“নারীর মেকী স্বাধীনতা!!”
লিখেছেন লিখেছেন উত্তম বলুন অথবা চুপ থাকুন ২৮ জুলাই, ২০১৪, ০৫:২৫:২৬ সকাল
আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’আলা নারীদের নরম করে সৃষ্টি করেছেন, এজন্যেই তাদের দিয়েছেন মায়ের দায়িত্ব, দিয়েছেন স্ত্রীর দায়িত্ব। তাদেরকে দিয়েছেন ঘরের কাজের দায়িত্ব, যেগুলো ভারী না কিন্তু ব্যাপক এবং অতিপ্রয়োজনীয়। ঘরের কাজ ছাড়া মানব সমাজই কল্পনা করা যায় না। একজন শিশুর জন্য কোমল একজন মা দরকার একজন যুবকের জন্য নমনীয় স্ত্রীদের দরকার। এদের কারো জন্যেই ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড, সেল্ফ ডিপেন্ডেড নারীর দরকার নেই, যারা তাদের মূল দায়িত্ব ফেলে দুনিয়া অর্জনটাকে মূখ্য মনে করে। যদিও নারীরা বাঁকা মনোভাবাপন্ন, এটাই তাদের সৌন্দর্য্য।
একটা ওপেন সিক্রেট ব্যাপার হল যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্যাম্পেইনে নারীদের রিসিপসনিষ্ট হিসেবে রাখা হয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। যেহেতু মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোর জন্য পুরুষরাই অর্থ খরচ করে এবং এখন পর্যন্ত অর্থনীতির মূল নিয়ন্ত্রায়ক পুরুষরাই, তাই পুরুষ গ্রাহকদের মনকে নরম করাটা বিশাল একটা ব্যাপার। ফিতরাগত কারণেই পুরুষরা নারীদের প্রতি শুধুমাত্র দূর্বলই না, বরং অনেক বেশি দূর্বল। আপনি যতই রুক্ষ স্বভাবের হন না কেন, যখন আপনি কোন ব্যাপারে কোন নারীর সাথে যে আচরণটি করবেন, সেটা অন্যান্য পুরুষদের প্রতি আপনার আচরণের সমানুপাতিক হবে না, বরং কিছুটা হলেও নরম হবে।
যেহেতু নারীদের কমনীয়তা, সৌন্দর্য্যই তাদেরকে চাকুরী দেয়ার ক্ষেত্রে মূল উপজীব্য। আপনি বলতে পারেন যে তাদের তো পেশাগত দক্ষতাহীনদের নিয়ে কোম্পানীর কোন লাভ নেই, জ্বী এখানেই প্রশ্ন যে পুরুষদের পেশাগত দক্ষতা কি শেষ হয়ে গিয়েছে?? আর শেষ হলেই বা কেন হয়েছে? অর্থাৎ একই চাকুরীর জন্য একই যোগ্যতার পুরুষ এবং নারীর ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, বাস্তবে তো অনেক কম যোগ্যতা সম্পন্ন নারীরাও বড় বড় পদ বাগিয়ে নিচ্ছে একমাত্র নারী হওয়ার কারণে!!
আমার পাশে যদি একজন নারী সহকর্মী থাকে তবে আমি তার কমনীয়তা, সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারব। যদি সে মাথা আর মুখও ঢাকে, তবুও আমি অন্তত তার কন্ঠের নমনীয়তা উপভোগ করতে পারবো। তার জন্য আমাদের অনেকে বলে যে নিকাব করা ফরজ কে বলেছে। এখানে প্রশ্ন নিকাব ফরজ কি না সেটা না। একটা মেয়ে চুল ঢাকে, তাই তার চুলের সৌন্দর্য্য দেখতে পারছি না, কিন্তু যদি অন্তত মুখ খোলা রাখে তাহলে অন্তত চান্স নিতে একটু সুবিধা হয়। এর জন্য নারীকে শুধু ঘর থেকে যে কোন রূপে, যে কোন ছুঁতোয় বের করে আনতে হবে। এখন দ্বীনি ছুঁতো হলেও শয়তান সুযোগটা কখনোই হেলায় ছেড়ে দেবার নয়। নারীদের মুক্তির কথা এখানে একটা ছুঁতো ছাড়া আর কিছুই নয়!!
হয়ত একজন নারী এভাবে নিজের ক্ষেত্রে কোন ক্ষতিকর প্রভাব না দেখতে পেলেও, তার দ্বারা যে কতজনের ক্ষতি হয়েছে এবং হবে, সেটা আর বুঝতে পারে না, বুঝতে চায় না। বস্তুবাদী স্বার্থপর আবর্জনাময় পৃথিবীর একটা বাস্তব রূপ। তারা আসলে পুরুষতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে আরো বেশি পুরুষতন্ত্র নিমজ্জিত হয়। বাস্তবতাটা হচ্ছে যে তারা আপন পুরুষের নেতৃত্ব থেকে বের হয়ে যেতে চায়, অথচ বের হয়ে যে পরপুরুষের অধীনে চলে যায়, সেটা আর বুঝতে পারে না। যদিও এটাকেই ব্রেইন ওয়াশড নারীরা স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি মনে করে!!তারা নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলছে, কেন তারা শিশুদের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলছে না? যেই বাবা তার শিশুর ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিতে পারে, সে তার স্ত্রীরটাও নিতে পারবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিটা যে আসলে তাদেরকে দিয়ে ফিতনা ছড়ানোর সূত্রপাত ছাড়া আর কিছুই না। অন্তরের ব্যধি থাকলে এটা বুঝা আর সম্ভব না।
জনৈক বলেছেন, “ঘরে স্বামী-সন্তানের জন্য কষ্ট করলে সেটা না কি পরাধীনতা আর বাহিরে পরপুরুষদের জন্য কষ্ট করলে সেটাই না কি স্বাধীনতা!”
আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতা’আলা আমাদের উপর রহম করুক।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন