ধর্ষকরা যেমন বয়স দেখে না... টিজাররাও বয়স দেখছে না...!
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৪৫:১৭ দুপুর
>হু ৫০/৬০ বছরের বুড়োদের দ্বারা কিংবা ১৪-২০ বছরের ছোকরাদের দ্বারা ৪/৫ বছরের শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে! আফটার ফর্টি না কি পুরুষদের কুড়কুড়নী বাড়িয়ে দেয় আর ১৪-২০ বছরের পোলাপানদের কুড়কুড়ানী শুরু হয়! এই অমানুষদের দ্বারা যখন এইসব পিচ্চি বাচ্চারা ধর্ষিত হয় তখন বলার মত কিছু ভাষাও আমরা হারিয়ে ফেলি!
> তেমনি এখন না অনেকদিন থেকেই শুনছি, দেখছি- টিজাররা বয়স দেখেনা টিজ করার সময়! ১২/১৩ বছরের স্কুলগোয়িং পিচ্চি পোলাপানরা অনায়াসে টিজ করছে তাদের থেকে বয়সে বড় এমন মেয়েদের! এমনকি তারা মা-খালাদের মত বয়সী মহিলাদেরও টিজ করতে ছাড়ছে না!!!!!! হাউ কুড যদি বলি? তাহলে উত্তর আসবে- এরা সব-ই পারে! কিন্তু এদের নৈতিক অবক্ষয় রোধে পরিবার কিংবা সমাজের লোকজন কিংবা প্রশাসন এগিয়ে আসছে না কেন?
>> কিছুদিন আগে আমার থেকে বয়সে ৬/৭ বছরের বড় হবে এমন এক আন্টি বলেছেন তিনি অফিসে যাওয়ার সময় কমপক্ষে ৪/৫ বার ১৫/২০ বছরের পিচ্চিদের দ্বারা ইভটিজড হয়েছেন! এমন নয় তিনি উচ্ছৃঙ্খল টাইপের কিংবা তার পোশাক উচ্ছৃঙ্খল! ( এটা বললাম এই কারনে কারনে টিজ/ ধর্ষণের কথা উঠলেই পুরুষেরা আগে নারীর পোশাকের কথা বলে!)
>>আমি নিজেও কয়েকবার এমন বয়সী ছোকরাদের দ্বারা ইভটিজড হয়েছি! এমনকি এই ফেবুতেও ফেবুটিজড হতে হচ্ছে!!!!!!
>>বোরখা পরিহিত মাস্টার্স পড়ুয়া এক পরিচিত মেয়ে এভাবেই স্কুলগোয়িং মানে ১৪/১৫ বছরের পিচ্চির দ্বারা ইভটিজড হয়েছে! পিচ্চি আরো দুইজন সহ সেই মেয়ের পিছু পিছু তার বাড়ী পর্যন্ত এসেছে!!!!!!! (বোরখা পড়া মেয়ে পাগল করেছে এই গান গাইতে গাইতে!)
>> পরিচিত এক মধ্যবয়সী চাচীও একদিন বললেন- মার্কেট থেকে ফেরার পথে তিনি কিছু পিচ্চি- পোলাপানদের জটলা থেকে শুনেছেন -“ আরে এই বয়সেও আন্টিটাকে তো জোশ লাগছে!!! এরপর হিহিহি করে হাসতে থাকা সেইসব ছেলেদের মাতলামি দেখে লজ্জায় মুখ লুকিয়েছেন!
বিষয়: বিবিধ
১১৬২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি মনেকরি এর জন্য মিডিয়া দায়ি । আজ কাল নাটক-সিনেমায়, সব জাগায় এমন হয়ে গেছে যে মায়ের বয়সি মহিলার সাথে ছেলের বয়সি নায়ক Love করছে। মেয়ের বয়সি নায়িকার সাথে বাপের বয়সি নায়ক Love করছে . এবং নিজেদের জিবনে ও তাই করছে । আর মিডিয়া এস পচারে এক পায়ে খাড়া । যার পভাব পড়ছে সমাজে। যেমন-- সুবনা মুসতফা তিনি তার ছেলের বয়সি একজন কে বিয়ে করেছেন ।
কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এই অবস্থায় "কল্যণমূখী গণতন্ত্র" তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারায়, "সরকারী শাষন ব্যবস্থা" পরিনত হয় সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট কু-রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে। ফলে, বর্তমান সময়ে ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি =সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ +দুর্নীতিবাজ আমলা + লোভী ব্যবসায়ী +অনৈতিক শিক্ষক +কুশিক্ষিত লোভী বৃহৎ জনগোষ্ঠি + নির্যাতিত অসহায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি। সুতরাং দেশ ও দশের উপর ধর্ষন চলতেই থাকবে, যতদিন না সংশ্লিষ্টজনদের নৈতিক উন্নয়ন ও সৎ-দেশপ্রেম উদয় হয়।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
এডাম টিজিংয়ে কোন বোন তার ভাইয়ের পক্ষে ভাবীর বিপক্ষে এসে দাঁড়ায় না ।
এসব সমস্যা একটা আরেকটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । একটাকে অস্বীকার করে আরেকটার সমাধান আশা করা বোকামী ।
আপনার দৃষ্টি ভংগি বরাবরই একরোখা!
এই সব বুড়ো-ছোকরারা অন্য গ্রহের মানুষ নয়! কেন এমন করছে তার মূলে না গিয়ে ঢালাও ভাবে শুধুই দোষারুপ!
পরিবার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষায় সাধারণত প্রকাশ পায় ব্যক্তি থেকে! ব্যতিক্রম যে নাই তা নয়! কিন্তু ব্যতিক্রম উদাহরণ হতে পারে না!
এই বুড়ো-ছোকরারা আকাশ থেকে বা মাটি ফুড়ে উদয় হয় নি?
নারীদের কারণেই এই অঘটন ঘটছে সমাজে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন