আল্লাহ রাব্বুল আলামিন একইসাথে কিভাবে পরম করুনাময় ও কঠোর শাস্তিদাতা?
লিখেছেন লিখেছেন লেখার আকাশ ১২ জুন, ২০১৪, ১১:৪৪:৪০ রাত
এই প্রশ্নটা সবসময়ই মনে জাগত যে আল্লাহ সুব্হানাহু তাআ'লা পরম করুনাময় হওয়া সত্তেও কিভাবে তার বান্দাদের কঠোর শাসতি দেবেন? দুনিয়ার অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করার পরও যখন কৃত গুনাহের জন্য শাস্তি পাই না তখন ভাবতে কষ্ট হয় যে জাহান্নামের মত ভয়াবহ জায়গা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তার অবারিত করুনায় ও রহমতে পরিপূর্ণ হয়ে অবিশ্বাসিরাও জান্নাতের আশা করবে।তাই বুঝতে পারছিলাম না মা-বাবার চাইতেও যার ভালবাসা অধিক তিনি কিভাবে আমাদেরকে ঐ পরিমাণ শাস্তি দেবেন এমন আগুনদ্বারা যা কিনা চামড়া ভেদ করে কলিজা পর্যন্ত পৌছে যাবে?
একবার একজন প্রশ্ন করেছিল, পৃথিবীতে কিছু মানুষ এত কষ্টে থাকে যে মনে হয় আ্ল্লাহ্ আমাদের কেমন প্রতিপালক যিনি তার সৃষ্টিকে এত কষ্টে রাখেন? আসলে আমরা কষ্ট মাপি বাহ্যিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ, অর্থ-কড়িসহ যেসব জিনিষ পরিমাপ করা যায় তাই দিয়ে। অথচ আল্লাহ্র প্রতি অবিচল আস্থা আর ঈমানই হওয়া উচিত ছিল শান্তি-সুখের পরিমাপকারি। যার অন্তরে ঈমান আছে সে যে শান্তি অনুভব করে জাগতিক কোন কিছু দিয়েই তা মাপা যায় না। সুতরাং আল্লাহ্ যে রহমান ও রহীম তাতে কোন সন্দেহ নাই। বরং তাঁর সৃষ্টির প্রতি তাঁর চেয়ে দয়াময় আর কেউই নেই।
এত যার ভালবাসা কিভাবে তাকে বিচারকের আসনে বসাই? স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে তাই গতকাল বাচ্চাদের জন্য পিজ্জা পার্টি দিয়েছি। তবে শর্ত ছিল তাদের সবাইকে খুব ভাল হয়ে থাকতে হবে। গত সপ্তাহ থেকে তাদের সতর্ক করে দিয়েছি যে সমস্ত খরচ আসবে আমার পকেট থেকে কাজেই তারা যদি সুন্দরভাবে না চলে , ক্লাসের কাজ ঠিকভাবে না করে না হলে বাতিল হয়ে যাবে অনুষ্ঠান। সবাই যার যার সাধ্যমত চেষ্টা করছে। কেউ কেউ ছোট-খাট দুষ্টুমি করেছে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বা হালকা ধমক দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। কারন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে না পারলে ওদের চেয়ে আমার বেশী মন খারাপ হবে। বাচ্চাগুলোকে যে কত ভালবাসি তা ওরা শাসন করি বলে জানে না। যাই হোক, যেদিন অনুষ্ঠান সেদিন একটা বাচ্চা এত যন্তরনা শুরু করল ধমক আর সতরর্কিকরনে ও পাত্তা দিল না। বরং হাসতে লাগল যেন এটা কোন ব্যপার না। ও মনে করল ও যে কাজগুলো করছে তা ভারী মজার। আর আমার কথা না শুনাটা আরো মজার। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বল্লাম তুমি আসবে না আমাদের অনুষ্ঠানে।
এই ছোট্ট ঘটনাটি আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি কিভাবে ভালবাসা আর মায়া-মমতা সত্তেও কঠিন হতে হয় নিজের প্রয়জনে নয় বরং নিজের বেঁধে দেয়া নিয়মকে সম্মান করে। আর আল্লাহ্ পাক তো সর্বচ্চ ওয়াদা পালনকারী। এবং এ ক্ষেতরে বাচ্চাটিকে জানিয়ে দেয়া যে নিয়ম মানা জরুরী। আরো একটি কারন যে অন্য বাচ্চারাও এর থেকে শিখবে যে যে যেমন কাজ করবে সে তেমনি ফলভোগ করবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৪ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো লেখাটি আপনার। আমাদের সমস্যা হলো আমরা আল্লাহ'র মর্যাদা বুঝতে ভুল করি।
"তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, মহাপরাক্রমশীল।" (কুরআন, ২২:৭৪)
মন্তব্যর জন্য এবং পড়ার জন্যও।
নিয়মিত লেখার অনুরোধ রইলো। আর না লিখলেত জানেন কি হপে.... হাতুড়ি...... হি হি হি...
আপনার হাতুড়ির ভয়ে একটি দোয়া ছনদাকারে প্রকাশ করলাম।
রাখেন দিচ্ছি হাতুড়ি...
এই নিন
আরো লাগলে বলবেন....।
আমি আছি ইনস্ট্যান্ট.......হাতুড়ি নিয়ে।
হা অতি আদর অতি শাষন কোনটাই ভালো না।
অনেক শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন