যে কারণে-রোজা নামক এই তামাশাটি, আইন করে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। রোজা পর্ব=৪
লিখেছেন লিখেছেন কেমানিক ০২ জুলাই, ২০১৪, ০৮:০৭:৩২ রাত
সম্মানীত পাঠক-
ইতি পূর্বে আমি রোজা বিষয়ে সূরা বাকারার ১৮৩ আয়াতের আলোকে দেখাতে চেষ্টা করেছি যে- রোজা ফরজ নয এবং এই রোজার প্রচলন কতকাল পূর্ব হতে চলে আসছে। আর আজ আমি উপস্থাপন করবো সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতের শেষ অংশটুকু। অর্থাৎ কি কারণে মহাম্মদ এই রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার আসুন দেখে নিই এই আয়াতের শেষ অংশে কি লেখা আছে।
হে ইমানদারগণ, তোমাদের উপরে রোজা লিপিবদ্ধ করা হইলো, যে রুপ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তিগণের উপরে,যাতে তোমরা পরহেযগার হইতে পারো। সূরা বাকারা ১৮৩ আয়াত।
উপরিউক্ত আয়াতের আণ্ডার লাইন ও বোল্ড যুক্ত স্থানে লেখা আছে যাতে তোমরা মোত্তাকী বা পরহেজগার হইতে পারো। অর্থাৎ এই রোজা রাখার কারণ হলো পরহেজগার বা মোত্তকী হওয়া। এই আয়াতের সার্মর্ম বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে মোত্তাকি শব্দের অর্থ কি। এই মোত্তাকি শব্দের দুটি অর্থ। এক অধ্মাত্মীক, দুই বাহ্যিক। মোত্তাকি শব্দের আধ্মত্মীক অর্থ হলো- ছড়ানো বস্তু গোছানোকারী, আর বাহ্যিক অর্থ হলো- অন্যের কষ্টে ব্যথীত হওয়া ও তার কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা। এবার আসুন দেখে নিই কিভাবে এই রোজার মাধ্যমে অন্যের কষ্টে ব্যথীত হওয়া যায় ও তার কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা যায়।
আপনি অনেক বড়লোক, অর্থশালী লোক, অভাব কোনদিন আপনাকে স্পর্শ করে নি। ক্ষুধার কি জ্বালা তা আপনি কখনোই অনুভব করেন নি। এমতাবস্থায় কোন ক্ষুধাতূর যদি আপনার কাছে যাঞ্চা করে যে- আমি কাল থেকে কিছুই খাই নি, আমাকে কিছু খাবার দিন। আপনি তার ক্ষুধার জ্বালা অনুভব করতে অক্ষম, কেন না আপনি কখনো না খেয়ে থাকেন নি। তাই আপনার ভিতরে ক্ষুধাতূরের কষ্টে কষ্ট পাবে না, এবং তার ক্ষুধার জ্বালা নিবারণে সাহায্যের হাত আপনি বাড়াতে পারবেন না, বা বাড়াবেন না। কিন্তু এই রোজার মাধ্যমে আপনি বুঝতে শিখলেন যে- ক্ষুধার কি জ্বালা। এই রোজা পালন না থাকলে আপনি হয়তো কোনদিনই ক্ষুধার জ্বালা অনুভব করতে পারতেন না। এই রোজা আপনাকে ক্ষুধার জ্বালা অনুভব করিয়ে দেয।
তাতে করে কেউ যদি আপনার কাছে বলে যে- কাল থেকে আমি কিছুই খায় নি, আমাকে একটু খাবারের ব্যবস্থা করে দিন, তাহলে আপনি যেন ক্ষুধার জ্বালা অনুভবের কারণে যাঞ্চাকারীর ক্ষুধা নিবৃত্তির হাত বাড়িয়ে দেন। আর এই রোজা পালনের পরেও যদি আপনি কোন ক্ষুধাতূর ব্যক্তির, বা খাদ্য যাঞ্চাকারীর খাদ্য দিতে মন উদ্বুদ্ধ না করে, বা কারো না খেয়ে থাকার কথা শুনেও আপনার ভিতরে দয়ার উদ্রেক না হয়, এবং আপনি তার ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য না করতে পারেন, তাহলে এই রোজা রাখার কোনই মানে হয় না। অর্থাৎ আপনার রোজা রাখা আর না রাখা উভয়ই সমান।
এই রোজার শিক্ষা হলো- আপনি রোজা থাকার দরুন এক বেলা যে আহারটি করেন না। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রভাতে ও সন্ধ্যায় আহার করেন, দুপুরের খাবারটি না খান। সেই এক বেলার আহারটি আপনি জমা করুন। ৩০ রোজার ৩০ বেলার আহার একত্রীত করে শেষ রোজার আগের দিন, গরীব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিন। তাতে বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের ৮ কোটি রোজাদার থাকলে, ৩০ গণিত ৮ কোটি বেলার খাবারের অর্থ, আর এক বেলার খাবারের অর্থ ৩০ টাকা নির্ধারণ করলে যে টাকা আসে, তা দিয়ে অনেক অসহায় ও দুস্থকে পূণর্বসন করা সম্ভব।
কিন্তু আমরা করছি ঠিক তার উল্টোটা। এই রোজার মাসে আমরা খাবার কম খেয়ে সঞ্চয় করবো কি না, এই মাসে আমরা আমাদের খাবারের বাজেট বাড়িয়ে দেয়। আর এমন খাওয়ার আয়োজন শুরু করি যে- ব্যবসায়ীরা আমাদের খাবারের বাড়তি প্রয়োজনীয়তার সুযোগে সকল কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। তাতে করে এই মাসে সঞ্চয় দূরের কথা, মাসের খরচ চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। কারণ খাবারের জন্য বছরের সব থেকে খরচ যে মাসে বেশি হয়, সে মাসটি হলো রমজান মাস। অথচ রোজা পালনের উদ্দেশ্য হলো- এই মাসে খাবারের জন্য সব থেকে কম খরচ করতে হবে।
বর্তমান এই রোজা পালন কোন এবাদতের মধ্য পড়ে না। কারণ এই রোজা থেকে মানুষ কোন শিক্ষা অর্জণ করে না, বা করতে পারে না। বর্তমান এই রোজা পালন একটা তামাশা ও শ্রেফ ফ্যাশনএর আওতায় পড়ে। এছাড়া অন্য কিছুই না। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের এই রোজা নামক তামাশা ও ফ্যাশনের কারণে, অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা, অর্থাৎ যারা এই রোজা নামক তামাশা পালন করে না, তারাও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ মুসলমানেরা রোজা পালনের নামে যেই ভূরীভোজ করছেন, তাতে বাজারে প্রতিটা খাদ্য সামগ্রীর দাম দেড় থেকে দুই গুণ বেড়ে গেছে। তাতে করে যারা এই রোজা পালন করেন না, তাদেরকেও চড়া দামে এসকল জিনিস ক্রয় করতে হচ্ছে। অর্থাৎ একটি সম্প্রদায়ের এবাদতের নামে তামাশা করার জন্য আরেকটি সম্প্রদায় কেন, অর্থনৈতিক বিপদের সম্মুখীন হবে? কোন অবস্থায়ই এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তাই আমি চাইবো রোজা পালনের নামে এই ভূরিভোজ তামাসা বন্ধ করা হউক, নচেৎ রোজা নামক এই তামাসার এবাদৎ, মুসলিম সম্প্রদায় হতে একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
আসুন- আজ থেকে আমরা একটি দল গঠন করি। যারা শ্রেফ তামাশার রোজা পালনকারি নই, রোজার মাসের ৩০ দিনের ৩০ বেলার আহারের, প্রত্যেক বেলার আহারের মূল ৩০ টাকা নির্ধারণ করে, সেই অর্থ একত্রীত করে, এই রমজানে অন্তত একজন দুস্থকে পূণর্বাসন করি।
তবে রোজার মূল কর্ম হলো মোত্তাকী হওযা বা ছড়ানো বস্তু গোছানো। অর্থাৎ জীব তার দেহ হতে যে সকল অণুপ্রাণ নষ্ট করছে বা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ফেলছে, তাকে কুড়িয়ে নেওয়ার নামই হলো, মোত্তাকি হওয়া। আর একমাত্র রোজা ব্যতীত এই ছড়ানো বস্তু গোছানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে প্রভু চাইলে আগামীকাল পোষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো
বিঃ দ্রঃ এই লেখাটি আমার নয়। এই লেখাটি লিখেছেন গুরুজী। বিশ্বশান্তি ডট কম ব্লগে। আমি শুধু কপি পেষ্ট দিলাম।
বিশ্বাস না হলে এখান থেকে ঘুরে আসুন।
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৮ বার পঠিত, ৮৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মডুদের প্রতি অনুরোধ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতকারী এই লেখা মুছে দেয়া হোক।
আর যদি লেখকের কথা সত্য হয়, তাহলে তার লেখা মুছে দিলেও সে অন্য সকল ব্লগেই তার লেখা চালিয়ে যাবে। তাই লেখা মুছার চিন্তা বাদ দিয়ে, লেখকে তথ্যটা সত্য না মিথ্যা তা যাচাই এর চেষ্টা করুন।
আমার মনে হয় সেটা ই বুদ্ধীমানের কাজ হবে।
এখানে দেখুন আপনার গুরুজীকে নিয়ে কি লিখেছে ।
মডুদেরকে অনুরোধ করা হলো,কেমানিক বেন করার জন্য।
"হে ইমানদারগণ, তোমাদের উপরে রোজা লিপিবদ্ধ করা হইলো, যে রুপ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তিগণের উপরে,যাতে তোমরা পরহেযগার হইতে পারো।"
অথচ "লিপিবদ্ধ" শব্দটা কী কোনদিন "বিধিবদ্ধ" এর সমার্থক? যে লোক "লিপিবদ্ধ" এবং "বিধিবদ্ধ" শব্দের পার্থক্য বুঝে না বা বুঝতে চায় না তার ব্যাপারে সাবধান হওয়া খুবই জরুরী।
"যে বিশ্বাস করে স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে, স্রষ্টা দেহধারী, তাকে দেখা ও ধরা যায়, এবং সে সৃষ্টির সকল কল্যাণ ও অ-কল্যাণের ক্ষমতা রাখে, একমাত্র সেই আস্তিক।"
এ বাক্যটির মধ্যেই এদের বীজ নিহিত।
আমি কিছু লোকের মুখে শুনেছি,তারা বলে অপরের কষ্ট বুঝতে পারার জন্যেই রোজার বিধান। আমি তো আপরের কষ্ট বুঝি এবং তাদেরকে সাহায্যও করি,তাহলে রোজা রাখব কেন ? আরেকজন দেখলাম রোজার মাসে খাচ্ছে। সে বলল-আমি আত্ম নিয়ন্ত্রন করতে পারি,যা রোজার শিক্ষা। তোমরা এখনও সেটা পারনি তাই রোজা তোমাদের।
মূলত এগুলি সব যুক্তি,কিন্তু যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির নাম ইবাদত নয়। ইবাদত মানে হল আল্রাহর দাসত্ব। তিনি যে সময়ে যা করতে বলেছেন তা সেভাবে পালনের নাম ইবাদত।
ইবদত হল নি:শর্ত। আর তা কিভাবে হবে,সেটি রসুল দেখিয়েছেন। আল্লাহ রোজা পালনের মাধ্যমেই তাকওয়া অর্চন করতে বলেছেন। কেউ নিশ্চয় এ অভিযোগ করবে না যে, আল্লাহর রসূল তাকওয়া অর্জন করতে পারেননি। ....অথচ রসূল(সা: ) এবং তার সাহাবীরা রোজা পালন করেছেন,এমনকি প্রচুর নফল রোজাও....
তো বিষয়টি হল, ইসলাম বুঝতে হলে তাকে কুরআন এবং সুন্নাহ দুটো নিতে হবে। আল-কুরআনের আয়াত নিজের মনে ব্যাখ্যা করলে সে বিভ্রান্ত হবে,কারন সেখানে প্রাকটিকাল রূপ দেওয়া নেই।
আপনি মুসলিম হলে রোজা রাখুন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন
এ বিষয়ে আপনি লেখকের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
তারপর আসি অসহায় ও দুস্থকে পূণর্বসন এর ব্যাপারে। আমার মনে হয় গুরুজী জানেন না, বা জেনেও শুধুমাত্র রমজানকে এটাক করার জন্য এটা দিয়ে একটা গেম খেলতে চেষ্টা করেছেন। রোজার মত ইসলামে আরেকটা ফরজ কাজ হচ্ছে যাকাত। কিন্তু আফসোস, এখানেও আমরাই আমাদের শত্রু। আমরা যাকাতকে শাড়ি ও লুঙ্গীতে নামিয়ে এনেছি। অথচ যাকাতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গরীব লোকদের এমনভাবে আর্থিক সহায়তা করা যাতে তাদের ভবিষ্যতে আর কখনো কারো কাছে হাত পাততে না হয়। যেমনঃ আমার যাকাত আসলো ৫০০০০ টাকা, আমি একজন গরীব লোককে যদি পুরো ৫০০০০ টাকাই প্রদান করি তাহলে সে একটি ছোটখাটো ব্যাবসা করতে পারবে। তার জীবনে আমূল পরিবর্তন চলে আসবে। তাহলে চিন্তা করুন এমন অনেক লোক আছে যাদের যাকাত প্রতি বছর কয়ে লক্ষ টাকাও আসে। তারা কত লোকের জীবন পরিবর্তন করতে পারেন? কিন্তু আমরা কি করছি? মাইক লাগিয়ে শাড়ী আর লুঙ্গী দিচ্ছি যার ফলাফলে অনেক দূর্ঘটনাও ঘটছে। আর ইসলামের সৌন্দর্যটা দেখুন, এটাকে আপনি দান বলতে পারবেন না। এটা গরীবদের হক। শুধুমাত্র বাংলাদেশে যদি প্রতিটি ধনী লোক যদি সঠিকভাবে যাকাত আদায় করেন তাহলে পুরো দেশে একজন লোকও অনাহারে থাকবে না।
**মন্তব্যটা একটু বেশি বড় হয়ে গেলো মনে হয়। )**
দ্বিতীয়ত- প্রগতিশীল নামধারী নাস্তিক, বে-ঈমান, বে-নামাযি, লম্পট, চরিত্রহীন, চোর-বাটপার, পতিতা গমণকারী, নাস্তিকদের দালাল, ইসলামের শত্রু, মোনাফেক, কাফির, সমকামিতায় বিশ্বাসী পশু, গরু-ছাগলদের কাছ থেকে ইসলাম জানতে এবং বুঝতে চাই না ।
কুরআন ও সহীহ হাদীস বিশ্লেষণ করে সারাবিশ্বের ওলামায়ে কেরাম একমত-রোযা ফরয। এবং রোযা ত্যাগ করার শাস্তি কঠোর।
যেহেতু আপনি আপনার গুরুজীর কথা বলেছেন তাই বলছি। উনি কোন চরিত্রের লোক সেটা আপনি না জানতে পারেন কিন্তু দেশের মানুষ কম বেশি জানে। উনি তথ্যকণিকা'র নামে সেখানে পবিত্র কুরআনের আয়াত ছেপে এক সময় বিলি করেছেন। কিন্তু সকল উলামায়ে কেরাম সে অনুবাদের মধ্যে মনগড়া শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্য করেছেন যা মূল অর্থকে পরিবর্তন করে দেয়। আপনি সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতের যে অর্থ করেছেন এমন 'লিপিবদ্ধ' শব্দের প্রয়োগ আর কোনো অনুবাদে আমার চোখে পড়েনি।
আপনাকে আমি একজন সুস্থ বিবেকবান বলেই ভাবতে চাই। সে মোতাবেক আপনাকে ছোট্ট একটি প্রশ্ন করতে চাই। ধরুন, আপনি একটা বাড়ি বানাবেন। শুরুতেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) থেকে প্ল্যান পাশ করাতে হবে। এজন্য আপনার একজন প্রকৌশলীর প্রয়োজন। আপনি তাঁর কাছে আপনার চাওয়া বুঝিয়ে বলবেন। তখন তিনি তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা দিয়ে আপনার জন্য সুন্দর একটি ডিজাইন তৈরি করে দেবেন। এটাই নিয়ম। এখন যদি আপনি একজন প্রকৌশলীর কাছে না গিয়ে ডাক্তারের কাছে যান তাহলে কী আপনি কাঙ্খিত ডিজাইন পাবেন? কিংবা আপনার ভীষণ অসুখ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আপনি গেলেন একজন ল ইয়ারের কাছে। কোনো লাভ হবে? হবে না। যার যে কাজ অর্থাৎ যিনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে কাজের জন্য আপনাকে তার কাছেই যেতে হবে।
এখন কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যার জন্য আপনাকে একজন আলেম ব্যক্তির কাছেই যেতে হবে। কোনো গায়রে আলেমের কাছে গেলে ফল উল্টো হবে। আপনার গুরুজী কুরআন-হাদীস ব্যাখ্যা করার কতটুকু যোগ্যতা রাখে? আর মুত্তাকী কারা সে সম্পর্কে উনি সুন্দর মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যে বিষয়ে আল্লাহর দেয়া ব্যাখ্যা আছে সে বিষযে অন্য কারো বিশেষ করে কোনো গায়রে মুয়াল্লিমের ব্যাখ্যা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিশেষ করে তাঁর মতো ভন্ড লোক যে কিনা সারাজীবন হস্তরেখাবিদ হিসেবে কাজ করেছে।
কারা মুত্তাকী জানার জন্য কষ্ট করে সুরা বাকারা'র ২-৫ নম্বর আয়াতগুলি পড়ুন। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে সব বলে দিয়েছেন।
যারা রোজার নামে ভন্ডামী করছে আপনি তাদের কাজকে সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আল্লাহর দেয়া বিধান নিয়ে ঠাট্ট-মশকরা করতে পারেন না।
আপনার লেখার শুরুতেই আপনি রাসুল (সঃ) শুধুমাত্র মহম্মাদ বলে সম্বোধন করেছেন। এ লেখা যদি আপনার গুরুজীর হয়ে থাকে তবে লক্ষ্য করুন কত বড় বেয়াদপ ও উদ্ধত হলে মানুষ এভাবে অসম্মান করে কথা বলতে পারে। যেখানে জীবরাইল (আঃ) বলেছেন, রাসুল (সঃ) নাম শুনার পর যদি কেউ দরুদ না পড়ে তাহলে সে জাহান্নামী হবে আর রাসুল (সঃ) আমীন বলে তা সমর্থন করেছেন, সেখানে তিনি কীভাবে অশোভনভাবে বলছেন?
আর ১ বেলা খাওয়া কমিয়ে দান-খয়রাতের কথা বলছেন? আপনার গুরুজীকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো প্রতিবছর 'মাটির ব্যাংক' থেকে ১৫ কোটি টাকার ওপর কালেকশন হয়। উনি কয়জনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন? হয়ত বলবেন, লামা'তে সে এতিম খানার কথা। আপনি কী জানেন কেন সেখানে তিনি এতিম খানা করলেন? কখনো কী আপনার মনে এসেছে? সারা দেশে এত জায়গা থাকতে লামা'র মতো গহীন জায়গায় কেন? সেখানে তো উনারও বাড়ি নয় কিংবা উনার শ্বশুড় বাড়িও নয়। আগে জানুন...।
আর ১ বেলা খাওয়া কমিয়ে তা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিতে বলেছেন। কিন্তু ইসলামে কোথাও কী এমন কথা বলা হয়েছে? আপনাকে অবশ্যই দান-খয়রাত করতে হবে, যাকাত দিতে হবে। আপনার মালে গরীবের হক রয়েছে, যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সে মাল হালাল হয়, পবিত্র হয়। খোঁজ নিয়ে দেখুন তো আপনার গুরুজী কত টাকা যাকাত দেন?
ভাই কেমানিক, বেশি বেশি করে ইসলামী ব্ই পড়ুন। প্রকৃত আলেমের লেখা বই পড়ুন। তারপর ঠান্ডা মাথায় সব নিয়ে চিন্তা করুন। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবেন। কোনো ভন্ড লোকের লেখা পড়ে নিজে বিভ্রান্ত হবেন না, অন্যকে বিভ্রান্ত করবেন না। সর্বোপরি নিজের ঈমানকে নষ্ট করবেন না। আমি আল্লাহর কাছে আপনার হেদায়েতের জন্য দোয়া করছি।
আমরা আরো খুশি হবো যদি আপনি এভাবে কপি-পেষ্ট করে পোষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার দিয়েই বিল্ডিং বানিয়ে রানা প্লাজা ধসে এত প্রাণ হানী ঘটেছে।
সত্য জানুন, তার পরে মন্তব্য করুন।
তাই বলবো- এখানে এ সকল মন্তব্য না করে যদি, লেখকের পোষ্টে গিয়ে করতেন, ও তার কথাকে মিথ্যা প্রমাণে ব্রতী হইতেন। তাহলে আপনার সাথে থাকতে পারতাম, পিছে বলা লোকের সাথে থাকাটা বা তার কথা বিশ্বাস করাটা আমি মোটেও পছন্দ করি না।
গাঁজা মুক্ত হয়ে গুরুজীর লেখা পড়ার চেষ্টা করুন। সব ভুল ভেঙ্গে যাবে বলে আমি মনে করি।
সবাই আপনাকে কমেন্টসে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে আর আপনি পাগলের রোফা: দিচ্ছেন। তো উত্তর না দিতে পারলে কপি মারেন কেন???
আর সবাই যা বলছে তাতো আপনি কপি করে পাগলারে জানাতে পারেন??? জানান না কেন??
এই ব্লগে আপনার লেখা কেউ খায় না। দুরেই ধাকুন।
কার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে বলে মনে করেন?
আমি ছয় হাদিস না মানলে হবে কি? আপনি তো মানেন? আপনার মানা দিয়েই জবাব করলাম।
আর প্রচলিত কোরাণ বলেছে মিথ্যা অপেক্ষা সংখ্যায় কম। তবে মিথ্যা অপেক্ষা সত্যের শক্তি বেশি। এখানে একবার হিসাব করুন, তাতেও প্রমাণ পাবেন।
আপনি আপনার খাবার প্লেটে হাগু মুতু সব করতে পারেন, এবং তা খাইতেও পারেন, তাতে আমাদের কোনই সমস্যা নাই।
আপনি কিন্তু সেটা এড়ায়ে গেছেন।
আশা করি বঝাতে সক্ষম হয়েছি?
এছাড়াও আমাদেরকে গুরুজীর ওয়েবসাইটে দাওয়াত না দিয়ে আপনি বরং গুরুজীকে এখানে জয়েন করার দাওয়াত দেন। এখানে আমাদের অনেক ইসলাম বিষয়ে বিজ্ঞ ভাইয়েরা আছে যাদের যৌক্তিক তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি।
গুরুজী এখানে আসলে এখানকার মজমা বেশ জমে উঠবে বলে আশা করি!
আর গুরুজী যাহা উপস্থাপন করছেন তাহা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা কল্পে। তাই ও সকল অনুবাদের সাথে গুরুজিদ অমিল হওয়াই স্বাভাবিক।
এখন ইসলামী আইন বা প্রচলিত কোরাণের এবাদতের মাধ্যমে যদি বর্তমান শান্তির নিয়ামক উক্ত পাঁচটি বিষয় প্রাপ্তি ঘটে, তাহলে জীবের বিশ্বাস হবে যে, এই প্রচলিত কোরাণ মান্র করলে পরোলোকেও শান্তি পাওয়া সম্ভব। আর যদি প্রচলিত কোরাণ মান্য করার পরেও, ইহলৌকিক শান্তি প্রতিষ্ঠা না হয়, তা হলে প্রচলিত কোরাণের আইন মত চললে, পারলোকিক শান্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
এখন আপনি বলুন- কোরাণের কোন আইন মানলে, ও কিভাবে মানলে জীবের ইহলৌকিক শান্তি পাওয়া সম্ভব?
যেমন- সূর্য্য নয পৃথিবী ঘোরে বলার পরে, এই সত্য উপস্থাপককে মেরে ফেলা হয়। এবং আপনাদের মত লোকেরাই সেদিন তাকে ঐ উক্তি করার জন্য নির্লজ্জ বলে অভিহিত করেছে। আজ তাকে নির্লজ্জ বলা লজ্জাশীল লোকেরাই কিন্তু, তার সেই সত্যকে, সত্য বলেই স্বীকার করছে। অতএব, নির্লজ্জ কে বা কারা তা বিবেচনা করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন