আপনার মেয়ে শিশুর প্রতি খেয়াল রাখুন !
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ২৮ জুন, ২০১৪, ০৭:৪৮:৩০ সন্ধ্যা
অনেক আগে একবার ফেসবুকে বলেছিলাম প্রায় প্রতিটি মেয়ে শিশুই ছোটবেলায় কোন না কোন ভাবে একদম নিজেদের নিকটাত্মীয় দ্বারা বা কোন অন্য মানুষের দ্বারা আদরের নামে হয়রানীর শিকার হয়! অনেকেই মেনে নিতে চায়নি! বলেছে- না আমার বোন, আমার মেয়েরা এরকম কিছুর শিকার হয়নি! আসল সত্যিটা হল- ১০০ তে ৯৫টি বাচ্চা ভয়ে বা এক ধরনের লজ্জায় কিংবা না বোঝার ফলে এইসব কথা বলতে পারে না !
>> কিছুদিন আগে আমার পরিচিত পাড়ার এক ফুটফুটে ৭/৮ বছরের মেয়ে এ ধরনের হয়রানীর শিকার হয়! তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল, দূরসম্পর্কের এক খালু । মেয়েটির বাবা-মা পরিচয় করিয়ে দয় মেয়েটিকে এটা তোমার খালু ! এরপর মা চলে যায় রান্নাঘরে, বাবা গল্প করতে থাকে আর খালু তাকে কাছে ডাকে , এবং জোর করে চুমু খেয়ে যেই তাকে চেপে ধরতে যায়, মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বাবার কাছে ছুটে যায়! এবং কাঁদতে শুরু করে বাবাও হতভম্ব হয়ে যায়! পরে সেই লোক চলে যাওয়ার পর মেয়েটি বারবার বলতে থাকে- খালু খুব পচাঁ! আমাকে চেপে ধরেছে...।
>> আমার এক কাজিনের মেয়েকে এভাবে তার-ই এক দেবর নামক চাচা জোর করে ক্লাস থ্রিতে থাকাকালীন - দেখি মা, কত বড় হয়ে গেছ এই বলে কাছে টেনে নিয়ে আদরের ছলে বুকে হাত দেয়ার চেষ্টা করে, মেয়েটি কোন রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পরে কান্না শুরু করে!
>>> এ রকম অনেক ঘটনাই ঘটে যা বাবা-মা’রা বা অন্য কেউ জানতে পারে না! যা হয়ত আরো বেশি ভয়াবহ! অনেক শিক্ষকের দ্বারাও মেয়েরা এভাবে নির্যাতিত হয়! আসল সত্যিটা হল- মেয়েরা সর্বপ্রথম নির্যাতিত বা নোংরামির শিকার হয় একদম পরিবারের নিকটাত্মীয় দ্বারাই ! শুধু প্রকাশ পায় খুব অল্পই! আবার বললেও অনেকে বিশ্বাস করবে না এই একটা ভয় এবং লজ্জা থেকেই অনেক কিছুই অপ্রকাশ থেকে যায়!
>>> তাই নিজের মেয়ে বা বোনের দিকে বিশেষ নজর রাখুন, সব বিষয়ে তাদের সাথে খোলামেলা ভাবে বন্ধুর মত আচরন করুন যাতে সেই শিশুটি আপনার কাছে নির্দ্বিধায় সব কিছু বলে দিতে পারে! এবং লক্ষ রাখুন অইসব অমানুষদের হাত থেকে যেন আপনার শিশু রক্ষা পায়!
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৭ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এগুলো মানুষ করতে পারে আপনার পোষ্টটি না পড়লে হয়তো ধারনা পেতাম না।
একটু সচেতনতা জরুরী। এসব ক্ষেত্রে অন্ধ বিশ্বাস, অতি উদারতা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরেকটা বিষয়, শিশু-কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের বাসায় যে কাজ করার সহকারী (কাজের লোক) থাকে তাদের জিম্মায় দিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ সবচাইতে বেশী সচেতন মহল বলে যারা পরিচিত – তাদের মধ্যেই। এগুলোও উল্লেখযোগ্য।
এভাবে অপ্রাপ্ত-বয়স্ক শিশু-কিশোরদের বাসায় ফেলে রেখে মহিলাদের (বউ-দের) বাইরে কাজে যাওয়া উচিৎ নয় বলে আমি মনে করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন