নাহ্ আর কত? আমি সত্যি পুরুষ নির্যাতন নিয়ে লিখতে চাই!
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ২৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:২৮:২০ রাত
>> আবারো যৌতুকের আগুনে বারবি কিউ এর মত ঝলসে মেরে ফেলা হল- কুমিল্লার তাছলিমাকে! একটা মানুষের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে ঝলসে মেরে ফেললে কি রকম অনুভূতি হয় তা কি অই অমানুষ/ জানোয়ারগুলা জানে?
>>আমি সত্যি এবার পুরুষদের নিয়ে লিখতে চাই- না কোন উস্কানী নয়, ক্ষোভ/ ঘৃণা কষ্ট থেকে বলছি, লিখতে চাই, ভরণপোষন দিতে পারেনি বলে স্ত্রী তার স্বামীকে ঠেঙ্গিয়ে হাত/ পা ভেঙ্গে ফেলেছে! মোহরানার টাকা শোধ দেয়নি বলে- রাতের আঁধারে স্বামীর গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে বারবি কিউ এর মত ঝলসে দিয়েছে, রাতের পর রাত যা স্বামী বউকে ভোগের নামের ধর্ষণ করেছে , সেই স্ত্রী এবার ধর্ষণ করুক স্বামীকে ! যে মেয়েরা পথে-ঘাটে নির্যাতিত / ধর্ষিত হচ্ছে, যাদের মুখে এসিড ছুড়ে মারা হচ্ছে, সেইসব মেয়েদের দ্বারা সে সব ছেলেরা এবার নির্যাতিত/ ধর্ষিত হোক, তাদের মুখে মেয়েরা এসিড ছুড়ে মারুক... এরপর সেই সব মেয়েদের নিয়ে আমি লিখবো... লিখবো দেখো- ছেলেরাও মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে!
>>কিন্তু নাহ্! এসব কিছুই ঘটবে না, যা ঘটার তা অই অবলা/ বোকা-সোকা মেয়েদের সাথেই ঘটবে! আর আইন? আইন বলে কি কিছু আছে? দেশের ৩ নেত্রী মহিলা হয়েও কি নারীদের জন্য কিছু করতে পেরেছে? তাহলে আর কি? চলুক এভাবেই ঝলসানো/ পোড়ানো...
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রসুল সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বিয়ের সময় সাধারণত মানুষ সুন্দর চেহারা, ধন-সম্পদ, বংশ মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দেয়। কিন্তু হে মুমিনেরা তোমাদের উচিত যাকে বিয়ে করবে সে মুমিন কিনা সে বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিবে। যদি প্রাধান্য না দাও তবে তোমরা ধ্বংশ হও।
অথচ দিনের পর আমার মন মগজে গেঁথে গেছে। অর্থই সব সুখের মূল, তাকওয়া বা আল্লাহভীতি কোন সুখের মাপকাঠি না। শুধু টাকা টাকা টাকা। জীবনে যেন আর কিছুই নেই। আমি জানি আপনি বলবেন: গ্রামে তো বউয়েরা শাশুরি, দেবর, ননদ, হাজবেন্ড (আমি স্বামী শব্দকে কখনো ইউজ করিনা কারণ সেটি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কারণ স্বামি শব্দের অর্থ প্রভু অথচ মানুষ মানুষের প্রভু হতে পারেনা)এর হাতে নির্যাতনের কারণতো ভিন্ন। আমি বলব মোটেওনা সেখানেও একই প্রবলেম। বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সমাজটা টোটালি ভিন্ন। দেখতে পাবেন তাদের বিরাট একটা অংশ নিজেদের মধ্যে অন্যরকম একটা দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছে। তারাও টাকা পয়সার সমস্যায় জর্জরিত কিন্তু ইসলামের বিষয়গুলো পালনে তাদের মধ্যে কোন গাফিলতি নেই। আমি দেখেছি বিয়ের সময় একজন কওমী মাদ্রাসার আলেম নিজের মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় অন্য একজন কওমী পড়ুয়া পাত্রের সাথেই বিয়ে দেয় যদিও সে অভাবী। কওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েকেই ছেলের বউ করে আনে যদিও তার বাবা অস্বচ্ছল। কওমী মাদ্রাসায় পড়া একজন স্বামী নিজের স্ত্রীর উপর নির্যাতন করেছেন, যৌতুক দাবি করেছেন, বুড়ো মা বাবকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছেন_ এমন কথা কখনো শোনা যায়না। কারণ তাদের কাছে আল্লাহর ভালবাসা মেইন, তাকওয়া মেইন। ভালবাসা, একসাথে জীবনযাপনের মাপকাঠি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই অভাব তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায় না। কোরানে উল্লেখ করা হয়েছে: মুমিন হাজবেন্ড-ওয়াইফ জান্নাতেও হাজবেন্ড ওয়াইফ হয়েই পৃথিবীর মত জান্নাতেও অবস্হান করবে। এজন্য তাদের কাছে সম্পর্ক মানে অনেক বিরাট কিছু। নিতান্তই পৃথিবীতে বিয়ে হয়েছে তাই তারা জামাই-বউ ধারণাটা মোটেও এমননা। রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি চরিত্রবান যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আবার মুমিন স্ত্রীকে বলা হয়েছে তার হাজবেন্ডের সন্তুষ্টি অর্জন করছে। মুমিন হাজবেন্ড ওয়াইফ যখন একে অপরের প্রতি তাকিয়ে ভালবাসার হাসি হাসে তখন আল্লাহও তাদের দিকে তাকিয়ে হাসেন। স্ত্রীর দিকে নেক নজরে তাকালেও তা সোয়াবের।
কাজেই যতদিননা আমরা ইসলামকেই অগ্রধিকার দিতে পারব ততদিন। যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যা্তন, হত্যা। হাজবেন্ডের উপস্হিতির পরেও স্ত্রীর পরোকিয়া। নির্যাতিত ও নির্যাতনকারী সব বিষয়গুলো থেকেই যাবে। এটাই বাস্তবতা।
.০১=স্বামী শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রভু?
ভেঙ্গে ফেলি একটু।
স্ব+আমি=নিজ/নিজের+আমি
আমার আমি।
অর্থাৎ স্বয়ং "আমি"
দুজন একে অপরের আয়না।
মিলনের হিসাবে,১+১=২ না হয়ে ১+১=১ হয়।
আমার প্রভু আমি হই কি করে?
স্বামীর আভিধানিক অর্থ প্রভু এটাও ঠিক।
কিভাবে?
"আমি"শব্দটা আমার নয় মালিকের।
"আমার" শব্দটা আমার।
আমি আমার প্রভু।
অভিধান মানুষের তৈরী,এটাও আমার আমির নিজের মস্তিষ্ক বিভ্রাট,নয়তো দামী কিছু।
রাগ করবেন না,দয়া করে।গভীর ভাবে চিন্তার অনুরোধ রইল।
পাগল/ছাগল যা খুশী বলে দিয়েন কিছু একটা।
আন্তরিক শুকরিয়া।
"আমি"শব্দটা আমার নয় মালিকের।
"আমার" শব্দটা আমার।
আমি আমার প্রভু।
আমার শব্দ আমার হলে-
আমার=নাম
এখন,আমি নামের প্রভু।
=আমি আজিম বিন মামুনের প্রভু(প্রমানিত)
১.০০=নারী নামক পুরুষের(
*মেয়েদের তালাক দেবার যে আইন সরকার দিয়েছে বিধানে তার অধিকারটা অধমদের জন্য একক ভাবে মালিক ফিক্সড্ করে রেখেছেন।
*উল্লেখ্য,সম ক্ষমতার দাবিদার ললনারাই সেই নারী নামক আজব প্রাণী যা টারটারিক এসিডের গুণ সম্পন্ন হয়ে সালফিউরিক এসিড সমতুল্য সিংহপুরুষের সমান হতে চায়!
(১ম এসিডে জিহ্বায় রস উঠে(তেতুল)২য় টি মাংস থেকে হাড় পর্যন্ত ক্ষত-বিক্ষত করতে সক্ষম)
তেলাপোকা পাখি-ঈগলও পাখি।
তবে কিছু নিরীহ মা/বোনের নির্যাতনকারী থেকে পুরুষ খেতাব কেড়ে নিয়ে বরঞ্চ হাতে চুড়ি পরিয়ে দেয়া উচিত।
বিড়ালের সাথে বাঘের মারামারি নয়,বাঘের হুংকার ই যথেষ্ট।
)দোষ দেখেননি।
০০.৯৩=বুঝতে পারছি আপনার মনঃকষ্ট,
দুর্গন্ধ যুক্ত কিছু শব্দ ব্যাবহার।
*যাদের দিয়ে করাতে চেয়েছেন তারা সম্ভবত উপরে বর্নিত।
যাদের ভুক্তভোগী করতে চেয়েছেন তারা তাই হতে পারলে ধন্য হবে মনে হচ্ছে।
এগুলোতে সমাধান নেই।আপনার কলম ৬এইচ পি পাওয়ারে কালি ঝরিয়ে ঘন্টায় প্রায় কয়েক বিলিয়ন কোটি পৃষ্ঠা লিখে ফেললেও সমাধান ০.২ এর বেশী পাওয়া যাবেনা।
সমাধান:ঘুম ভাঙ্গাতে চাই।
মায়ের দুধের মত বিকল্প নেই।
রাগ করবেন না।আমি মানুষকে ভালবাসি।
পক্ষপাতিত্বের ইচ্ছাও ছিলনা।
২. আপনার সেই ভাবীর বিপক্ষে লিখুন যে আপনার আদরের ছোট ভাই ও প্রান প্রিয় মাকে দৌড়ের উপর রাখছে ।
৩. সেই মেয়ের বিপক্ষে লিখুন যে একটা সহজ সরল ছেলের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাকে প্রতারিত করে আরেকজন পয়সাওয়ালার সাথে ভাব জমিয়েছে।
৪. লিখুন সেই রোমিওর পক্ষে যাকে তার পাড়ার সুন্দরী মেয়েটি অপমান করেছিল মেয়েটিকে ফুল দেবার অপরাধে । যে মেয়েটি একই প্রস্তাব শাহরুখ দিয়েছিল বলে একসেপ্ট করেছিল ।
৫. লিখুন সেই সব সাঈদের পক্ষে যে তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর চোখ কেন নষ্ট করে দিয়েছিল ।
টপিক ধরিয়ে দিলাম - এবার তোপ দাগান।
'' আবার দেশের ৩ নেত্রীও নীরব! কিছুই করতে পারছেন না নারীদের জন্য!''
০ আপনারাই তো বলেন - '' আমরা নারীরা মোট জনসংখ্যার ৪৯শতাংশ , সরকার বানা ভি সাকতি হ্যায় , গিরা ভি সাকতি হ্যায়''
একটা বেসিক জিনিস মনে রাখবেন : নারীর চাওয়া সবসময়ই পুরুষের কাছে , নারীর কাছে নয় । তাই যতই পুরুষকে গালাগাল করেন না কেন , মামলা করেন না কেন - আপনাদের দাবী পুরুষেরাই মেটায়,নারীরা না।
ইভ টিজিং ছেলেরাই করে, আবার ইভ টিজারদের প্রতিরোধ করতে আসে ছেলেরাই , কেউ কেউ মারাও যায়। বোনরা কখনও ভাবীদের জ্বালাতনের হাত থেকে ভাইকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে না । সমাবেশ করে না যেমনটা ভাইয়েরা তাদের বোনদের জন্য করে থাকে।
ইভ টিজিংয়ের চেয়ে এডাম টিজিংয়ের ভয়াবহতা ব্যাপক ।
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন আছে বলে এখন এটার মাত্রা অনেক কমে গেছে। পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন আইন নাই বলে এটা সবসময়ই ছিল এবং নারী নির্যাতন মামলার অপব্যবহারের ফলে ইদানিং পুরুষ নির্যাতনের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে।
নারী নির্যাতনের ধরন এক রকম আর পুরুষ নির্যাতনের ধরন আরেক রকমের ।
পুরুষের/স্বামীর সামর্থ্যের বাইরে তার জন্য ব্যয় করতে বাধ্য করা ,ফলে স্বামী দূর্নীতিতে যেতে বাধ্য হয়।
তার বাবা মার সাথে দূর্ব্যবহার করে ওল্ঢোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা ।
তার সাথে থেকেও আরেক পুরুষের সাথে পরকীয়া চালিয়ে যাওয়া প্রতারনা করা।
এসবের কি কোন বিচার হয় ? আর হয় না বলেই এর ভিকটিমরা+কোলেটেরাল ভিকটিমরা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে চায় না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন