বর্তমান ভার্চুয়াল লাইফের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা! আর আগেকার দিনের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা!
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫১:১০ সন্ধ্যা
@ বর্তমান ভার্চুয়াল লাইফের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা!
>ছেলে- বন্ধু হতে পারি?
>মেয়ে- প্রোফাইল ঘুরে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে - এরপর হু! বন্ধু হতে পারবে কি না এইসব সাতপাঁচ অল্প- সল্প কিছু ভেবে নিয়ে বন্ধুলিস্টে এসে যায় একজন! শুরুটা মধুর মিষ্টতা দিয়ে! শেষ কেবল-ই তিক্ততা আর তিক্ততা! আহহাহা!
>>এরপর কয়েকদিন এই সেই আলাপন... তারপর হুট করে কেউ কেউ বলাবলি করে-
আইএল ইউ! মি-টু ! মিস ইউ! মি-টু! এই সেই দুই অক্ষরেই আবেগ/ ভাললাগা/ ভালোবাসা! শেষ! চিরকুট বলতে এই দুই একটা অক্ষর এই মুঠোবার্তা আর চ্যাটে মেসেজ! আর চিঠি--হাহ্! সেও ঐ কখনো সখনো প্রয়োজনে আবেগবিহীন মেইল একখান! ( ব্যাতিক্রম কেউ কেউ হলেও অন্যজনের নীরবতায় সবটুকু বিফলে যায়) ! আর রাত জেগে প্রেমালাপ নয় চলে সেক্সালাপ...! স্কাইপে/ ওয়েব চ্যাটেও চলে ধুমিয়ে প্রেমালাপের নামে সেক্সালাপ! কেউ যদি রাজী না হয় তাহলে তারে জবাব- ওকে তোমারে সিটিএন! দুদিনের ভালোবাসায় ছোঁয়াছুঁয়িটা বড্ড বেশী জরুরী করে ফেলে ছেলেরা ( মেয়েরা তুলনামূলক ভাবে কম) ! তারপর আর কি ? কেউ হয় প্রতারিত / কেউ হয় ধর্ষিত/ কেউবা বিয়ের আগেই বাচ্চা- কাচ্চা/ অ্যাবরশন/ ব্লা...ব্লা...! এরপর পালাতে পারলেই বাঁচি বাঁচি ! টুট...টুট ...ব্লা ...ব্লা...।। একটুখানি আঁতে ঘা কিংবা ছল/ চাতুরী/ প্রতারণার শিকার/ দুদিনের বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার মানুষটাই হয়ে যায় শত্রু/ কেউ কেউ ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী এইতো এসব-ই চলে এই ভার্চুয়াল জগতে! এক একটা ঘটনা দেখে মনে হয় এরা আসলেই সাইকো নয়তো ম্যানিয়াকে পেয়ে বসেছে এদের! একদম ফালতু ম্যানিয়াক! যাচ্ছেতাই! জীবন/ চাওয়া- পাওয়া সব কিছুতেই তারা বড্ড বেশী মেকী হয়ে গেছে! সম্পর্ক ধরে রাখার ইচ্ছে নেই কিন্তু গড়ে চলার ইচ্ছেটা থেমে নেই......! (ব্যাতিক্রম - দু/ একটা দারুন্স- যারা সত্যিকারের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা দিয়ে এক একটি অটুট বন্ধন গড়ে তোলে, আর বিশ্বাস ও আস্থা দিয়ে তা টিকিয়ে রাখে! )
@আর আগেকার দিনের বন্ধুত্ব/ ভালোবাসা!
>পাশের বাসার এক বখাটের বোন এসে এইট পড়ুয়া বালিকাকে বলে- আমার ভাই না তোমার বন্ধু হতে চায়? বালিকা ভয়ে ভয়ে বলে- বন্ধুত্ব করার বয়স আমার হয় নাই!
> একদিন বাবা-মা অফিসে যাবার পর- কে যেন দরজার ফাঁক দিয়ে - ভালোবাসার চিরকুট দিয়ে যায়! বালিকা ভয়ে সেই চিরকুট হাতে নিয়ে কাঁপতে থাকে, যদি বাবা-মা এসে দেখে ফেলতো, তাহলে না জানি কি হত! এরপর চিরকুট ছিঁড়ে পানিতে ভিজিয়ে ময়লা ফেলার বালতিতে ফেলে দেয়!
>>এরপর স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন এক সাথে চলতে গিয়ে কিছু বন্ধুত্বের বাঁধন অটুট হয়ে থেকে যায়...!
>>জীবন চলার পথে কারো সাথে পরিচয় থেকে কিংবা কোন না কোনভাবে কেউ কেউ ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়! সে সময়ের ভালোবাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি পাঠানো, ভাই- বোনের দ্বারা চিরকুট পাঠানো, দোকানে গিয়ে ফোন করা, লুকিয়ে দেখা করা কিংবা দেখা নেই কথা নেই শুধু চিঠি বিনিময় তাও আবার নিজের ঠিকানায় নয়, অন্য কারো ঠিকানায়... আবেগী সময়, আবেগী ভালোবাসা... বিশ্বাস ... মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকতো ! আর ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপার তো ছিলো না বললেই চলে! অনেক প্রেম-ই বিয়েতে রূপ নিয়ে প্রথমবারের মত হাতটি ধরে দেখার সুযোগ পায় বা নেয়! টিকে যেত সেসব ভালোবাসা...! ভালোবাসা দিয়েই টিকিয়ে রাখতো তারা! (ব্যাতিক্রম দু/একটা ছাড়া) ! সে সময়ের ভালোবাসায় বিশ্বাস/ আস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিলো, ছিলো একে- অপরকে সম্মান করার মত মানসিকতা!
বিষয়: বিবিধ
২১০০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুই সময়ের বন্ধুত্ব-ভালবাসার স্বরুপ বিশ্লষণে মুন্সিয়ানা ফুটে উঠেছে!
বর্তমানে মেয়েরা একধাপ এগিয়েই থাকে একান্ত কাছা-কাছি আসতে!
ভাল লাগা রেখে গেলাম! অনেক ধন্যবাদ!!
'দুই মোবাইল পরিচয়ে সাভার হতে মেয়ে একাকী ঢাকায় চলে এসেছে দেখা করতে!'
এমন বাস্তবতাও জানি!!
অনেক মুনিস্য়ানা দেখিয়েছেন লেখায়,,,
সাবধান হওয়ার কোন বিকল্প নাই।
তবে এর বাহিরেও কথা আছে...
অন্তত দু চারটা চাক্ষুস দেখেছি...সত্যিকারের ভাললাগা গুলো সব সময় আহত হতে দেখেছি...
কখনোই কূলে ভিড়তে পারেনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন