ইসলামে উপপত্নীর বিধান, কাফির নারীদের প্রতি যুলুম নাকি রহমত?

লিখেছেন লিখেছেন উত্তম বলুন অথবা চুপ থাকুন ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৩:২৮:৪৮ দুপুর

ইসলাম কেন যুদ্ধবন্দী কাফির নারীদের ক্রীতদাসী হিসেবে নেয়ার সিস্টেমকে পুরোপুরি অস্বীকার না করে, এটিকে বৈধ রাখল এবং একটি নতুন আঙ্গিকে আপডেট করল?

.

যুদ্ধবন্দী কাফির নারীদের যদি ছেড়ে দেয়া হয়, তবে তার হয়ত কোন কাফির পুরুষকে বিয়ে করবে, এবং তাদের সন্তানেরাও পারিবারিক কারণে কাফির হিসেবে বড় হবে। এবং এভাবে কাফিরদের একটি বংশানুক্রম চালু থাকবে।

.

কিন্তু সেই কাফির নারীকে যদি কোন মুসলিমের দায়িত্বে দাসী হিসেবে দেয়া হয়, এবং তাকে যদি সেই মুসলিম উপপত্মী হিসেবে গ্রহণ করে, তবে তাদের থেকে সন্তান হবে, সে তার পিতৃ পরিচয়ে মুসলিম হিসেবে বড় হবে, এবং এভাবে একটি মুসলিম বংশানুক্রম চলবে।

.

এর মাধ্যমে একজন কাফির নারী গর্ভ থেকে কাফির প্রজন্মের বদলে মুসলিম প্রজন্মের জন্ম দেয়ার সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। সেই যুদ্ধবন্দী নারী মুসলিম না হলেও, তার মাধ্যমে মুসলিম সন্তানদের জন্ম হচ্ছে। অথচ এমনটা না করলে, সে হয়ত কোন কাফির পুরুষকে বিয়ে করত, এবং কাফির প্রজন্মের বিস্তার ঘটাত।

.

মুসলিমদের দাসী হবার কারণে, তার খুব কাছ থেকে মুসলিমদের দেখার এবং ইসলামকে বুঝার সুযোগ পায়, এবং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বেশির ভাগ যুদ্ধবন্দী কাফির নারীরাই শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করে।

.

তেমনিভাবে বলা যায়, ইসলাম আহলুল কিতাবী নারীদের বিয়ের বৈধতার মাধ্যমে ঠিক এইরকম ভাবে, কাফির নারীদের গর্ভে কাফির প্রজন্মের পরিবর্তে মুসলিম প্রজন্ম তৈরীর সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে।

.

প্রশ্ন আসতে পারে, একজন কাফির মায়ের ঘরে, কি ধরণে মুসলিম প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে?

.

এর উত্তর হচ্ছে, মুলত খিলাফাহ কিংবা দারুল ইসলামে এমনটা হবে। দারুল ইসলামে ইসলামের পরিবেশ থাকার কারণে একটি পুরো প্রজন্ম ইসলাম থেকে বিচ্চুত হবে না। এজন্য আলিমরা দারুল ইসলামের বাহিরে আহলুল কিতাবী নারীদের বিয়েকে মাকরূহ বলেন, কারণ এতে সন্তানদের ইসলামি পরিবেশের না থাকার কারণে মায়ের ধর্মের দিকে ঝোক থাকার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া দারুল ইসলাম ব্যতীত যুদ্ধবন্দী কাফির নারীদের উপপত্মী হিসেবে গ্রহণ করারও কোন সুযোগ বাস্তবে নেই। তাই দারুল ইসলাম ব্যতীত এই সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্ভব নয়, এবং দারুল ইসলামের কারণেই কাফির যুদ্ধবন্দী অথবা জিজিয়া দেয়া নারীরা শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করে, এবং মুসলিম প্রজন্মের মা হওয়ার মর্যাদা লাভ করে। ইসলামের এই নিয়ম কাফিরদের নারীদের জন্য রহমত সরূপ, নতুবা তাদের কাফির পুরুষদের বিয়ে করে, তাদের সন্তানদের মা হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকত না।

.

উল্লেখ্য ইসলামের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খলিফা, সুলতান এইরকম দাসীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

বিষয়: বিবিধ

৯০৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384005
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:৫৮
হতভাগা লিখেছেন : এখন কি আর সেই দাস প্রথা আছে ?

যুদ্ধ বন্দী কাফির ক্রীত দাস পুরুষদেরকে কি একই নিয়মে বিয়ে করতে পারবে মুসলিম নারীরা ?
384008
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৩:২২
সাদাচোখে লিখেছেন : ইসলামে ''উপপত্নীর বিধান'' নামক যেমন কিছু নেই; তেমনি কাফির নারীর প্রতি তা হতে নিঃসৃত 'জুলুম' কিংবা 'রহমত' বলে স্যেকুলার কিংবা নাস্তিকের বিদ্যাবুদ্ধির ন্যায় কিছু একটা চালিয়ে দেবার কোন অবকাশ নেই।

বরং ইস্যু হল সিম্পল - মহান স্রষ্টা তার সৃষ্ট মানুষকে কমান্ড করেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, আর যার উপর জুলুম হয়েছে - তার পক্ষে যুদ্ধ করতে। যুদ্ধ শেষে কি করতে হবে তা বাতলে দিয়েছেন সব মানুষকে। যারা তা পালন করবে তারা স্রষ্টার অনুগ্রহ পাবে আর যারা পালন করবে না - তারা অনুগ্রহ পাবে না। ইটস্‌ দ্যাট সিম্পল।

স্যেকুলার, স্রষ্টার চেয়ে নিজেকে স্মার্ট ভাবলে মানুষ ভাবতে চেষ্টা করে, বলতে চেষ্টা করে - স্রষ্টা গরু, ছাগলের প্রতি বড় অবিচার করেছেন। মানুষ নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে নিজের উদর পূর্তি করে।

কিন্তু স্রষ্টায় বিশ্বাসী মানুষ জানে স্রষ্টা কারো প্রতি কোন অবিচার করেন না। তিনি মানুষ ও জিন নামক দুটি সৃষ্টিকে পরীক্ষা করার জন্য পৃথিবী নামক পরীক্ষা ক্ষেত্রে পরীক্ষার নিমিত্তে ছেড়ে রেখেছেন মাত।

এবং দেখছেন - কে তার আদেশ মেনে মেনে সাকসেস নিশ্চিত করছে আর কে তার আদেশ অমান্য করে ফেইল করছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File