স্মৃতির দহন(গল্প পর্ব দুই)
লিখেছেন লিখেছেন এসো স্বপ্নবুনি ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০৪:৪৪ রাত
দেয়াল ঘড়িতে ঘন্টার কাটা টা টিকটিক করে ঠিক সকাল বারোটা বাজার সংকেত দিচ্ছে ! ওদিকে টেলি ফোনটি কখন থেকে বিকট আওয়াজে বেজেই চলছে ! রিসিভ করার কেউ নেই । কাজের বুয়া আব্দাল্লাহ ও নুরানকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছে সেই ভোরে । গতরাতে একটুওঘুম হয়নি নাদিরার তাই সে এখনো ঘুমিয়ে । হঠাৎ ঘুমভাঙ্গলো নাদিরার ’হয়তো অফিসের ফোন হবে । কোল বালিশটি বোগলে চেপে কাত হয়ে রিসিভার ধরলো ।
-হ্যালো ! না না শরীর খারাপ করেনি ! গতরাতে ভাল ঘুম হয়নি তাই ! শোনুন আমার জন্য কোন কাজ ফেলে রাখবেন না যেনো । আমি আজ অফিসে আসবোনা কাল এসেই সব দেখবো কেমন ? রিসিভার রেখে কোল বালিশটাকে বোকে চেপে সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা চাপদিল ’ তারপর আস্তে করে উঠে বাথরুমে ঢুকে সাউয়ারের নিচেগিয়ে দাড়ালো নাদিরা । আজ সুইমিং পোলে গোসল করতে মন চাইছেনা । ঝরনার ঠান্ডা পানির পরশে সারা শরীর যেন সতেজ হয়ে উঠলো ! মাথাভর্তি ঘনকালো দীঘল চুল বার বার হাত দিয়ে বিন্যাস্ত করছে ;সূগন্ধি যুক্ত সাবান নরম হাত দিয়ে শরীরের প্রতিটি স্থানে সূকৌশলে ভালকরে মাখছে ’ অজানা শিহরনে অদ্ভুত এক পূলক অনুভব করছে । জীবনতো এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায়নী কেবল ত্রিশ পার হলো । অনেকেই তো জীবন স্বাথী হতে চেয়েছিল কিন্তু উসামার স্থানে আর কাউকে কল্পনাও করতে পারেনা নাদিরা।
-জীবন চলার পথ এখনো অনেক বাকি এই ভয়ংকর পৃথিবীতে একা পথ চলতে পারবে তো ? ভেতরের নারী নামের মানুষটিকে বহুবার প্রশ্ন বানে আহত করেছে নাদিরা ” কিন্তু নিরুত্তর !
হঠাৎ দরোজায় কে যেন নক করছে ! তারাতারি টাওয়াল দিয়ে শরীর মুছে নিয়ে কাপড় পড়ে ভেঁজা চুল নিয়েই দরোজা খোলে দিল নাদিরা । প্রয়োজনিয় কাগজ পত্রের ফাইল হাতে কেরানী এসেছেন অফিস থেকে ।
-আরে গফ্ফার ভাই তুমি ! এস ভিতরে এস দাড়িয়ে কেন ? তাকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে নিজ রুম থেকে ঝটপট তৈরী হয়ে একটা কুল্ড ড্রিংক্স নিয়ে ফিরে এল ।
-নাও! গরমের মধ্যে কষ্টকরে আসার কি দরকার ছিল ?
-ম্যাডাম এই ফাইল কটায় আপনার সাইন খুব জরুরী !
-ঠিক আছে দাও !
প্রত্যেকটি ফাইল সাইন করার পূর্বে ভালকরে দেখে নিল নাদিরা। মেয়ে মানুষ হলে কিহবে সাংঘাতিক বুদ্ধিমতি এমন নাহলে কি হয় ? ফাইল গুলো হাতে দিয়ে ” কি ভাবছ গাফ্ফার ভাই ?
-না না কিচ্ছুনা ! এবার তাহলে উঠি ম্যাডাম ?
-ঠিক আছে এস !
নাদিরা কিচেনে গিয়ে এবার নিজহাতে কফি তৈরী করে নিয়ে জানালার কাছে গিয়ে বসলো। ফ্যানটা জোড়ে ছেড়ে দিয়ে কফিতে মূখ দিল । চুল গুলি হাওয়ায় উড়ছে! বাহিরে সূর্য্যরে প্রখরতা বাড়ছে’তবুও মানুষের কর্মব্যাস্ততার যেন শেষনেই । ব্যাস্ত এই শহরে কারো কথা ভাববার মোটেও ফুরসৎ নেই কারো । কিন্তু নাদিরা গতরাত থেকে উসামার কথাই শুধু ভেবে যাচ্ছে । সূদীর্ঘ একযুগেও উসামাকে সে হৃদয়পাতা থেকে বিস্মৃতির রাবার দিয়ে শত চেষ্টা করে মুছে ফেলতে পারেনী । হৃদয় এমন এক কঠিন পাথর যার মাঝে অংকিত ছবি কখনো মুছবার নয় । হাজারও স্মৃতিমন্থনে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গিয়েছে নাদিরা একটুও টের পায়নী ।আব্দাল্লাহ ও নূরান স্কুল থেকে ফিরে মাকে জড়িয়ে ধরে ’
-আম্মু চলোনা আজ কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসি ! অনেক দিন তুমি আমাদের নিয়ে কোথ্থাও বেড়াতে যাওনা ! ওরা যেন নাদিরার মনের কথা বলে দিল ।
- ঠিক আছে কাপড় ছেড়ে গোসল করে নাও তারপর খাওয়া দাওয়া সেরে বেড়িয়ে পরবো কেমন ? অদের কপালে আদরের দুটি চুমু এঁেকদিতেই গোসল সেরে ঝটপট তৈরী হয়ে নিল । ওদের মনে যেন আনন্দো আর ধরেনা ! নাদিরা ড্রাইভারকে রেষ্টে থাকতে বললো আজ সে নিজেই ড্রাইভ করবে ।
বিকেলের হাওয়াটা আজ বড় মিষ্টি ! আকাশটা হালকা সাদা সাদা মেঘে ঢাকা ! শা শা করে গাড়ি চালাচেছ নাদিরা মন যেদিকে চায় সেদিকেই যাবে আজ । চলতে চলতে এক সময় শহরের পিচঢালা পথপেড়িয়ে গ্রামের কাচাঁ পথে ঢুকে পড়লো । ভাঙ্গা চুরা অসমতল রাস্তা দিয়ে ঝাকুনি খেতেখেতে সামনের দিকে এগিয়ে চললো । রাস্তা গুলো চীর চেনা পুরুনো বন্ধু বলে মনে হয় নাদিরার কাছে ! ওরা যেনো তাকে তিক্তভাষায় ভৎসনা করছে । ওদের ভৎসনায় মিশে আছে দুঃখ কষ্ট আর ভাল বাসা । উদ্দেশ্যহীন চলতে চলতে চোখের গরম নোনা জ্বলে ঝলসে উঠে নাদিরার সুন্দর মূখ ।
হঠাত গাড়ি ব্রেক করলো ! দুরে কে যেনো মাঠে কাজ করছে । কি কাজ করছে লোকটি ? তাকায় নাদিরা ! মাটির গন্ধে মাতাল লোকটি পৃথিবীর অন্য কিছুতেই দৃষ্টিনেই তার কুদালে মাটি খূড়ে যাচ্ছে বিরামহীন । নতুন ফসলের সম্ভার উপহার দিতে সে যেনো ব্যাস্ত । মনে হচ্ছে গন্ড বেয়ে ঘাম ঝরছে অঝরে তবুও সে বিস্রাম নিচ্ছে না এক মুহুত্যের জন্য। রাস্তার ডানপাশে খোলা মাঠে গাড়ি পার্ক করিয়ে এ্কটু এগুতেই ”
-আম্মু আম্মু ! ভিষন তৃষ্ণা পেয়েছে পানি পান করবো ! তারাহুরা করে পানি আনতে ভুলে গেছে নাদিরা । ছোট মানুষ ওরা ! পানির পিপাশাতো লাগতেই পারে ’
ঐ দেখছে একটি লোক কাজ করছে?
তাকে গিয়ে বল তোমাদের পানির পিপাশা লেগেছে ! সেখানে নিশ্চয়ই পানি রয়েছে । মায়ের কথা শেষ নাহতেই ওরা দুজন দৌড়ে লোকটির কাছে যেতেই সে কুদাল রেখে বিস্ময়ে ওদের দিকে তাকালো !
-দয়াকরে আমাদেরকে একটু পানি দিন্ না ! খুব তৃষ্ণা পেয়েছে ।
Ñঅবশ্যই ! একটু দাড়াও আমি পানি দিচ্ছি ’ পাশেই পানি ভরতি মাটির কলস ছিল তা থেকে গ্লাস ভরে পানি দিতে দিতে জিঙ্গেস করে লোকটি !
Ñগুড়মুড়ি আছে তোমরা কি খাবে ? আব্দাল্লাহ নিরব ! কারন মায়ের অনুমতি ছাড়া খাওয়া ঠিক হবে কিনা সেকথা ভেবে ।
কখনো গুড়মুড়ি খাইনি ,আয়না ভাইয়্যা কটা খেয়ে দেখি ! ছোটবোন নূরানের আবদার রাখতেই পানির গ্লাস রেখে এবার গুড়মূড়ি খাচ্ছে দুভাইবোন আর লোকটি øেহ ভরে তা উপভূগ করছে ! যতই দেখছে ওদের ততোই মূগ্ধ হচ্ছে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে পিতৃস্হনেহ ! ভাবছে তারও তো এমন দুটি সন্তান রয়েছে ! হয়তো এত বড়হবে। -আংকেল আপনার হাত দুটো একদম লালহয়ে গেছে।এত কষ্ট করছেন কার জন্য প্রশ্ন করলো আব্দাল্লাহ ! -এখানে তো কাওকে দেখছিনা ! আপনার কেও নেই আংকেল ? বাবা মা ” জানেন আমাদের বাবা নেই ! নূরানের এমন আবেগজরিত দূঃখের কথা শুনে উসামা তাকে কোলেতুলে নিল !
-এমন করে বলতে নেই মা ! আমার ওতো বাবা মা কেউনেই ’ ঐ গাড়িতে যিনি বসে রয়েছেন ঊনি বুঝি তোমাদের মা ? - হ্যা তিনি আমাদের মা ’ আমদের খুবভাল বাসেন কিন্তু বাবার কথা জিগেঙ্গস করলে কিচ্ছু বলেন্ না শুধু কাদেন জানেন আংকেল তাই আমরা বাবার কথা জানতে চাইনা। আব্দাল্লাহর মূখে এমন অদ্ভুদ কথা শোনে উসামার আরো কিছু জানতে কৌতুহল বাড়লো ’ কিন্তু নূরান যে বললো তোমাদের বাবা নেই ?
-নানু বলেছেন বাবা মারা গেছেন, মা বলেছেন না ! তিনি বেচে আছেন ! বাবার কথা বলতেই আব্দাল্লাহর দুচোখে পানি ছলছল করছে ।
-না ! একদম চোখের পানি ফেলবেনা ! চোখের পানি মুছেদিয়ে øেহের সূরে বলল উসামা ” কাদঁতে নেই বাবা ! একদিন দেখবে তোমাদের বাবা তোমাদের কাছে ঠিক ফিরে এসেছে ,এমন চাঁেদর মত সন্তাদের ফেলে কোন বাবা কি দুরে থাকতে পারে ? জানি না কে সেই হতভাগা পিতা যার হৃদয় এত পাষান ! একথা ভাবতেই নিজের অন্তর আত্মা বিদ্রহী কন্ঠে জবাব দিল ” তুমি নিজেও তো একজন নির্দয় হৃদয়হীন পাসন্ড পিতা !
- না ----- একটা আত্ম চিৎকার চার দিকে ছড়িয়ে পড়লো বিকট আওয়াজে ! নাদিরা চমকে উঠলো ছেলেমেয়ে দুটো দাড়িয়ে রইলো অবাক বিস্ময়ে ! নাদিরা একপা দুপাকরে সামনে এগুচ্ছে ;হঠাৎ থমকে দাড়ালো ! মুহুর্ত্যে তার সমগ্র শরীরে কাপন শুরু হল দাড়াতে পারছিলো না। সবুজ গালিাচার মত দুর্ব্বাঘাস তার উপর বসে পরলো ”তার পর নিজেকে সংবরন করে ভালকরে তাকায় সে ! যে লোকটি আব্দাল্লাহ আর নূরানকে পানি পান করিয়েছে অদের সাথে গল্প করছে সে আর কেউ নন অদের মহানূভব পিতা উসামা ! কিন্তু কেন এ আত্ম চিতকার ?
তবে কি অদেরকে চিনে ফেললো উসামা ? এমনি একটি দিনের মূখো মূখী হতে হবে ” নাদিরা কোন দিন ভাবেনি । এযে এক হৃদয় বিদারক বেদনা বিধুর একটি মুহুর্ত্য ! চোখ অশ্র“সিক্ত ভারাক্রান্ত মন ’
-ওদের কে কি পরিচয় করিয়ে দিব ?
ভাবতেই শিহ্রে উঠলো সে ! শুধুএকটু মূহুর্ত্য পিতার স্হনেমমতা পেয়ে যেভাবে ওরা গর্ভধারিনী মাকে ভুলেগেছে ’আর যদি জানতে পারে ঐ লোকটিই ওদের পিতা তাহলে হয়তো ওরা থেকে যাবে ! না-না অদের হাজারো প্রশ্নের জবাব আমি কিছুতেই দিতে পারবোনা । ওরা গল্প করছে দুরথেকে দেখছে নাদিরা !
-তোমাদের নানুর নাম কি বলতে পার ? প্রশ্ন করলো উসামা ।
-আসিফ চৌধুরী ! জবাব দিল আব্দাল্লাহ ” আসমানের চাঁদ যেন হাতে পেলো । মুর্হুত্যে বুকে জড়িয়ে ধরলো অদেরকে । কপালে চুমু খেতে লাগলো ! দুচোখে অঝর ধারায় অশ্র“ ঝরছে! এ অশ্রু স্নেহের অশ্রু ,বারটি বছরের জমানো স্নেহএকত্রে ঢেলে দিতে চাইলো অসহায় পিতা উসামা । পরমতৃপ্তি আর অপত্য স্হনে যেন তার বুকের ধনকে আগলেনিল । দুর থেকে নাদিরা এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য অবলোকন করছে । বুকভাঙ্গা নিঃশ্বাস পাকখেতে থাকে ! বুকের ভিতরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয় দৗড়ে যেতে ইচ্ছে করে উসামার কাছেকিন্তু কি করে সম্ভব ? নিরুপায় সে ” মনে চায় কাছে গিয়ে ভাল করে এক নজর দেখতে উসামাকে হৃদয়ের পুঞ্জিভূত ব্যাথা গুলো বলতে। ইচ্ছেকরে নিজের অমার্জনিয় ত্র“টির জন্য ক্ষমা চাইতে হায়রে নিয়তি ! তুমি যে কত নিষ্ঠুর কত পাষান । যাকে হৃদয় কুঠুরীতে বন্দি করে ছিলাম যার ভালবাসার পিঞ্জরে এখনো আমি বন্দিনী তার চোখে চোখ রাখার অধিকার তুমি হরন করেছো ! একটু এগুলেই যার মূখো মূখী হওয়া যায় তুমি মাঝখানে সীমারেখা টেনে দিয়েছ যা অতিক্রম করার সাধ্য আমার নেই ।
উসামা ! আমি এখনো তুমাকেই ভালবাসি আজীবন বাসবো ! আমাকে ক্ষমাকরে দিও ’ আমি আমার পাপআত্মার মন্থর জীবনের ঘানি টেনে চলছি বিস্বাশ কর এজীবন আর চলেনা । যতদিন বাচি ততোদিন তোমার স্মৃতি নিয়েই বেচে থাকবো তোমার দুটি চিন্হ যারা শেষ নিশানী ওরা আমার বেচে থাকার প্রেরনা । কয়েক ফোটা অশ্র“ ঝরে পড়লো নাদিরার চোখ থেকে অঝর ধারায় বৃষ্টি ঝরার আশংকায় গাড়িতে গিয়ে হর্ন বাজালো । আব্দাল্লাহ ও নূরান দৃষ্টি ফিরালো গাড়ির দিকে । ওরা বুঝতে পারলো ফিরে যাওয়ার সংকেত এখনি ফিরতে হবে । কয়েক মিনিটের পরিচয়ে মনেহলো কত বছরের পরিচিত ওরা । আবার হর্ন বাজছে! অব্দাল্লাহ ও নূরান গাড়ীর দিকে যেতে চায় কিন্তু মন ওদের কিছুতে যেতে চায়না । লোকটির স্নেহের জালে যে ওদের বেধেঁফেলেছে ! নাড়ির টান বড় টান শিকড়ের টানে সবাইকে ফিরে আসতে হয় ’ কিন্তু ওরা ? শিকড়ের নাগাল পেয়েও পেলনা ! কখন কি ভাবে এদের মহামিলন হবে ? আদৌ হবে কিনা একমাত্র নিয়তিই বলতে পারে । আবার হর্ন বাজলো । ওরা দৌড়েগিয়ে গাড়ীতে উঠলো ।
উসামা সর্বশক্তি দিয়ে ওদেরকে ডাকলো প্রচন্ড গতিতে গাড়ীটি শাশা শব্দে দ্রুত চলেগেল । মনে হট্ছিল অনেক দিনের হারনো সম্পদ হাতে পেয়েও শেষ রক্ষা করতে ব্যার্থ হলো উসামা দুগন্ড বেয়ে অশ্র“ ঝরছে বুকেতার হতাশার অমানিশা । ব্যাথা ভরা হৃদয়ে কুদালের গুড়ালী শক্ত করে ধরে বিরামহীন কুপাতে থাকে
বিষয়: বিবিধ
১৮৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যতিক্রমধর্মী গল্প- নাদিরা চরিত্রটি রহস্যময়; এতো কঠিন স্বভাবের মেয়েরা কি আদৌ আছে?
দেখি কিভাবে সমাপ্তি টানছেন! শুভাকামনা রইলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন