ছেলেদের কত্ত আরাম আর মজা... (ঈদের দিন) ! !
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৭:০১ দুপুর
>> ঈদের দিন সাত সকালে (অন্যদিন বেলা ১২টার আগে কেউ ওঠে কি না সন্দেহ আছে) ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, পাজামা/পাঞ্জাবি পড়ে ফ্যাশুন করে মসজিদে বা ঈদ্গাহে যায়... ! এরপর নামাজ শেষে বাসায় এসে হুজুর কোরবানী করে দিয়ে যায়, কসাই মাংস কেটে-কুটে দিয়ে যায় আর সেই মাংস এনে তারা অন্দর মহলে ফেলে দেয়, এরপর আরামসে বসে পেট উঁচু করে খেয়ে, গরুর মত ঘুম নয়তো আড্ডা, ঘোরাফেরা আর ফেবু/ স্কাইপে তো আছেই...।।
>>আর মেয়েদের সেই সাত সকাল থেকে ঘর গোছাও, রান্না কর, মাংস আসলে সেটা প্রসেস কর, ফ্রিজে ঢোকাও, আবার রান্না কর, জাল দাও এরপর তো লাট সাহেবদের আবদার আছেই- কাবাব বানাও, কোপ্তা বানাও, কিমা কর, রুটি বানাও... এইটা সেইটা তারপর আছে মেহমানদারী ... রাত ১২- ১ টার আগে নিস্তার নাই... শরীর চলুক আর না চলুক সব কাজ কর!
>> তা বাপজানেরা আপনারা একটু কাজ করলে কি হয় শুনি?
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তা মা জননীরা............!
এই সব কাবাব-কোপ্তা-কিমা-রুটি তো আর আসমান থেকে নাযিল হয় না, এগুলোর ব্যবস্হা করেই তো ক্লান্ত ওরা। আপনারা একটু তৈরী করে খাওয়াতেও পারবেন না!
মা জননীরা....,
শুধু মাংস তৈরী না রান্না-বান্নার অনেক কাজেই আমরা আমাদের সহযোগীতা থাকে।
যে কোন সময় আমাদের বাসায় এসে দেকতে পারেন মা-বোনদের জন্যে আমরা কত কিছু করি!
আবু জান্নাত ও আতিক খান যা যা বলেছেন আমাদেরও একই রকম, তবে জবাইটাও আমরা নিজেরাই করি- হুজুর ডাকা লাগেনা!
এগুলো আসলে পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং দায়িত্ববোধ-সহমর্মিতার ব্যাপার!
এ কষ্টগুলো সবই আপনার (এবং অধিকাংশ পরিবারে মা-বোন-ভাবীদের) নসীব!
এখন আপনার(আপনাদের) কর্তব্য হবে এ কষ্টগুলো যেন পরবর্তী প্রজন্মে পূণরাবৃত্তি না হতে পারে তার ব্যবস্থা করা!
একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ও কষ্টের বিষয় শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
এগুলো আসলে পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং দায়িত্ববোধ-সহমর্মিতার ব্যাপার!
আলাদাভাবে বিবেচনা করা ঠিক হবেনা!
মা/ বোন/ ভাবী বা বউ এইসব কাজ নিয়ে বিজি থাকে তখন শুধু খারাপ লাগা-ই নয়, বরং তাদেরকে রেস্টে পাঠিয়ে ছেলেরা দায়িত্ব হাতে নেয়াটাই উত্তম- আমরা সেভাবেই বড় হয়েছে, এখনো তাই!!
ছেলেদের শৈশব-কৈশোরে এসব শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা না হলে বয়সকালে তার থেকে যথাযথ সহযোগিতা-সহমর্মিতা আশা করলেও সেটা দূরাশা মাত্র!
একজন "মা" একটি সমাজ বদলে দিতে পারেন!
তেমন মা-ই চাই ঘরে ঘরে!!
এই জন্যই কয় পুরুষ মানুষ মানে হইল কলুর বলদ!!!
ঈদ মোবারক আপু!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ও ঈদ মুবারাক। আল্লাহ আমাদের ভাল কাজগুলো গ্রহন করুন এবং আমাদের ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন, আমীন
তা মা জননীরা............!
এই সব কাবাব-কোপ্তা-কিমা-রুটি তো আর আসমান থেকে নাযিল হয় না, এগুলোর ব্যবস্হা করেই তো ক্লান্ত ওরা। আপনারা একটু তৈরী করে খাওয়াতেও পারবেন না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন