গাও ছুঁইয়া ছুঁইয়া যায়...।
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ২৯ জুন, ২০১৪, ১২:৩৯:২৬ দুপুর
>গাউসিয়া মার্কেট মানেই ঠেলা-ঠেলি...আর মেয়েদের স্রোত সাথে ছেলেরা তো আছেই! এখানে গেলে নিজে হাঁটতে হয় না।। স্রোতের আর মানুষের ধাক্কায় এ পাশ থেকে ওপাশ চলে যাওয়া যায়।। বসুন্ধরা/ মৌচাক বা অন্য কোথাও যাই না কেন, গাউসিয়ায় না গেলে কেন যেন শপিং করাটা ঠিক ঠাক মত হয় না! অনেকে হয়তো বলবে- ঠেলা খাইতে যান? না কি কম দামে জিনিস কিনতে যান? বলবো না- হ্যাঁ ! তবে এখানে শপিং করে ইচ্ছেমত পছন্দসই অনেক কিছুই পাই বলেই যাই!
>যাক- প্রসঙ্গ - গাও ছুঁয়ে যাওয়া ...! এখানে শত শত মানুষের ভিড়ে এক শ্রেনীর ছেলে/ পুরুষ নামক অমানুষও যায়... যারা সুযোগের স্বদব্যবহার করতে ছাড়ে না! এরা ইচ্ছে কৃত ভাবে গুতা বা ঠেলা দিবেই ! কখনো একা যাই না, সব সময় খালা/ মা থাকেই! খালা গেলেই পেছনে থাকে আর সামনে চিপায়-চুপায় মেয়েদের পাশ দিয়ে আমি চলার চেষ্টা করি! এবার গিয়েও তাই করছিলাম- কিন্তু শপিং করতে করতে এ দোকান সে দোকান এর মধ্য দিয়ে যেতে যেতেই এক বদমাশ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছে করেই মারলো ধাক্কা, পড়ে যাওয়ার আগেই (বুঝতে পেরে) ঘুরে বদমাশের পিঠে দিলাম জোরসে খামচি! (সুয়ারেজের মত কামড়াতে পারি নাই) ! বদমাশ শুধু ঘুরে পিঠে হাত দিয়ে ঠেলা-ঠেলি করে ভেগে গেল, বুঝেছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে কিছু বললেই আরো কিছু হতে পারে।
>>আফসোস ডান হাতের নখ বড় ছিল না নইলে খামচি দিয়ে ওর পিঠের চামড়া অন্তত ছিল্লা দিতে পারতাম... ! কিছু মানুষ থাকে যাদের সামনে গায়ে বস্তা পড়ে গেলেও তারা মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দিতে কিংবা এ ধরনের অপকর্ম করতে পিছ-পা হয় না!
বিষয়: বিবিধ
১২০৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একদম অনিচ্ছাকৃত।
আমি একবার এরকম হাটছিলাম তো হুট করে একজনের পাঞ্জাবীর পকেটে সম্ভবত সোয়েটারো হতে পারে হাত ঢুকে গেছিলো তখন লোকটা রেগে ফায়ার কিন্তু আমার চেহারার বরকতে সে যাত্রায় রক্ষা পাই।
কারন সে বুঝতে পেরেছিলো এটা অনিচ্ছাকৃত এবং অ্যাক্সিডেন্ট।
চলার পথে অনেক রকম ভুল হয় তবে মাঝে মাঝে মিসটেকও হয়ে যায়।
তবে সেটা বুঝারো ভুল হয় অনেক সময়।
লেখালেখির মাধ্যমে যদি কারো মনে সামান্যতম পরিবর্তন আনা যায়, এতে্ই বা কম কিসে? ধন্যবাদ।
কোন মেয়ে বদমাইশ ছেলেদের লুইচ্চামীর জবাব যদি খামচি মেরে অথবা অন্য কোন শারিরিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে দেয়ার চেষ্টা করে তা কোন বাহবা পাওয়ার মত বীরাঙ্গনা নয়। একজন নারী তার কথাবার্তা, আচার আচারণ স্বাভাবজাত রুচিবোধের মধ্যেই তার নারীত্ব প্রকাশ করার যোগ্যতা বা পারদর্শিতা দেখানোই আসল বীরাঙ্গনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন