পাঠক আপনাদের পায়ে পরি এই পোস্টটি পড়ুন আর আমার আপনার বোন আফিয়াকে বাঁচান !!!
লিখেছেন লিখেছেন আরিফার চৌধুরী ০১ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪১:০৬ রাত
আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র নির্যাতন কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তার অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে/
তবে এখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন নিরপরাধ ড. আফিয়া সিদ্দিকীর কথা !! একজন নির্দোষ মানুষকে
কিভাবে অপরাধী বানিয়ে দেয়, আর তাদের নির্যাতন কতটা ভয়াবহ, তা পড়লেই বুঝতে পারবেন /
ছবিটা লক্ষ্য করুন, বামপাশের ছবিটা গ্রেফতারের আগের আর ডানপাশের ছবিটা নির্যাতনে বিধস্ত !!!
নির্দোষ এই মানুষকে এখন তার দেশ পাকিস্থানে ফিরিয়ে আসনে আপনার একটু সহযোগিতা প্রয়োজন/
ডিটেইল দেওয়া আছে , একটু কষ্ট করে পড়ুন আর লগইন করে এই বোনকে সাহায্য করুন
++++++++++++++++
ড. আফিয়া সিদ্দিকি; যার জীবনের ইতিহাস আপনার চোখের অশ্রু ঝরাবে।
তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য আপনিও ভূমিকা রাখুন!
পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত এই নারী আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এখন যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ভোগ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
*তিন সন্তানের জননী
*কোরানের হাফেজা
*Massachusetts Institute of Technology (MIT) এর গ্রাজুয়েট
*cognitive neuroscience এ পিএইচডি করেছেন Brandeis University, USA থেকে
*যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম প্রচারের জন্য তিনটি গাইড লিখেছেন
পড়াশুনা শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই তার পেশাগত এবং ইসলামিক কর্তব্য নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৯/১১ এর ঘটনার পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্রে তখন মুসলিমদেরকে সন্দেহের চোখে দেখা হতো। আফিয়া সিদ্দিকি অবস্থা সুবিধেজনক নয় দেখে পাকিস্তান চলে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে বেশ কয়েকজন ইসলামিক স্কলারের সাথে তার পরিচয় ছিল; যাদেরকে তালেবান-সংশ্লিষ্ট বলে সন্দেহ করা হয়। বসনিয়ার নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি বিশাল ফান্ড গঠন করেছিলেন।
এই সূত্র ধরে তালেবানের সাথে জড়িত সন্দেহে ২০০৩ এর মার্চে পাকিস্তান থেকে তিন সন্তানসহ পারভেজ মোশাররফ সরকারের সহায়তায় তাকে অপহরণ করা হয়। দীর্ঘদিন আফগানিস্তানের কুখ্যাত বাগরাম কারাগারে পুরুষদের সাথে একই সেলে বন্দি রাখা হয়। একদিন সুযোগ পেয়ে মার্কিন সৈন্যকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরিনামে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার উপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। তাকে ধর্ষণ করা হয়, খুলে নেওয়া হয় কিডনি।
দীর্ঘ প্রহসনের বিচার শেষে মার্কিন সৈন্য হত্যার কথিত অভিযোগে ৮৬ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। অ্যামনেস্টি সহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুরু থেকেই এই রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কোন বিকার নেই।
অবশেষে পৃথিবীর নানা প্রান্তের অসংখ্য বিবেকবান মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ অনুরোধের পর হোয়াইটহাউজ কর্তৃপক্ষ একটি পিটিশন খুলেছে যেটাতে এক মাস সময়সীমার মধ্যে এক লক্ষ মানুষের সাইনের প্রয়োজন। এক লক্ষ আবেদন হলে মার্কিন সরকার তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বিবেচনা করবে। পিটিশনটি উন্মুক্ত হওয়ার পর গত ১৫ দিনে ৯০২০৩ টি সাইন হয়েছে (এই মাত্র দেখা)। বাকি ১৫ দিনে আরো প্রায় ১০০০০ সাইন প্রয়োজন। লাস্ট ডেট- আগস্ট ০৩, ২০১৪।
পিটিশনটিতে সাইন করতে হলে এই লিঙ্কে যেতে হবে:
https://petitions.whitehouse.gov/petition/repatriate-dr-aafia-siddiqui-imprisoned-more-11-years-matter-urgency/2PQG3V0S
১. পেইজের ডানদিকে আপনার নাম ও ইমেইল আইডি লিখুন।
২. জিপ কোড দিন- 75290
৩. সাইন করলে আপনার মেইলে পিটিশনটির একটি বার্তা যাবে। সেখানে গিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করলে ভেরিফাই হয়ে গেল। বাস্ এতটুকুই।
আফিয়া সিদ্দিকি ইসলামের প্রতি প্রবল অনুরক্ত ছিলেন। উইকিপিডিয়া থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি, ”In 1999, while living in Boston, Siddiqui founded the Institute of Islamic Research and Teaching as a nonprofit organization. She served as the organization's president. She attended a mosque outside the city where she stored copies of the Quran and other Islamic literature for distribution. She also helped establish the Dawa Resource Center, a program that distributed Qurans and offered Islam-based advice to prison inmates.”
ভারতবর্ষে নির্যাতিত একজন বোনের চিৎকারে মুহাম্মাদ বিন কাসিম ছুটে এসেছিলেন। সেই আদর্শ ধারন করে এই কষ্টটুকু ড. আফিয়ার মত মহীয়সীর আমাদের করা কর্তব্য।
নিচের ফটোতে বন্দী হওয়ার আগে ও পরে ড. আফিয়ার চেহারা; যা দেখে অনেকেই চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি।
ড. আফিয়া সিদ্দিককে মুক্ত করতে খোলা ফেবু পেইজঃ
https://www.facebook.com/FreeAafiaSiddiquiNow
বিষয়: বিবিধ
১৮২০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি বাংলাদেশ থেকে আমার নাম-ঠিকানা-ইমেইল ব্যবহার করে করাচির পোষ্টাল কোড দেয়ার কারণটা বুঝি নাই! এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন?
যে অবস্থা দেখলাম তাতে তো ১০০,০০০ তো প্রায় হয়েই গেছে।
কিন্তু যারাই তাকে অত্যাচার করেছে তারাই তার বিচার করছে - কেমনে কি ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন