শবে বরাত? মরিচা-আতশের হোলি? স্বার্থান্বেষীদের আক্রমণ? না কি ভাগ্যের নির্মম পরিহাস?
লিখেছেন লিখেছেন ষষ্ঠেন্দ্রিয় ১৪ জুন, ২০১৪, ০৫:১৪:২০ বিকাল
শবে বরাত। কেউ কেউ বলে এ রাতে ভাগ্য লেখা হয়। কেউ বলে এটা মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। কেউ বলে এটা ইসলামে নাই, বিদাত। যে যাই বলুক, বাংলাদেশের সরকার বলে এই দিন ছুটি। সুতরাং উৎসব থাকুক আর না থাকুক, কিছু একটা হবে।
ধর্মীয় বিষয়াদিতে এতদঞ্চলে অধিকাংশ পাকিস্তানীর আগেব চরমে দেখেছি। অবশ্যই সবাই নয়। যার প্রমাণ সেখানকার শিয়া-সুন্নী-কাদীয়ানীদের পারস্পরিক হানাহানি। বাংলাদেশেও রয়েছে শিয়া-সুন্নী-কাদীয়ানী-মাযহাবী-লা মাযহাবী ইত্যাদি। তবু তুলনায় পাকিস্তানীদের আবেগ অগ্রগণ্য দেখেছি। আবেগ মন্দ নয় ততক্ষণ, যতক্ষণ তা নিয়ন্ত্রিত থাকে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিপত্তি ঘটে। ঠিক যেমন ঘটলো পল্লবীর কালশীতে।
ঘটনা যখন ঘটে তখন সুবিধাবাদীরা বাটোয়ারায় বসে। কার কোন ভাগ দরকার সে অনুযায়ী ঘটনাকে রং লাগিয়ে সাজাতে হবে। তেমনি নানা খবরে রং লাগিয়ে ঢং করে লিখছেন সংবাদের চিত্রকররা।
রং যেদিকে লাগুক বাস্তবতা হলো ন'টি প্রাণ ঝরে গেল। রেখে যাওয়াদের শোক-আর্তনাদে আতশবাজির ঝলকের মত নয়; বরং আগুনের ধোঁয়ার সাথে মিলেমিশে একাকার যেন কালশীর আকাশ।
শবে বরাত যদি থাকে তাহলে উৎসব কেন? ভাগ্য যদি লেখা হয় তাহলে আবেদনের রাত হওয়া উচিত। কান্নার রোল পড়া উচিত। আতশবাজির আনন্দ কোথা থেকে এলো?
শবে বরাত যদি সঠিক না হয় তাহলে কেন এই সাজ? দলাদলি, আড়ম্বরতা, পরিণামে মারামারি?
থাকুক আর না থাকুক এসব গুলোই মানুষের মূর্খতা। 'কে বড়'-নামক প্রতিযোগিতা। যার শিকার নয়টি তারা প্রাণ! স্বার্থন্বেষীদের থাবায় ঝরে গেলে মুকুল সহ নয়টি ফুল।
শবে বরাতের নামে মরিচা, আতশবাজির পূজাময় সংস্কৃতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথা সুযোগ সন্ধানীরা এ দিনে নানাভাবে লুটতরাজ, খুন ইত্যাদি করে যাবে। নিরহ মানুষেরা এভাবে মরতে থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১১০৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন