এ বছর হজ্ব না করলে কি ক্ষতি?
লিখেছেন লিখেছেন সুষুপ্ত পাঠক ১৯ জুন, ২০১৪, ০৫:৩৩:৪৭ বিকাল
হজ্ব মৌসুমে মার্স ভাইরাস কেন? এই লেখাটি সম্পূর্ণ আধ্যাত্বিক দিক থেকে লেখা। যারা সমস্ত বিষয়ে ঈশ্বরকে টেনে আনেন, মহান একজন সত্ত্বার অস্তিত দেখতে পান, তারা নিশ্চয় বিব্রত হবেন না, এবং যুক্তিযুক্ত জবাব দিবেন আশা করি।হজ্বের মত বাৎসরিক মহান মুসলিম জামায়েত লগ্নে কেন চিকিৎসার অতীত এক ভাইরাস দেখা দিলো? নাস্তিকদের মুখে ঝামা ঘঁষে দেবার মত উত্তর হতে পারে, এটা আল্লার পক্ষ হতে তার বান্দাদের প্রতি একটা ঈমানী পরীক্ষা! রোগ-শোক দিয়ে আল্লাহপাক তার বান্দাদের ঈমানের পরীক্ষা করেন।যদিও সৌদি সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বার্তা পাঠিয়েছে মার্স ভাইরাসের বিশেষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যেন হাজিরা হজ্ব করতে আসে।বেশি ঝুঁকি থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের পাঠানোর বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রশ্ন আসে, আমি যদি প্রকেটশান নিয়েই হজ্বে যাই তাহলে সেটা ঈমানের পরীক্ষায় পাশ-ফেল হলাম কিভাবে? আল্লাপাক হয়ত দেখতে চেয়েছেন দেখি এই ভাইরাসকে ভয় পেয়ে আমার কয়জন বান্দা হজ্বের নিয়ত থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে? (কি আজব কথা তিনি তো অন্তর্জামি!) অথচ আমি তো খোদার উপর চালাকি করলাম! “প্রেটেকশান” নিয়ে হজ্বে গিয়ে প্রমাণ করলাম আমি ভাইরাসকে ভয় পাই না?
এমনিতে আল্লাপাকের পরীক্ষার অস্ত্র একে একে সব ভোঁতা করে ফেলা হচ্ছে রোজ। ডাইরিয়া-কলেরার টিকা আবিস্কার অনেক আগেই আমরা করে ফেলেছি। করে ফেলেছি তাদের প্রতিষেধক।আল্লাপাক নিজে বলেছেন, মহামারী দিয়ে আমি মানুষকে পরীক্ষা করি। অথবা তাদের পাপের শাস্তি দেই। কিন্তু মানুষ চিরকাল বড় খোদাদ্রোহী! কলেরা-বসন্তের মত রোগের টিকা আবিস্কার করে আল্লাপাকের মোক্ষম দুইটা “একে ফরটি সেভেন” অকেজো করে ছেড়েছে! শীতলা মন্দির দেখলে এখন হাসি পায়।যদিও মাতাজি এখনো ভক্তের দানদাক্ষিণ্য পান।তবে ভক্ত টিকাফিকাও গ্রহণ করে! রোগ হলে স্যালাইনও খায়! (মা শীতলার এহেন সর্বনাশ করার জন্য ইহুদীনাসারাদের ষড়যন্ত্রকে তীব্র ধিক্কার জানাই!)…এ পর্যন্ত পড়ে যারা বলবেন সব বিষয়ে ধর্মকে টেনে এনে খোচা মারা ঠিক না তাদের বলি, কাঠ ফাটা রোদে পুড়িয়ে যখন প্রশান্তির বৃষ্টি নামে তখন অহেতুক কেন আল্লাকে ডেকে আনা হয়? যারা সমস্ত কিছুর মধ্যে ঈশ্বরের রহমত দেখতে পান তাদের কাছে নিশ্চয় এই প্রশ্নগুলো অমূলক মনে হবে না।…
সর্বশেষ ইরাক সরকার বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য আমেরিকার মত ইহুদীনাসারাদের ডেকে পাঠিয়েছে।অথচ বিশ্বে মুসলিম দেশের তো অভাব নেই।আল্লাপাক কোরআনে পরিস্কার বলে দিয়েছেন, মুমিনরা যেন কোন কাফেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে।…মার্স ভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করেই কোন ইহুদীনাসারা এরিমেধ্য ল্যাবরোটরীতে গোপনে কোরআন রিসার্চ করে বের করে ফেলার চেষ্টা করছে। যারা কোরআনকে বিজ্ঞানের খনি ও সমস্ত কিছু কোরআন রিসার্চ করে আবিস্কারের দাবী করেন তারা কি হজ্ব শুরুর আগে আগে আল্লামা আহমদ শফি বা টিভি সেলিব্রেটি জাকির নায়েককে দিয়ে কোরআনের কোথায় মার্স ভাইরাসের প্রতিষেধক লেখা আছে বের করার চেষ্টা করে ইহুদীনাসারাদের ক্রেডিট গ্রহণ করার দুরভিসন্ধি রোধ করার চেষ্টা করবেন? নইলে তো ইহুদীনাসারাদের উপরই আমাদের নির্ভর করতে হবে!(অবশ্য আল্লাপাকের পরীক্ষার অস্ত্রকে ভোঁতার করার ষড়যন্ত্র ধর্মসম্মত হবে কিনা সে বিষয়ে আলেমদের মত নেওয়া জরুরী)।…
সবশেষে, বাংলাদেশের হাজিরা দেশ ছাড়ার আগে মার্স ভাইরাসের প্রতিরোধে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শয়তানকে পাথর মারতে যাবেন আশা করি। মুখে মাস্ক না বেধে “প্রভু আমি হাজির” বলবেন না প্রত্যাশা করি।পবিত্র ধর্ম পালন করে দেশে ফেরার আগে নিশ্চিত হবেন যেন আপনার দেহে মার্স ভাইরাসটি গোপনে বাসা বাধেনি। নইলে গরীব দেশে মার্স ভাইরাস আক্রমন করলে ঠেকানো কঠিন হবে।এ বছর আপনাদের হজ্ব করতে মানা করে আমি আর ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ খেতে চাই না।যদিও আপনারা “রাখে আল্লাহ মারে কে”-এই থিউরিতে বিশ্বাস করেন, তবু মার্স ভাইরাসের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনাদের স্ববিরোধী বলে বিব্রত করা হবে না।বিজ্ঞানকে রোজ দশবার বলৎকার করুন তবু বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চলুন এটাই আমাদের কাম্য।…
বিষয়: বিবিধ
১০৪১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দারুন বলেছেন ভাই। হাসতে হাস্তে মরে গেলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন