ভালোবাসার কয়েকটা স্থির চিত্র মাঝে মাঝেই চলে আসে আমার মনে-
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ২০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০৩:০৯ সন্ধ্যা
মাঝ রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে মেয়েটা বাড়ীর কাউকে না ডেকে... ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠে মুঠোফোনটা ঘুমের ঘোরে হাতড়ে নিয়ে ... একটা মেসেজ লিখে-“ ভাল আছিস” ফোনটা ধর প্লিজ”! মেয়েটা ডায়াল করতে না করতেই ওপাশ থেকে ফোন চলে আসে- পরম মমতায় কেউ একজন বলে- কি হয়েছে? দুঃস্বপ্ন দেখেছিস? মেয়েটার নীরবতা বলে দেয়- হ্যাঁ! ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে- কি দেখেছিস? আমি মরে গেছি? মেয়েটা চিৎকার দিয়ে বলে- চুপ থাক তো! চুপ থাক! ওপাশ থেকে সেই মানুষটা হো হো করে হেসে উঠে! আর তারপরেই বলে- শোন, কাছে আয়, এসে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর, তোর এলো চুল আমাকে ছুঁয়ে যাক আর আমি তোকে ফুউউ দিয়ে দেই... ! অদ্ভুদ একটা প্রশান্তি পায় মেয়েটা! কল্পনায় বিছানায় শুয়ে সেই পরম নির্ভরতম জায়গাটাকে...সেই মানুষটাকে হাতড়ে বেড়ায়...অনুভব করে পরম মমতায় সেই হাতটা তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে... একদম বাচ্চাদের মত তাকে বুকে আগলে নিয়ে অদ্ভুদ এক মায়ায় তার দিকে তাকিয়ে ফুঁ দিয়ে চলেছে...!
ভালোবাসা পরম মমতায় ভরা সেই মানুষটাকে দুঃস্বপ্নের মাঝেও খুঁজে -ফেরাতে...! ভালোবাসা পরম মমতায় সেই মানুষটার মেয়েটিকে বুকে আগলে রাখাতে... !
ভোরের ঠিক কিছু আগে ঝুম বৃষ্টির শব্দে মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যায়... অদ্ভুদ এক নেশা পেয়ে বসে মেয়েটার... বৃষ্টিতে ভেজার! জানালা খুলে দু/ এক ফোঁটা বৃষ্টি নিয়ে খেলে মেয়েটা একটি মুঠোবার্তা পাঠায় ছেলেটিকে- “ বৃষ্টি হচ্ছে, ভিজবি” ? আমার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে কিন্তু উপায় নেই ভেজার! ছেলেটি রিপ্লাই দেয়- “ আমি যদি আজ তোর পাশে থাকতাম, তাহলে নিশ্চিত তোকে বৃষ্টিতে ভেজার অনুমতি দিতাম, জ্বর হলে আদরে আদরে তোর সেবা করতাম” ! মেয়েটি রিপ্লাই খুঁজে পায় না, তবুও লিখে- “আয় ভিজি” ! ছেলেটি লিখে- এই দেখ চুপি চুপি ঘরের দরজা খুলে তোকে কোলে নিয়ে ছাদে যাচ্ছি! তারপর? তোর হাত ধরে ছাদের মাঝে গিয়ে দাঁড়ালাম! হু, তারপর? তুই বৃষ্টিতে ভিজে কেঁপে উঠছিস ঠান্ডায়, আমি তোকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম! হু...ঠান্ডা লাগছে রে খুব ! এরপর তোর কপালে আলতো করে এঁকে দিলাম ভালোবাসার চিহ্ন ! হু...তারপর...? তারপর তোর চুলগুলি মুখের কাছ থেকে সরিয়ে তোর বৃষ্টি ভেজা চোখে ডুব দেবো! আমি কি দাঁড়িয়ে থাকবো না কি? তাহলে কি করবি? আমি ছুটোছুটি করবো! আচ্ছা, আমি তোকে ছুটে ছুটেই ধরবো...কেমন? আমার যে আইস্ক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে ? ওকে দাঁড়া, বাসায় গিয়ে চুপি চুপি ফ্রিজ খুলে আইস্ক্রিম নিয়ে আসি! আনছিস ? হু আনছি - এই নে! আমি তোর নাকে আইস্ক্রিম ঘষে দেবো! এই দেখ দিলাম! আহ্ আআআআ ঠান্ডা লাগছে রে হারামী! এরপর? এরপর তোকে জড়িয়ে কোলে নিয়ে ঘরে আসবো! তারপর? তারপর তোর ভেজা চুল মুছে দেবো! তারপর দুজনে চা খাবো বারান্দায় বসে! চা কে বানাবে? আমি-ই বানাবো রে গাধি! তুই এত পঁচা কেন? পঁচা? তোকে এত সুন্দর করে বৃষ্টিতে ভেজালাম, তাও বলছিস পঁচা? হু পঁচা! অ্যাই অ্যাই বোকা, গাধি কাঁদছিস কেন? কষ্ট হচ্ছে না বুঝি আমার? কাঁদিস না সোনা, কাঁদলে তো তোর জ্বর হবে আবার! হোক, তুই না বলেছিস, সেবা করবি আমার? আরে করবো তো! ওকে, এখন চুপচাপ আমার বুকে এসে ঘুমা! ভালোবাসি ! ভালোবাসি !
ভালোবাসা মেয়েটির বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছে পূরণে ছেলেটির অদ্ভুদ কল্পনার খেলায় তাকে ভিজিয়ে দেয়াতে! ভালোবাসা বৃষ্টি হলেই ছেলেটির মেয়েটির দুচোখে ডুব দেয়াতে...!
বিষয়: বিবিধ
১২৪১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইন্ন লিল্লাহি ওয়া ওন্না ইলাইহি রাজিঊন...
"মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন"
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
আত্মসমর্পনেরও দোয়া
আর বর্ণনা এতটাই আবেগঘণ যে-
ও ব্যাপারে মন্তব্য করলে
ভাবের গাম্ভীর্য কমে যাবার আশংকা করলাম!!
<:-P
বেশী বলে ফেললাম?
সরি...প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড আপুনি।
এটা হলেই বেশী খুশী হবো।মাইন্ড করেননি কারন আপনি আমার আপু।
আপনিও ভালো থাকুন ।
নান্দনিক অদ্ভুত ভালবাসার এমন অসাধারণ উপস্হাপনা কষ্টের হালকা বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দেয় কাউকে কাউকে...।
মন্তব্য করতে লগইন করুন