শিক্ষার মানন্নোয়ন ও আমাদের অবস্থান
লিখেছেন লিখেছেন আনসারী১৪ ১৮ মে, ২০১৫, ০৫:৫০:০৪ বিকাল
আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব, নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে অনেক বেশী পরিশ্রম করছেন। এবং তিনি আন্তরিক একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেয়। গত কয়েকদিন আগে দেখলাম যে, আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আবার নাকি সৃজনশীল পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে। মানবন্টন পরিবর্তন করা হবে।এর ব্যাখ্যায় মাননীয় মন্ত্রী মহদোয় যা বলেছেন তা আমাদের মাথায় কোনভাবেই ঢুকেনা। কিছু অসাধু শিক্ষক নাকি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন (তথ্য প্রমাণও নাকি তাদের কাছে আছে)। তারা যেন আর এই মন্দ কাজটি না করতে পারেন তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। বিষয়টা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমরা অভিজ্ঞতার আলোকে জানি এর জন্য শিক্ষক সমাজ মোটেও দায়ী নয়। যদি কেউ এরকম অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে তবে তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিন্ত এজন্যতো মান বন্টনের পরিবর্তনের দরকার নাই। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি সহজ নয় তারপর আবার অহেতুক আতংক শিক্ষার্থীদের জন্য নিশ্চয় মঙ্গল হবেনা।
অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি এখন য়ে পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে তার জন্য শিক্ষকসমাজ মোটেও দায়ী নয়। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা দায়ী। তবে হ্যাঁ যদি ভাল এবং মানন্নোয়নের জন্য যদি কোন সংস্কার আনতে হয় তবে শিক্ষক তথা কোন পক্ষকে দোষারোপ না করে প্রয়োজনীয় সংস্কারকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশের পরিচালক। আর এদেরকে গড়ে তোলার কারিগর হল এদেশের শিক্ষক সমাজ। আসুন আমরা অহেতুক অন্যকে দোষারোপ না করে সংশ্লিষ্ট দায়ীদের চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
আর লিখলেই পাশ করানোর তাড়া দেওয়া হচ্ছে তা যতই প্রাসঙ্গিক হোক বা না হোক ।
যেভাবে জিপিএ ৫ এর বন্যা বইছে এবং ছাত্র ছাত্রীদের রেজাল্ট পেয়ে খুশীতে আটখানা হচ্ছে এবং ''ভি'' চিন্হ দেখানো হচ্ছে এরকম লিখিত পদ্ধতিতে দেখা যেত না গত ২৫-৩০ বছর আগে ।
সে সময়ে স্ট্যান্ড করা ছেলে মেয়েদের দেখাতো মা বাবার মাঝখানে বসে আছে । খুব ইন্সপায়ারিং ছিল ব্যাপারটি । তখন ফার্স্ট ডিভিশনও এত ছিল না এখন যেরকম জিপিএ ৫ পাওয়াদের দেখা যায় ।
এরকম বাংলা লিংক দরে যে জিপিএ ৫ দেওয়া হচ্ছে যে সব ছাত্রছাত্রীদের আসলেই কি তারা সেরকম মেধাবী ? এর কিছুটা প্রমান পাওয়া গেছে গত ২-৩ বারের ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় । অনেক ''ভাল ভাল'' ছাত্র সেখানে চান্স পায় নি । সামনের ৫-৭ বছরে এই পাইকারী হারে জিপিএ ৫ ওয়ালারা যখন কার্যক্ষেত্রে নামবে তখন বোঝা যাবে আসলেই তারা এরকম রেজাল্টের যোগ্য ছিল কি না ।
কিন্তু এর জন্য আফসোস লাগে।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন