রমজান মাস ও সিয়ম সাধন এর আধ্মাত্মিক আলোচনা। পর্ব=১
লিখেছেন লিখেছেন কেমানিক ০৫ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৩৮:৪০ রাত
সম্মানীত পাঠক-
আমি এই পর্ব থেকে মূলত সিয়ম বা রোজার আধ্মত্মিকতা আলোচনা শুরু করতে চাই। তাই সর্ব প্রথম আপনাদের জানাতে চাই যে- আধ্মাত্মিক শব্দের অর্থ কি। মূলতঃ আদ্য শক্তির আত্মিক সংযোগের নামই আধ্মাত্মিকতা। অর্থাৎ, জীবদেহ হতে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির নিয়মে যে স্বত্বা শেষ হচ্ছে ও যৌণ ক্রীয়ার মাধ্যমে যে স্বত্বা ক্ষয় প্রাপ্ত হচ্ছে, তাহা পূণঃ দেহে প্রতিষ্ঠিত বা সঞ্চয় করার নামই আধ্মাত্মিকতা। ইসলাম বা নিজ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রতিটি জীবেরই, আধ্মাত্মিকতা জানা প্রয়োজন।
আমি সিয়ম বিষয়ে এ পর্যন্ত যত গুলি লেখা পোষ্ট করেছি, তার সবগুলিই ছিল- প্রচলিত কোরাণের মোল্লাদের অনুবাদের উপর নির্ভর করে বলা কথা। লেখকের লেখা সে সকল বিষয় জানতে,
রোজা ফরজ নয়।। যারা বলে রোজা ফরজ তারা কোরাণ মানে না। রোজা পর্ব=১ হইতে ৫ পর্ব পর্যন্ত পড়ৃন।
এবার আমি আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যে- মূলতঃ সিয়ম কি, কিভাবে সিয়ম পালন করতে হয ও সিয়ম পালন করলে জীবের কি কল্যাণ সাধিত হবে। আর সে লক্ষেই আসুন, আমরা আবার একবার সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতটি দেখে নিই যে- এই আয়াতে মূলতঃ আধ্মাত্মিকতার দৃষ্টিতে কি লেখা আছে-
সূরা বাকারার ১৮৩ আয়াতে বলা হয়েছে-
ইয়া আইউহাল্লাযিইনা আমানু কুতিবা আলাইকুমুস সিয়ামু কামা কুতিবা আলাল্লাযিইনা মিন কাবলিকুম লায়াল্লাকুম তাত্তাকুনা।
যার অর্থ-
হে ইমানদারগণ, তোমাদের উপরে রোজা লিপিবদ্ধ করা হইলো, যে রুপ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তিগণের উপরে, যাতে তোমরা ছড়ানো বস্তু গোছাইতে পারো পারো।
এই আয়াতে ব্যবহৃত তাত্তাকুনা শব্দের বাংলা অর্থ হলো- ছড়ানো বস্তু গোছানো। আর যে ছড়ানো বস্তু গোছায় তাহাকে বলা হয় মোত্তাকি। আর ছড়ানো বস্তু গোছানো বলতে জীবের দেহ হতে যে সকল স্বত্বা ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে যমিন ও আসমানে ছড়িয়ে গিয়েছে, সে স্বত্বা সমুহকে গুছিয়ে নেওয়াকেই ছড়ানো বস্তু গোছানো বলা হয়েছে।
তাহলে ইহাতে ইহাই প্রতিয়মান হয় যে- জীব সমুহ ছড়ানো বস্তু গোছানোর মাধ্যমে হারানো ধন সঞ্চয় করবে যে পদ্ধতিতে, সে পদ্ধতির নামই হলো সিয়ম সাধনা। এখন এই সিয়াম সাধনা কখন করতে হবে ও কিভাবে করতে হবে, প্রতিটা জীবেরই তা জানা প্রয়োজন।
মূলতঃ এই সিয়ম সাধনা জীব সকল সময়ই করতে পারে। এর জন্য কোন ধরা বাঁধা নিয়ম নাই। তবে রমজান মাসে সিয়ম পালন করলে জীব যত টুকু লাভবান হবে, বা যত পরিমান স্বত্বা সঞ্চয় করতে পারবে, রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোন সময়ই সে পরিমান সঞ্চয় করতে পারবে না। আর রমজান মাসের মধ্যে একটি বার আছে, যে বারকে শবে কদর বলা হয়েছে। এই শবে কদরের বারে জীব যে পরিমান স্বত্বা সঞ্চয় করবে, তা হাজার মাস, বা ৮৩ বছর ৪ মাস খরচ করতে পারার মত স্বত্বা সঞ্চয় করা যায়। এছাড়া অন্য যে কোন সময় একবার সিয়ম পালন করলে জীবের কম পক্ষে একদিন খরচ করার মত স্বত্বা সঞ্চয় হবে।
এখানে দেখা গেলো যে- সিয়ম সাধনের মাস হলো রমজান মাস। একমাত্র এই মাসেই শবে কদর পাওয়া যাবে, অন্য কোন মাসে শবে কদর পাওয়া যাবে না। আর এক শবে কদর মানে ৮৩ বছর ৪ মাস খরচের স্বত্বা সঞ্চয় হয়ে যায়। তাহলে আমাদের জানা প্রয়োজন যে- মূলত রমজান মাস কি? সিয়ম কি ও কিভাবে সিয়ম পালন করতে হয়।
প্রতিটি জীবেরই রমজান ও সিয়ম বিষয়ের আধ্মাত্মিকতা জানা প্রয়োজন। আর যে জীব কল্যানের কোন বিষয় জানে বা জানতে পেরেছে, তার উচিৎ সে সূত্রটি সকলকে জানিয়ে যাওয়া। আর সে দ্বায়বদ্ধতা থেকেই আমার এই মুক্ত আলোচনা।
আপনারা আমার লেখার প্রতি লক্ষ রাখুন। প্রভু চাইলে আগামীকাল থেকে আমি ধারাবাহিক ভাবে রমজান ও সিয়মের আধ্মাত্মিকতা উপস্থাপন করতে থাকবো
মূল লেখক গুরুজী। বিশ্বশান্তি ডট কম।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি আপনার গুরুজীর এসব মত ছড়াচ্ছেন কেন ? রোজা কি, আর মুত্তাকী মানে কি তার ব্যাখ্যা আপনার গুরুজী দিবেন,নাকি রসূল(সা: ) দিবেন ? এসব করে আপনারা এ যুগের মুসলিমদেরকে অন্তত বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। ২০/৩০ বছর আগের আবাল পাবলিক এখন অনেক কম পাবেন......ফরজ বিষয় জানতে কার কাছে যেতে হবে এটা তারা জানে। বট তলার জটাধর বাবাজীদের এখন বেইল নেই
এখানে কিন্তু ফরজ বিষয়ে আলোচনা করা হয়ে। এখন আপনি বলুন- ফরজ বিষযে জানতে কার কাছে যেতে হবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন