি আরেকটার সমাধান পাবেন না ।
পোস্ট রিলেটেড একেবারে বেসিক কথা গুলোই বলেছি। একেবারে রুট থেকে সমাধান করা শুরু করলে সমস্যাকে সমূলে উতপাটিত করা খুব সম্ভব । কথাগুলো যে রিলেটেড সেটা আপনার মত চালাকদের বুঝতে মোটেই অসুবিধা হবার কথা নয় ।
কিন্তু ঐ যে - নিজেদের ''আমি কি হনুরে '' একটা লুকে আনেন , সবাই পাত্তা (হুদাই) দেয় বলে একটা অহমিকা ভাব চলে আসে এবং সর্বোপরি ধরা খেলে পিছলানোর অভ্যাস - এসবই অন্যের সমস্যা গুলোকে সমাজ চিন্হিত বলে মনে করতে দেয় না ।
আপু, আমি এমন অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা শশুর বাড়ি থেকে কিছু না চাইলেও নিজের বাবার বাড়ি থেকে নিজে চেয়ে চেয়ে নিজের পছন্দ মত যৌতুকের থেকেও আরো অনেক বেশি কিছু নেয়। মনে করে তার বাবার সামর্থ্য আছে তাই নিচ্ছে..।
তারা এটাকেই স্বাভাবিক মনে করে.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন