ষষ্ঠেন্দ্রিয়কে ফরমালিন মুক্ত থাকুক
লিখেছেন লিখেছেন ষষ্ঠেন্দ্রিয় ১০ জুন, ২০১৪, ০৩:১৫:০৬ দুপুর
ব্লগ লিখবো লিখবো ভাবছি। কি নিয়ে লিখবো তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। অথচ বাংলাদেশ এমন এক দেশ যেখানে লেখার কাঁচামালের কোন অভাব নেই। আবর্জনা থেকে মহামূল্যবান রত্নভান্ডার, কি নেই এদেশে? অনেক প্রশ্ন মনে জাগে। দৈনন্দিন পত্রিকা খুললে, খবর পড়লে হাজারো মন্তব্য মনে ঘরে ফ্যানের মত ঘুরছে তো ঘুরছেই। কি করি? তাদেরকে বের করতে না পেরে কত রাত মাথাব্যথায় কাটিয়েছি। তাই ভাবলাম লিখে লিখে মনের ঘরটা খালি করি। যারা পড়ে তাদের ঘরেও কিছু পাঠিয়ে দেই। এই ভাবনা থেকেই ষষ্ঠেন্দ্রিয়।
ষষ্ঠেন্দ্রিয় লেখক বা লেখকদের একার নয়। এটা সবার। সব মানুষের মাঝে কাজ করে। কেউ কেউ তা তুলে ধরতে পারে। কেউ কেউ পারে না। যারা পারে তারা যেমন বুঝাতে চায় যে, এটা সবার। তেমনি যারা পারেনা তাদের এ ধরনের লেখা দেখে বুঝা উচিত যে, এটা তারই বক্তব্য।
ফরমালিন নিয়ে খবরটি নযর কাড়লো। সব কিছুতে ফরমালিন। এমনকি আজকাল রাজনীতিতেও ফরমালিন যুক্ত হয়েছে। শুনেছি দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফলমূল শাকশবজি ফরমালিন মুক্ত হয়।
এই প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে আমাদের রাজনীতিকে ফরমালিন মুক্ত করার জন্য কি তবে রাজনীতিকদের পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে?
এমন প্রশ্ন সাহস করে করতে না পারলেও সাধারণ মানুষ মনে মনে এমন কিছু ভাবেন।
দেশ ফরমালিন মুক্ত হবে না যতক্ষণ না দেশের পরিচালকরা ফরমালিন মুক্ত চিন্তাধারা ধারন করতে না পারেন। তাও আবার অধিকাংশ হতে হবে। অন্যথা সংসদে সাজানো নির্বাচনের ফসল তুলে তালকে তিল করা খুব সহজ এদেশের জন্য।
বিষমুক্ত খাবার পেতে হলে বিষমুক্ত সংসদ চাই। এমন শ্লোগান বাংলাদেশের মানুষের মনে থাকলেও মুখে নেই। মুখে থাকলেও কর্মে নেই।
হতাশা ব্যক্ত করবো না। নেতিবাচক হতেও চাই না। আশার বীজ বুনতে পারলেই ঝরা-খরায় পঁচে-গলে কিছু না কিছু চারা তো গজাবে। বীজই যদি না বুনি তো চারার আশা কোথায়?
বিপন্নতাকে পুঁজি করে চলতে চাই সমৃদ্ধির সংকল্পে। প্রেরণা-ঐক্য-সাধনা সবসময় স্থায়ী সমৃদ্ধির সিঁড়ি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন