পিস টিভির সাথে আলেমদের বিরোধের উৎস অনুসন্ধান
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ রিগান ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৯:০৯ বিকাল
উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে ২ ভাবে।
১. আরব বণিকদের মাধ্যমে
২. ইসলাম প্রচারকদের মাধ্যমে। উদাহারন শাহ জালাল, শাহ পরান(আল্লাহ উনাদের শান্তিতে রাখুক)
ধারণা করা হয় আরব বণিকদের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগে ইসলামের প্রসার ঘটে। ৩৬০ আওলিয়ার ব্যাপারটা মাথায় রাখলে বুঝা যায় যে কি হারে দলে দলে মুসলিম মিশনারিরা তখন বাংলায় এসেছিলো। যে যায় বলুক এসব আরব বনিক এবং মুসলিম মিশনারিরা ছিলো আরবি ভাষাভাষী। তারা বুঝতোনা বা খুব কমেই বাংলা বুঝতো। তাই তারা স্থানীয় কোন মানুষকে কিছুটা আরবি শিখিয়ে তাকে দোভাষী হিসেবে রাখতো।এদের বলতো খাদেম। এখনো দেখবেন অনেক পীরের মাজারের পাশে তার খাদেমের মাজারো আছে।
বাংলা ভাষাভাষী না হওয়াই তাদের সুন্দর আচার ব্যাবহার দেখে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করলেও আরবি ভাষার কোরআন হাদিস না পড়তে পারার কারণে সাধারন মানুষের কাছে ইসলাম থেকেছে দুর্বদ্ধ্যো, অনেকটা শুধু উপাহাসনায়ে সীমাবদ্ধ।
মানে ইসলামের সম্পুর্ন রূপ ধরা পড়েনি আমাদের পুর্ব-পুরুষদের কাছে। এরূপ বাস্তবতায় মুসলিম বুজুর্গোরা হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের সান্নিধ্যে চলে আসে। তাদের অনুকরণে শুরু করে ইসলামের সন্নাস্যিবাদ বা সুফিজম। ইতিহাসবিদদের মতে তৈমুর লঙ্গ বাংলা আক্রমণের পরে হিনমন্য মুসলিম সূফীরা হিন্দুদের কাছ থেকে " আল্লাহ সব জায়গায় আছে" এই থিওরি গ্রহণ করেন। এইভাবেই এই উপমহাদেশে পীরদের বিস্তার হয়।
এরকম এক বিখ্যাত পীরের নাম ইমদাদুল মহাজির মাক্কি। উনার মুরিদ হলেন আপনাদের সবার চেনা আশরাফ আলি থানভি,কাসেম নানোতভি( দেওবান্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা) এবং রসীদ আহাম্মেদ গাজ্ঞোহি। এই রসীদ আহাম্মেদ গাজ্ঞোহির মুরিদের মুরিদ আবার তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সবার পরিচিত মাওলানা আক্তার ইলিয়াস হজরতজী। এই মাওলানা আক্তার ইলিয়াস উনার তাবলীগে ঢুকিয়ে দিলেন সূফীদের কিছু নিয়ম কানুন যা উনি উনার পীরের মাধ্যমে পেয়েছেন ইমদাদুল মহাজির মাক্কির কাছ থেকে আর ইমদাদুল মহাজির মাক্কির মত বুজুর্গরা যেটা ধার করেছেন হিন্দু সন্নাস্যিদের কাছ থেকে।
ফলে তাবলীগ এবং দেওবান্দের শিক্ষা হয়ে পড়ে ত্রুটি যুক্ত। তারপরেও বিকল্প নেই দেখে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা তাদের সিলেবাসকেই কারিকুলাম করা শুরু করে, ফলে ত্রুটিপুর্ন ইসলামী শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে। আধুনিক যুগে এসে উপমহাদেশের বিপুল সংখ্যক ছেলে-মেয়ে পড়তে যায় মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ফলে তারা সেখান থেকে নিয়ে আসে মূল ইসলামিক শিক্ষাকে। এছাড়া ইসলাম নিয়ে গবেষণার পরিমাণও বাড়তে থাকে, উপমাহাদেশের কিছু মানুষ কর্মের খোঁজে যেতে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
এই ৩ গ্রুপেই দেখলো ইসলামের মূল ভূমির ইসলাম আর আমাদের ইসলাম ১ জিনিস নয়। আমাদের পালিত ইসলামে ভুল আছে। ফলে ৩ শ্রেনিই তাদের হাতে থাকা মিডিয়া বা ব্যাক্তিগত ভাবে বা লেখালেখি করে, ওয়াজ করে এসব ভুল তাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। দেওবান্দের কথিত আলেমরা, তাদের অনুসারী পীরেরা এবং তাবলীগ জামাত দেখলো মানুষ তাদের মুখের উপর ভুল ধরছে। তাই তারা ভাবলো মূল ইসলাম জানা বন্ধ করে দিতে হবে। তারই শেষ প্রচেষ্টা পিস টিভি বন্ধের নালিশ...........................
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন