মুসলিমরা কি চিন্তা করে আর বিশ্ব কি ভাবে???
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ রিগান ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:৩১:৩৪ সন্ধ্যা
ইসলাম ধর্মের প্রায় ৫০০ বছর আগে থেকেই খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মের বার্তা নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। নতুন নতুন দেশ বা জাতি যাকেই তারা পেতো তাকেই ধরে তারা খ্রিষ্টান বানানোর চেষ্টা করতো। নানা কৌশলে তারা তাদের ধর্ম প্রচার করতে থাকে। কখনো ভয় দেখিয়ে, কখনো লোভ দেখিয়ে আবার কখনো মানুষের সেবা করে। পৃথিবীতে ২টা ধর্ম আছে যারা চায় মানুষ তাদের ধর্ম গ্রহন করুক। ১. খ্রিষ্টান ,২. ইসলাম। যখন ইসলাম আরব উপদ্বীপে আসলো তখন খ্রিষ্টান ধর্ম এগিয়ে আছে ৫০০ বছর। আল্লাহ জানেন সামনের দিন গুলোতে মুসলিম নামক এই জনগুষ্ঠীকে প্রবল ভাবে মোকাবেলা করতে হবে খ্রিষ্টানদের-শক্তিতে এবং বুদ্ধিতে। আল্লাহ মোহাম্মদ(সঃ) নামক পৃথিবীর সেরা একজন মানবের কাছে পৃথিবীর তাবৎ মানবরচিত আইনের বিপরীতে একটা সুন্দর আইনের বই পাঠালেন।
সেখানে ভরে দিলেন মানবরচিত ত্রুটিপুর্ন আইনের বিপরীতে সুন্দর সুন্দর ঐশ্বরিক আইন, তত্ত্বকথা,দর্শন, নিয়ম-কানুন। বইটার নাম আল-কোরান। উদাহারন দেওয়া যাক। আল্লাহ জানেন মানুষ এক সময় অবাধ যৌনাচারে অবস্থ হয়ে যাবে। ফলে নানা রকম যৌন রোগ ছড়াবে। তার জন্য মানুষ আবার কনডম নামক জিনিস বানাবে ,এই সময় আবার একদল লোক বিয়ে বা ছেলে-মেয়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকবে। ফলে আল্লাহর পাঠানো প্রতিনিধিদের সংখ্যা হুমকির মুখে পড়বে, তারা নানা রোগে কষ্ট পাবে। আল্লাহ ভাবলেন এই চরম মুহুর্তেও কিছু মানব প্রজাতি সুস্থ থাকবে,এদের কারণে মানব প্রজাতি টিকে যাবে। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে উনি কোরআনে নিজের স্ত্রি ছাড়া বাকিদের সাথে যৌনাচার হারাম করে দিলেন। পৃথিবীতে সব মানুষ মারা গেলেও কোরানের এই আইন আঁকড়ে ধরা মানুষ বেঁচে থাকবে, তা সে যে ধর্মেরি হোক........................
এইদিকে খ্রিষ্টানরা জেরুজালেম ছেড়ে ইউরোপে চলে গেলো সেখানে তখন আবার প্রকৃতির পূজারীদের বসবাস। ইতিহাস সাক্ষি দেয় যে খ্রিষ্টানরা সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালালো। হাজার হাজার প্রকৃতি পূজারীদের হত্যা করা হল। অবস্থার বেগতি দেখে তারা প্রকৃতি পূজারীদের সাথে একটা নেগসিয়েশানে গেলো। তারা তাদের ধর্ম আর প্রকৃতি পুজাকে মিলিয়ে একটা কক্টেল ধর্ম বানালো( উৎসাহী পাঠক ড্যান ব্রাউনের দ্যা বেঞ্চি কোড পড়ে দেখতে পারেন)। ফলে ইউরোপে তাদের অবস্থান শক্ত হল। আধুনিক যুগের কাছাকাছি এসে তারা ভাবল “ আমাদের ধর্মের নিয়ম কানুন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে অন্য নামে”।যেমন তারা তাদের ধর্ম এবং গ্রিসের প্রচলিত শাসনব্যাবস্থাকে “ গণতন্ত্র” নামে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিলো। প্রায় সব ধর্মের মানুষ এটাকে গ্রহন করলো আগ্রহ নিয়ে।নানা ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও মুসলিমরাও গ্রহন করলো। অন্য ধর্মের লোকেরা এই মানব রচিত খ্রিষ্টান এবং পেগান শাসন ব্যাবস্থা মনে প্রানে পালন শুরু করলো। একসময় এই পরিস্থিতি আসবে জেনে আল্লাহ তার প্রিয় লোক মোহাম্মদ(সঃ) এবং তার সাথিদের দিয়ে আরেকটা সুন্দর গণতন্ত্রের সিস্টেম আগেই চালু করে রেখেছিলেন। ফলে এই গণতন্ত্র “ভাল” হলেও মুসলিমরা আগেই “খুব ভাল” গনতন্ত্রের ধারণা মাথায় লালন করার কারণে তাদের বেশির ভাগ দেশেই খ্রিষ্টানদের প্রচলিত গণতন্ত্র তেমন শক্ত শিকড় গাড়তে পারলোনা। কারন মুসলিমরা হাদিস-কোরান পড়ে দেখলো যে প্রচলিত গণতন্ত্রের চেয়ে তাদের নবি দেখানো গণতন্ত্র অনেক সুন্দর। যখন পশ্চিমারা দেখলো যে মুসলিমরা তাদের প্রচলিত শাসনকে মনে প্রানে মেনে নিচ্ছেনা তখন তারা তাদের পুতুল কিছু সরকার এই মুসলিমদের উপর একনায়েক হিসেবে চাপিয়ে দিলো...........................
আধুনিক যুগে এসে তারা দেখলো তারা যে প্ল্যান করেই পৃথিবীকে বুঝাতে চাচ্ছে তাদের ধর্ম সেরা সেই প্ল্যানে মার খাচ্ছে একটা লোকের কাছে আর একটা বইয়ের কাছে। তারা সিধান্ত নিলো এই লোকের ইমেজ নষ্ট করতে হবে। তারা লোকটাকে ডাকাত, শিশু নির্যাতনকারী ইত্যাদি নামে অপমান করার চেষ্টা করলো। কেউ আঁকলো কার্টুন। তার বই( খ্রিষ্টানরা সেটাই বলে) পোড়ানোর ব্যাবস্থা হল। তার অনুসারীদের নানা ছুতায় হামলা করে মারা হতে লাগলো। পৃথিবীর যে অংশের তার অনুসারীদের মনে হল তারা এই লোকটাকে বেশি মানছে সেই সব অনুসারীদের বেশি মারা হল। উদাহারন আফগানিস্তান। প্রক্রিয়াটা চলছে........................
আসলে জংগি-টংগি কিছু না। এদের লক্ষ্য একজন মানুষ, তার প্রচারিত মতবাদ আর তার একটি বই-কোরান........................
বিষয়: বিবিধ
১১৫৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লিখাটি ভালো লেগেছে। তবে এই যে কথাটি লিখেছেনঃ
আল্লাহ তায়ালার তো ভাবার প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীর আদি অন্ত সবই আল্লাহ তায়ালার জ্ঞানের আওতায়। তাই ভাবার প্রয়োজন হয় না। মানবজাতির কল্যানে আল্লাহ তায়ালা সকল বিধান নাযিল করেছেন।
ধন্যবাদ।
সূরা ২৩:৬- তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন