জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন?

লিখেছেন লিখেছেন এসো স্বপ্নবুনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩০:২৮ রাত

সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলীমদেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিএে পরিচিতি লাভ করেছে।শুধু তাই নয়' প্রথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলীম দেশ হিসেবে স্বীকৃত অমাদের প্রিয় জন্ম ভূমি বাংলাদেশ।তবে কেন আজ-

1. এ দেশে শান্তিশ্র্ংলা বিঘ্নিত হচ্ছে অহরহ!

2. মানুষের জানমাল ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই।

3. ইসলাম ও মুসলিম নিগৃহিত প্রতিপদে!

4. দেশের সার্বভূমত্ব আজ হুমকীর মূখে!

অনেক গুলো প্রশ্নের অবতারনা হয়েছে জাতীর বিবেকের কাছে যার উত্তর খুঁজে বের করতে হবে।

ইসলাম অর্থ যদি শান্তি হয় আমরা যদি সত্যিকারের সূশৃংখল মুসলিম জাতি হয়ে থাকি, তাহলে কেন আজ আমাদের সমাজের শান্তি শৃংখলা বিঘ্নিত হচ্ছে অহরহ?এখানে প্রতিয়মান হয় ইসলাম ও মুসলিমের সংজ্ঞা অনুযায়ী আমরা সত্যিকারের মুসলিম নই যদিও আমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ।

ইসলাম অর্থ আনুগত্যকরা,কোনকিছু মাথা পেতে নেওয়া।ইসলাম শব্দের মূলধাতু সিলমুন"অর্থ শান্তি ও সন্ধি।পারিভাসিক অর্থে।এক মাত্র আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল সঃএর প্রদর্শিত জীবন পদ্ধতি অনূসরন করা এবং এর বিপরিত সমস্ত মত ও পথ পরিহার করে চলাকেই ইসলাম বলা হয়,

যারা এর সঠিক অনূসারি তারাই সত্যিকার মুসলিম।

ইসলাম অর্থ শান্তি।সে শান্তি নিছক নীতি কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয কিংবা নয় কোন শান্তি মূলক কিছু্ উপদেশ বাণীর মধ্যেও সীমাবদ্ধ।ইসলাম শান্তি এই অর্থে যে-

মানুষ মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কবুল করবে এবং একমাত্র তারই আনুগত্য করবে।

আজ সমাজে শান্তি নেই তার কারন ইসলাম নেই।আমরা যদি সত্যিকারের মুসলিম হতাম তাহলেই ইসলাম থাকতো শান্তি বিনষ্টের প্রশ্নই থাকতো না।

আল্লাহর রাসুল সঃ বলেছেন-যার হাত ও জিহবা থেকে তার প্রতিবেশি নিরাপদ নয় সে মুমিন নয়। এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল প্রতিবেশির জানমালের নিরাপত্তা বিধানের একটি দৃষ্টান্তমুলক বিধানের অবতারনা করা হয়েছে।এমন একটি দৃষ্টান্তও কি অন্য কোন ধর্মে খুজে পাওয়া যাবে?

এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাসূল সঃএর এই হাদিসের আলোকে আমারা আমাদের স্বভাব চরিত্র মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হবে আমরা সত্যিকারার্থে মুসলিম কিনা?এবং সমাজে কজন সত্যিকারার্থে মুসলীম রয়েছে?যেখানে মুসলিমগণ ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখেনা নিজেরা মুসলিম কতটুকুন তাও বুঝেনা সেখানে ইসলাম বা মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ কি করে থাকে?

কেউ যদি বলে আমি ডাক্টার আর চিকিত্সা সাশ্রে তার কোন জ্ঞান নাই তাহলে তার দ্বারা ডাক্টারীর মত মহান পেশার কি সূনাম রক্ষা হবে! আর রূগীই বা তার থেকে কি উপকার পেতে পারে।আজ ইসলাম শুধু আমাদের কাছে দাড়ি টুপি লম্বা জামার মধ্যে এবং নামাজ রুজার মধ্যে সিমাবদ্ধ।মানুষ ও জিন জাতীকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য সৃষ্টিকরা হয়েছে-ইবাদত শুধুমাত্র নামাজ রূজা আর তাসবীহ তাহলিলের মধ্যে সিমাবদ্ধ নয় এর একটা ব্যপক ও ভিন্ন অর্থ রয়েছে।আনুগত্যই হলো বড় ইবাদত।আল্লাহর সঠিক আনুগত্য যে করে সেই জাকের, খানকায় বসে জিকির করলে জাকের হওয়া যায়না যদি বাহিরের লোকেরা আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত থাকে অথচ তাকে বাধা দেয়া হয়না এবং সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনাও দেয়া হয়না।

অথচ তুরাগের তীরে আত্মসূদ্ধী আর পাপমুচনের উদ্দেশ্যে লাখমুসলীমের সমাবেশ ঘটে প্রতি বছর।আমরা সে সমাবেশ থেকে কি পাই?মুসলীম উম্মার জন্য দোয়া হয় দাওয়া নেই অর্থাত কোন দিকনির্দশনামূলক কোন বক্তব্য নেই।কত চিল্লায় কত ফায়দা শুধু ফায়দা আর ফায়দা।এত ফায়দা রাখবো কোথায় যদি ঝুলি ছিদ্র থাকে?সারা বছর দেশ থেকে দেশান্তরে গিয়ে দ্বীনের তালিম দেয়া হয়।সে তালিমে ইমানের বয়ান হয় আমলের বযান হয়।বয়ান হয়না তাগুতের যে তাগুতকে অস্বিকার করতে বলা হয়েছে ঈমান অনয়নের পূর্বে।তাগুত হচ্ছে আল্লাহর বিরু্দ্ধবাদী শক্তি ইসলাম ও মুসলিমের গুপন ও প্রকাশ্য শত্রু।সেই শত্রুদের মুকবেলায় আমাদের প্রস্তুতি কি এসব তাদের আলোচনার বিষয় নয়।

সত্কাজের আদেশ অসত কাজের নিষেধ করার তালিম নেই।নেই সুদঘুসের বিরুদ্ধে কথা বলার তালিম।শুধুমাত্র তুরাগের তীরে একত্রিত হয়ে দোয়া করলে যে দোয়া কবুল হবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে?হাদিস শরিফে এসেছে-হোযায়ফা রাঃ হতে বর্ণিত"

আল্লাহর রাসূল সঃ বলেছেন-আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি যার নিয়ন্ত্রনে আমার জীবন।অবশ্যই তোমরা পাপ ও অন্যায় কাজ হতে লোকদের বিরত রাখবে্।নতুবা তোমাদের উপর শীঘ্রই আল্লাহর অযাব নাযিল হবে।অতপর তোমরা দোয়া করতে থাকবে (তা থেকে নিস্কৃতি লাভের জন্য)কিন্তু তোমাদের দোয়া কবুল হবেনা।

আজ ইসলাম নির্মূলের ষরযন্ত্র চলছে সারা দেশ তথা বিশ্বব্যাপী।ইসলামী রাজনীতি বন্ধকরে দেয়া হচ্ছে জনগণের মৌলিক অধিকার হরন হচ্ছে হত্যা গুম নারী নির্যাতনের মত জঘন্যতম অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে,এ নিয়ে তুরাগতীরে অবস্থানকারীদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।আমি অবাগহই যখন এই লোক গুলোর মুখে শুনি- রাজনীতি করে ফাসেক লোকেরা।তাহলে চিন্তাকরে দেখুন, মুহতরামা মিথ্যেবাদী আর মুহতরামা বেপরদা বেগম ও দুশ্চরিত্র জাতীয় বেইমানরা যখন ক্ষমতায় আসে আর এরা এদের মুরুব্বীগণ তাদের আনুগত্য করে যান নির্দিধায়,তাহলে উনারা কি ধরনের ইমানের দাবিদার হতে পারেন।

উনাদের মত একশ কোটি মুসলিম কি প্রজন্ম চত্বরের গুটিকয়েক নাস্তিকের মুকাবেলায় ঠুনকো নয়?কারন তাদের নিস্তেজ ঈমানে এসমস্ত নাস্তিকদের কোন কথা ও আচরনে কোন প্রভাব পরেনা।আসলকথা তো এদের সেই পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি নেই।এরা তো রাসুল সঃ হাদিসের পরিভাষায় ভাসমান পেনা। ভাসমান পেনা বাতাস যে দিকে নিয়ে যায় সেই দিকেই ভেসে বেড়ায় নিজস্ব কোন শক্তি নেই।এরাও মুরুব্বীগণ যাহা বলে তাই শিরধার্য্য কোরআন হাদীস পড়া যাবে না ওগুলো আলেমরা পড়বে তারা শুধু তাবলিগে নেসাব পড়বে আর সস্তা জান্নাতের পথ খুজবে।সবচাইতে আশ্চার্য্যের বিষয় হলো এই জামায়াতে ঐ সমস্ত লোকেরই সমারহ যারা ব্যক্তিগত জীবনে কেউ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী কেউ বা সমাজ তন্ত্রে আবার কেউ কেউ বা জাতীয়তা বাদে বিশ্বাসী।ভোটের সময় ভোট দেয় যে যে আদর্শের অনুসারী তাদেরকে।তাহলে বিষয়টা কি দাড়ালো?এখানে চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক রযেছে।

এরা যদি সত্যিকারের দায়ী ইলাল্লাহ হতো তাহলে বাংলাদেশের রূপ পাল্টে যেতো।তাই ইসলামী ঐক্যের আজ খুব বেশী প্রয়োজন।কাদাঁ ছুড়া ছুড়ির সময় নেই।যে সমস্ত আলেম এবং পীর সাহেবরা একে অপরের বিরূদ্ধে ফতুয়াবাজী করে মুসলীম ভাতৃত্বে ফাটল সৃষ্টি করে থাকেন এবং এক জনকে অপদস্ত হতে দেখে দুর থেকে মিষ্টি হাসেন।তাদেরকে এসব বন্ধ করতে হবে।একে অপরের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।তাহলই জাতীর কল্যাণ হবে নতুবা সামনের দিন গুলো ভয়ংকর ও দুঃসহ হবে ক্রমন্নয়।একজন বিখ্যাত তাবিঈদের একজন শ্রেষ্ঠ আলেম সাঈদ ইবনে যৃবায়ের রঃ বলেন"উলামায়ে সু'বা বা অসত আলিমগণ মুসলিম উ্ম্মার জন্য সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ও বিপদজনক।তিনি এও বলেছেন মানুষের ধ্বংস ও বির্পজয় এমন আলেমদের দ্বারাই হবে।জুলুমের বিরুদ্ধে অস্রধারনের অপরাধে জালিম হাজ্জাজ ইবনে ইউসুপ এই মহান তাবিঈকে ৯৪ হিজরি সাবান মাসে সহিদ করেন।অমাদের দেশে তথা মুসলিম উম্মার জন্য এমন আলেমের আবশ্যকতা অত্যাধিক।বড় আক্ষেপ হয় আমরা খানকায় বসে জিকিরে মসগুল মসজিদে ব্যস্ত তালিমে আর আমাদের সিমান্তে কাটাতারে ঝুলে থাকে ফালানীরা.লাশ হয় অসংখ্য নাম নাজানা যুবক।

দেশের সার্বভুমত্ব আজ হুমকীর মূখে।নিজের ঘরবাড়িতেই লাখমানুষ নির্জাতিতো নিজের দেশে প্রবাসীর ন্যায় ঘুরেবেড়াচ্ছে একমাত্র আল্লাহর সার্বভূত্ব কায়েমের আন্দোলনে শরিক হওযার অপরাধে্।

আজ সময় এসেছে ইসলামী ঐক্য গড়ে তুলার!

ইসলাম বিরুধী গুপন ও প্রকাশ্য শত্রুদের চিন্হিত করে দেশি ও ভিনদেশি শত্রুদের ষরযন্ত্র ও ইসলাম বিনাশের যুগসাজেশকে রুখে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার।

কুঠারের পিছনের গাছের লাকরীর টুকরোটা যেভাবে গাছ কাটায় সাহায্যকরে তেমনীভাবে আজ ইসলাম ও মুসলিম নিধনে মুসলমান নামধারী কিছু দল কাজ করে।তারা কি ভাবে ইসলামের ক্ষতি করে তাদের কিছু উক্তি আমি তুলেধরার চেষ্টা করছি-

আমরা মডার্ণ মুসলিম।

• ইসলাম মধ্যযুগীয় বর্বর একটি জীবন ব্যবস্থা এটি এযুগে বেমানান।

• ইসলামে রাজ নীতি নেই।ফাসেক লোকেরাই রাজ নীতি করে।

• ওয়াজ নসিহতে কেন রাজ নীতিকে টেনে আনা হয় ইসলাম এক পবিত্র ধর্ম।

• বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিমসহ সকল ধর্মের লোক বাস করে এখানে ইসলামী স্বাশন ব্যবস্থার মানেই হচ্ছে অন্য ধর্মের প্রতি জুলুম।

এ ধরনের উক্তি মুসলমান দাবিদার লোকরাই করে থাকেন।এদের কারনেই আজ সরকার।ইসলামী রাজ নীতি নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

উলেখ্য যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রয়াস কোন মুসলমানের কাম্য হতে পারে না।

ইসলাম একটি আল্লাহ প্রদ্ত্ব পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম।যেখানে তিনি সৃষ্টিকুল ও সকল জাতি গোষ্ঠির অধিকার সংরক্ষিত রেখেছেন।এটা বড়ই অশ্চার্যের বিষয় যে,যারা নিজেদের মুসলিম হিসেবে দাবী করেন আবার তারাই ইসলামী নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতির কথা বলেন।

তাদের ব্যাপারে ঐ প্রবাদ বাক্যটি প্রযোজ্য"মায়ের চেয়ে মাশির দরদ বেশী।

আমি পাঠকেদর উদ্দেশে বলতে চাই লিখাটি পড়ে সুন্দর ও গঠন মূলক মন্তব্য করেবন যাতে অন্য পাঠকবৃন্দ আপনাদের মন্তব্য পড়ে আরও বেশি উপকৃত হোন এবং আমার লিখায় যে কমতি রয়েয়েছ তা যেন পূরণ হয়।

বিষয়: বিবিধ

১১১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File