তোমাকে ওরা শহীদ করেছে তোমার রেখে যাওয়া আদর্শ চীরদ্বীপ্ত হয়ে থাকবে:
লিখেছেন লিখেছেন এসো স্বপ্নবুনি ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৪১:২১ রাত
আমরা কি লিখবো?আমাদের বাক রুদ্ধ।আমাদের কলম স্তব্ধ।আমাদের চেতনা যেন নিশ্চল।জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ আমাদের এ বিশ্বাসে কোন ফাকঁ নেই।তবুও স্বজন হারানোর ব্যাথায় আমরা ব্যথিত হই আমাদের রৃদয় ক্রন্দন করে।আবার এমন হয় আমরা কাদঁতে ভুলে যাই।কামারুজ্জামান ভাইয়ের চলে যাওয়া আমাদেরকে বড়ই মর্মাহতকরেছে কারন তাকে অন্যায় ভাবে সরকার হত্যাকরেছে সুপরিকল্পিত ভাবে যাকে জুডিশিয়াল হত্যা বলাযেতে পারে।তাকে হারিয়ে আমরা যেন কান্নার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।যারা জামায়াতে ইসলামীকে এপর্যন্ত নিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে তিনিও অন্যতম একজন।যিনি ছিলেন অত্যান্ত বিচক্ষন ও বুদ্ধিমান,এ আন্দোলেন তিনি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
১০ই এপ্রিল শনিবার আসরের নামায পড়ে একটু বিছানায় গা লাগিয়েছি মাত্র।হঠাত্করে মুবাইল বেজে উঠলে দেখি একটা ম্যাসেজ।আমাদের দায়িত্বশীল মুহতারাম শাহিদুল ইসলাম ভাই লিখেছেন-ওরা কামারুজ্জামান ভাইয়ের ফাশির রায় কার্যকর করতে যাচ্ছে,হে আল্লাহ তুমি আমাদের সাহায্যকর!রাতে টিভির সামনে বসা দেখতে পেলাম সে রাতে রায় কার্যকর হচ্ছনা।একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ছাড়লাম। পরদিন বিকেলে আবার আরও একজন দায়িত্বশীল জনাব হুসাইন আহম্মদ ভাই,খবরটি আমাকে বলবেন বলে ফোন করলেন অথচ তিনি ফোনে কথা বলেতে পারলেন না কেটে দিলেন।আমি বুঝতে পারলাম জালিমেরা আবার সেই ঘৃন্ন কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে।ঢাকা কেন্দ্রীয়কারাগারের সামনে অসংখ্য মানুষের ভির,একটু পর পরই ব্রীফিং হচ্ছে কি ভাবে তার ফাশি কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। আমি অবাক হই আল্লাহর এই বান্দাহদের প্রতি জালিমদের নিসংসতার বিপরীদে আল্লাহর ধর্য্য এবং আল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের উদ্ধতা দেখে।
মনে মনে ভাবছি-আকাশ থেকে কেন অগ্নিবৃষ্টি হচ্ছেনা? কেন সমুদ্রের তরঙ্গমালা বিদ্রহকরে উত্তাল জলরাশি কুলছাপিয়ে এ অভিশাপ্ত জনপদের পাপাচার মানুষগুলোকে বিনাশকরতে প্রলয় নিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসছে না?
তাহলে কি মিথ্যের কাছে সত্য এভাবেই পরাজিত হবে?ভালমানুষ গুলোকে এভাবেই হারাতে হবে? মনকে কিছুতেই বুঝাতে পারিনা।একাই বকে যাই নিরবে।মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের শরীর নিজেই ক্ষত বিক্ষত করে এক বিভত্স দৃশ্যের অবতারনা করি।আবার নিজেকে সংবরন করে ভাবতে থাকি-
আপাত দৃষ্টিতে যদিও সত্য বড় নিষ্ঠুর বলে মনে হয়! ইতিহাস বলে যারাই সত্যশ্রয়ী তারাই যেন সমাজে বিচ্ছিন্ন কোন অস্তিত্ব এবং যুগে যুগে তারাই নির্যাতিত হয়েছে,তবে তাদের আদর্শ কখনো পরাজীত হয়নি,তারা আল্লাহর কাছে চীর সম্মানিত।আজ আব্দুলকাদের মুল্লাভাইয়ের পথধরে কোট কোটি ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের কাদিয়ে চলেগেছেন মহান প্রভুর সান্নিধ্যে। মৃত্যুকালে তিনি মৃত্যুপূর্ব তিনি বলেন:আমিইসলামী আন্দোলনে যেদিন সম্পৃক্তহয়েছে শহীদহওয়ার আকাংখ্যা সেদিন থেকেই মনে লালনকরে আসছি।তার শেষ ইচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এই আত্মদান আল্লাহর দ্বীনের জন্য আমি চাই বাংলাদেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হোক। জনাব কামারুজ্জামান চীরদিন বেচে থাকবে আমাদের স্মৃতিতে এবং ইসলামী আন্দোলেনর ইতিহাসে শহীদীকাফেলায় স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে তার নাম।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের তার রেখে যাওয়া কাজ সফল ভাবে সমাপ্ত করার তৌফিক দান করুন ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন