রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের উপায় কোন পথে???
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ রিগান ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১০:২৮ দুপুর
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দেশ এখন তোলপাড়। কি হবে! কি হবে! এটা নিয়ে ভেবে সবাই হয়রান। বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রস্তাব দিচ্ছে। কেউ বলছে জাতিসংঘ দিয়ে চাপ দিতে কেউ বলছে মানবাধিকার সংস্থা দিয়ে চাপ দিতে আবার কেউ বলছে সামরিক হামলা করতে।
আসুন আমরা সব গুলো সম্ভাবনা নিয়ে যুক্তিপূর্ণ বিচার করে সিধান্তে আসি।
১. প্রথম আসি জাতিসংঘ নিয়ে চিন্তা করি। জাতিসংঘ মানেই কিন্তু ৫ সুপার পাওয়ার। এদের ১ জন যদি কোন প্রস্তাবে ভেটো দেয় তাহলেই কাহিনী খালাস। ইয়াল্টা সম্মেলনে তাদের এই পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ পাওয়ারের এক পাওয়ার হচ্ছে চীন। বুঝতেই পারছেন যে চীন ভেটো দিবে!! আর বাকি ৪ সুপার পাওয়ারও কিন্তু মুসলিম বাঁচাতে এত আগ্রহী নয়। তারাও কোন না কোন ভাবে কিন্তু মুসলিম নিধনে লিপ্ত। আর চীন তো জিঞ্জিয়াং প্রদেশে মুসলিম নিধন চালালো এই তো কিছু বছর আগে সেম রোহিঙ্গাদের মত করে।
২. মানবাধিকার সংস্থাঃ মানবাধিকার সংস্থা গুলোর কিন্তু কোন সামরিক পাওয়ার নেয়। তারা চিল্লাইতে পারবে। দৃষ্টি আকর্ষন করাতে পারবে কিন্তু শক্তি দিয়ে যে কিছু করাবে সেটা তাদের সাধ্যের বাহিরে।
৩. প্রতিবেশীদের দিয়ে চাপ দেওয়া যায়?? না। কারণ মিয়ানমারের পাশে আমরাই শুধু মুসলিম আর সবাই অমুসলিম। আর সারা বিশ্বব্যাপী অমুসলিমদের এখন প্রধান ইন্টারেস্ট মুসলিম নিধনে। ভারতের তো ইন্টারেস্ট আরো এক ডিগ্রী বেশি। সো, এটাও কাজ করবে না।
৪. অনেকে OIC এর কথা বলেছে। ১৯৬৯ সালে যে জজবা নিয়ে ওআইসি গঠিত হয়েছে সেই জজবা এখন আর নেই। অনেকে মজা করে বলে যে ও আই সি মানে O, I see!!
৫. বড় বড় মুসলিম দেশের কথা ভাবা যাক!! সৌদি হচ্ছে মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে মান্য দেশ। তারা নেমেছে এক বিশাল নিরবতায়। যদিও তারা সেনাবাহিনীর একটা জোট করেছিল কিছুদিন আগে কিন্তু সেটার কার্যক্রম থেমে থেকেছে শুধু ইয়েমেনের মুসলিম নিধনের মাঝেই। মুসলিমদের রক্ষা তাদের কাজ নয় । আর তুরস্কসহ অন্য মুসলিম বলয় যদি কাজ করতেও চায় তাহলে লাগবে বাংলাদেশের ভূমি। আমাদের মহান(!) প্রধানমন্ত্রী কি সেটা দিবেন?? যেখানে তিনি অনেক জায়গায় প্রতিবাদ মিছিলো করতে দেয়নি। আর মুসলিম দেশ গুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কও ভালনা। ফলে অন্যদেশের সামরিক হামলার সম্ভাবনা নাকচ(যদি মিরাকেল না ঘটে আর কি!!)
৬. বাংলাদেশের নিজ উদ্যোগে হামলার সম্ভাবনা আপাতত শূন্য। কারণ বাংলাদেশের মুসলিমরাই নির্যাতিত সেখানে অন্য দেশের মুসলিমদের বাঁচাতে আমাদের সরকার ঝাঁপিয়ে পড়বে, সেটা দিনের স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। আর বাংলাদেশের বিজিবি বা আর্মির যে এজাইলিটি ছিলো সেটা তো এখন নাই বললেই চলে। বেশ কিছুদিন আগে এক বিডিয়ার সদস্যকে তো ধরেই নিয়ে গেলো মিয়ানমারের সিমান্তরক্ষীরা, পরে অনুগ্রহ করে লাশ ফিরিয়ে দিয়েছে অবশ্য!!
সিধান্তঃ উপরের সব কিছু আলোচনা করে বুঝা গেলো যে বাংলাদেশের অবস্থা সঙ্গিন। বাংলাদেশ না কূটনৈতিক না সামরিক কোন দিকেই পারবেনা বা সরকার করবেনা। মিয়ানমারও আর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবেনা। বিশ্বের মাথারা উদ্বেগ জানাবে,সেলিব্রেটিরা মাঝে মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসবে। এই আর কি!! রুটিন ওয়ার্ক। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১০ লাখের মত বেড়ে গেলো আর কি। যদি কোন দিন বাংলাদেশে যোগ্য কোন শাসক আসে তাহলে হয়তো রোহিঙ্গারা তাদের ভূমি ফিরে পাবে। আরাকান বাংলাদেশের হবে। আর এই সরকারের সময় কিছু ঘটাতে হলে স্বয়ং জিব্রাইল ফেরেশতাকে লাগবে!!
বিষয়: রাজনীতি
১০৪২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন