যেখানে সূর্যাস্ত নেই সেখানে রোজা কীভাবে?
লিখেছেন লিখেছেন জীবন রাহমান ০৮ জুলাই, ২০১৪, ০৩:৫৯:১০ দুপুর
পবিত্র রমজান মাসে একজন মুসলমানকে ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার করা থেকে বিরত থেকে রোজা থাকতে হয়। আচ্ছা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো কীভাবে রোজা পালন করেন যেখানে সূর্য অস্ত যায় না?
সুইডেনের কিরুনা খনি এলাকায় প্রায় ৭০০ মুসলমান বসবাস করছেন। এটা আর্কটিক সার্কেলের ১৪৫ কিমি উত্তরে অবস্থিত।
২৮ মে থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত এখানে ২৪ ঘন্টাই সূর্য দেখা যায়। এবার রমজানের অর্ধেক এই সময়কালের মধ্যে পড়েছে।
এই সময়কালে কিভাবে রোজা থাকবে এটা নিয়ে ব্যাপক ঝামেলায় আছে সেখানকার মুসলমানরা। এ বিষয়ে সুন্নী ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের কোন নির্দিষ্ট ফতোয়া নেই। এজন্য বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে সময়সূচি মেনে রোজা রেখে থাকে।
সিরিয়া থেকে আসা ঘাসান আলানকার বলেন, ‘আমি সকাল ৩.৩০ টাতে সেহরি খেয়ে থাকি যখন সূর্য আমার চোখ বরাবর আলো দিতে থাকে। আমি আমার কক্ষে দুটি পর্দা দেই তারপরও ঘুমানোর সময় আলো থাকে।’
আলানকার সৌদি সময়সূচি মেনে রোজা রেখে থাকে কারণ সেটা নবী মোহাম্মদ(সা) এর জন্ম স্থান। কিন্তু সে তার রোজা নিয়ে উদ্বিগ্ন যে সেটা আল্লাহ গ্রহণ করবেন কিনা।
আলানকার ৭ মাস আগে লেবানন , তুরস্ক ও গ্রীস হয়ে এখানে এসেছে। তিনি সঠিক রোজা থাকছেন কিনা সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন।
মুসলমানদের রমজান শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে। এটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে প্রায় ১১ দিন পিছিয়ে থাকে। ৩৩ বছর পরপর রমজান একই সময়ে পড়ে।
কিরুনার অধিকাংশ লোক যারা রোজা থাকে তারা রাজধানী স্টকহোম সময়সূচী মেনে চলে। ইউরোপীয়ান কাউন্সিল অব ফতওয়া এন্ড রিসার্চ (ইসিএফআর) এর পরামর্শ অনুযায়ী ১২৪০ কিমি দূরের একটি স্থানের সময়সূচী মেনে তারা রোজা থাকে।
সূত্র: আল জাজিরা
বিষয়: বিবিধ
১২৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সূর্য্যের মুখ দেখা যায় না।
এই সাইট থেকে গ্রীনল্যান্ড সহ যে কোন দেশের সালাতের সময় পাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন