অপেক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন আমির হোসেন ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১৬:০০ রাত
পদ্মা নদীতে এখন যেন কান্নার ঢেউ। চলছে পদ্মাপাড়ে স্বজন হারানো মানুষের আহাজারি। কিছুদিন পূর্বে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চ। এই লঞ্চডুবিতে নিহত হয় দিনমজুর খবির উদ্দিনের তিন মেয়েও স্ত্রী। কন্যা ও স্ত্রীর খুঁজে আজ প্রায় এক মাস যাবত পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খবির উদ্দিন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন যাঁরা, তাঁরা নেহাতই ভাগ্যবান। অনেকেই লঞ্চে উঠেছিলেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। নিজে বেঁচে গেছেন কিন্তু হারিয়েছেন পরিবারের অন্যদেরকে। কিন্তু হতভাগ্য খবির উদ্দিনের পরিবারের কেউ বেঁচে নেয়।
তিন কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে ছিল খবির উদ্দিনের পরিবার। তিন কন্যার নাম তিনি আদর করে রেখেছিলেন স্মৃতি, বীথি ও ইতি। ঈদ উপলক্ষে তিন কন্যা তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় চাচার বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিল। আর ফিরে আসল না। একটি দুর্ঘটনা মুহূর্তে তছনছ করে দিল খবির উদ্দিনের পরিবারকে। প্রায় একমাস হলো লঞ্চডুবল এখনও তাদের সন্ধ্যান পাননি খবির উদ্দিন। কি হলো তাদের, কোথায় আছে তা কিছুই জানেন না। শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। কখন ফিরবে তারা। কখন দেখবে তাদের মুখ। জীবিত বা মৃত অবস্থায় দেখতে চায় তিন কন্যা ও স্ত্রীকে। তিন কন্যা ও স্ত্রীর খুঁজে খবির উদ্দিন প্রায় পাগল হয়ে গেছেন। নাওয়া খাওয়া নেই। চোখ বেয়ে সারাক্ষণ শুধু পানি পড়ে। পাগলের মতো পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যতদিন উদ্ধার কাজ চলছিল ততদিন তিনি উদ্ধারকর্মীদের কাছাকাছি থেকেছেন। কিন্তু তার তিন কন্যা ও স্ত্রী লাশ ফিরে পায়নি। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও তাদের কোন হদিস মেলেনি। যতবারই নদীতে লাশ ভেসে উঠেছে ততই বারই খবির উদ্দিন দৌঁড়ে ছুটে গেছেন লাশের কাছে আর ততবারই নিরাশ হয়ে ফিরেছেন তিনি।
এখন আর উদ্ধার কাজ নেই। কয়েকশ যাত্রী নিখোঁজ রেখে সরকার উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দিল। এ কথা ভাবতেই খবির উদ্দিনের বুকটা ছ্যাৎ করে উঠে। আর হয়তো কোনদিন তাদের লাশ দেখাও সম্ভব হবে না। এতদিন আশায় ছিলেন হয়তো তাদের লাশ ফিরে পাবে কিন্তু এখন আর সেই আশাও করতে পারেনি। তাইতো খবির উদ্দিন সিদ্ধান্ত নিল আর বাড়ি ফিরে যাবেন না। মরতে হয় এখানেই মরবেন। যেই নদীতে তার পরিবারের সলিল সমাধী হলো সেখানেই তিনি মরতে চান। কি হবে বাড়ীতে গিয়ে? কার মুখ দেখে তিনি ঘুমাবেন। কোন কিছু তিনি এখন ভাবতে পারেন না।
হাতে গোনা কয়েকটা লাশের সন্ধ্যান মিলল। আর বাকীরা সবাই লঞ্চের ভেতরে অথবা কোথাও না কোথাও ভেসে বেড়াচ্ছে। আজও লঞ্চের সন্ধান মেলেনি। লঞ্চ এখন কোথায় আছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। খবির উদ্দিনের পরিবারের লোকজন কোথায় আছে তাও আল্লাহ জানেন। তারা কি লঞ্চের ভেতরে নাকি পানির স্রোতে ভেসে গেছে দূরদূরান্তে যা খবির উদ্দিন জানে না।
এমন বিপদের সময় কে দিবে সান্ত¡না খবির উদ্দিনকে। আপনজন বলতে কেউতো তার বেঁচে নেই। যাদেরকে নিয়ে তিনি বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছিলেন তারাওতো নিষ্ঠুরের মতো না বলে চলে গেল। আল্লাহ ওনাকে তিনটি কন্যা সন্তান দিলেন। কোন ছেলে সন্তান নেই। তাতেও তার কোন ক্ষোভ ছিল না। তাদেরকে নিয়ে তিনি স্বপ্ন দেখতেন। তিন কন্যাকে তিনি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। তাদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সারা জীবন দিনমজুর খবির উদ্দিন খেটেছেন। সাধারণ কৃষি কাজ করে তিনি তিন কন্যাকে লেখাপড়া শিখাচ্ছেন। বড় মেয়ে স্মৃতি এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। মেজ মেয়ে বীথি ইন্টারমিডিয়েট পড়ছে ও ছোট মেয়ে ইতি এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তিন কন্যাকে এম.এ পাশ করাবেন তারপর তিনি সু-পাত্রের কাছে বিয়ে দিবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। একটি দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে গেল তার এতদিনের লালিত স্বপ্ন। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের চারজনই চলে গেলে দূর অজানায়। তাও আবার তাদের কোন লাশ পাওয়া যায়নি। কবর দেয়ার সুযোগ টুকু পর্যন্ত তিনি পাননি।
সকল প্রাণী মরণশীল। তাই মানুষও মরণশীল। মরার পর তাদের একটি শেষ সমাধিস্থল থাকে। সেই সমাধিস্থলে গিয়ে কবর জিয়ারত করে পারিবারের অন্য সদস্যরা তাদেরকে ভুলে থাকার শান্ত¡না পায়। কিন্তু খবির উদ্দিনের এ কেমন দশা হলো যে, পরিবারের সবাইকে এক সাথে হারাতে হলো এবং তাদের কোন সমাধিস্থলও করতে পারেনি। এমনকি তাদেরকে শেষ দেখাটুকুও দেখতে পারেনি। এমন দুর্ঘটনা কি সহ্য করার মতো। কোন মানুষ কি পারবে এমন দুর্ঘটনা নীরবে সহ্য করতে? খবির উদ্দিন সহ্য করতে পারেনি। তাইতো তিনি এখন বোবা হয়ে গেছেন। কোন কথা নেই তার মুখে। শুধু হতাশার চোখে পদ্মার পাড়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া এখন তার আর কোন কাজ নেই। যেহেতু তাদের কোন লাশ পাওয়া যায়নি। তাই এটাই তাদের সমাধি। এখানে থাকলে সে শান্তি পাবে অন্য কোথাও আর তিনি শান্তি পাবেন না। তাইতো তিনি এখানে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা তাদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
খবির উদ্দিনের একমাত্র বড় ভাই দবির উদ্দিন। যিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই শহরে থাকতেন। গ্রামে তেমন আসতেন না। মাঝে মাঝে ঈদের সময় গ্রামে আসতেন। তার ছেলে-মেয়েরা ও শহরে থাকে। এবার ঈদে তারা গ্রামে আসেনি। দুর্ঘটনার খবর শুনেও তৎক্ষণাৎ তিনি পদ্মার পাড়ে যাননি ছোট ভাইয়ের বউ ও ভাতিজিদের খোঁজে। শুধু দূর থেকে খোঁজ নিয়েছেন। শুধুমাত্র তার বড় ছেলে আলভী গিয়েছিল তাদের খোঁজে। দীর্ঘ এক মাস পড়ে ভাইয়ে কথা মনে পড়ল দবির উদ্দিনের। তাইতো তিনি ভাইয়ের খোঁজে পদ্মার পাড়ে আসলেন। পদ্মার পাড়ে এসে দেখে ঐ দূরে নদীর পাড়ে বসে আছে খবির উদ্দিন। উসখু-খুসকু চুল। নাওয়া খাওয়া নেই। তাই শরীর কঙ্কাল হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেন দবির উদ্দিন। পিছন দিক দিয়ে ভাইয়ের কাদে হাত রাখলেন দবির উদ্দিন। ভাইয়ের স্পর্শ পেয়েও খবির উদ্দিনের কোন অনুভূতি নেই। ঘাড় ফিরে তাকিয়ে দেখলেন না কে ধরেছে তার কাদে। তাইতো দবির উদ্দির ইচ্ছে করেই তার সামনে গেলেন। ভাইকে গলায় জড়িয়ে বললেন, ভাই আমার যে চলে যাবার সেতো চলে গেছে। তারা আর ফিরে আসবে না। এখানে বসে থাকলেতো কোন লাভ হবে না। শুধু শুধু কেন এখানে পড়ে আছিস? তাদেরকে এখন পেলেও তাদেরকে চিনতে পারবে না কারণ তাদের লাশ হয়তো এতদিনে পচে গেছে। তাই বলি ভাই বাড়ী চল। আমি তোর দেখাশুনা করব। বাকী জীবন আমার সাথে কাটাবে।
খবির উদ্দিন দবির উদ্দিনের কথার কোন প্রতিউত্তর দিচ্ছে না। কি করে উত্তর দিবে তার মুখের ভাষা যে সেই কবেই হারিয়ে গেছে। তাইতো বড় ভাইয়ের কথায়ও তিনি কোন উত্তর দিতে পারছেন না। বড় ভাইয়ের দিকে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না খবির উদ্দিন।
কি হলো ভাই কথা বলছস না কেন? তুই এভাবে চুপ থাকলেতো চলবে না। চল বাড়ীতে। আল্লাহ যা করেন সবইতো ভালর জন্যই করেন। তার উপরতো আমাদের হাত নেই।
এতকিছু বলার পরও খবির উদ্দিনের মুখে কোন শব্দ বেড় হচ্ছে না। শুধু মাথা নাড়িয়ে জানান দিলেন তিনি এখান থেকে যাবেন না। মরতে হয় এখানেই মরবেন। তবুও বাড়িতে যাবেন না। এমনকি কারো সাথেও যাবেন না। খবির উদ্দিনকে অনেক বুঝিয়ে ও কাকুতিমিনতি করে দবির উদ্দিন এখান ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় চলে আসলেন।
দবির উদ্দিনের বড় ছেলে আলভী সে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করেছে। চাকুরীর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করছে। চাকুরীটা হয়ে গেলেই বিয়ে করবে তার চাচাতো বোন স্মৃতিকে। দীর্ঘদিন থেকেই স্মৃতির সাথে ভালোবাসার সর্ম্পক ছিল। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন অনেকেই এ খবর জানত। পরিবারের পক্ষ থেকেও তেমন কোন আপত্তি ছিল না স্মৃতিকে বিয়ে করতে। কারণ স্মৃতির বাবা দিনমজুর হলেও স্মৃতি ছিল অসম্ভব সুন্দরী ও মেধাবী। এসএসসি ও এইচসিতে এপ্লাস পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিল। বড় চাচার বাসায় থেকেই পড়ছিল স্মৃতি। তাইতো আলভী ও আলভীর পরিবারের সাথে তার সর্ম্পক ছিল অন্যরকম। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অঙ্কুরেই সেই ভালোবাসা আজ স্বপ্ন হয়ে রইল।
আলভী যখন লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর পেল তখন যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। মূহূর্তে তার জীবনে কালবৈশাখী ঝড় নেমে আসল। তছনছ হয়ে গেল এতদিনের লালিত স্বপ্ন। ছুটে গেল পদ্মার পাড়ে। পাগলের মতো খুঁজতে লাগল স্মৃতিকে। কোথাও জীবিত স্মৃতিকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে গেল আলভী। তার শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেল। এই বুজি তার জীবন থেকে স্বপ্নের মানুষ চলে গেল। সে আর ফিরে আসবে না। তাকে আর ভালবাসার কথা শুনাবে না। তাকে আর সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখাবে না। এই কথা ভাবতে পারছে না আলভী।
উদ্ধার কাজ শুরু হলো। একে একে মৃত লাশ ভেসে আসছে কিন্তু স্মৃতি ও তার পরিবারের কোন লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। তখনই আলভীর মনে জানান দিল স্মৃতির লাশ আর পাওয়া যাবে না। শেষ দেখাটুকু দেখতে পারবে না। স্মৃতি এখন তার মনের মনিকোঠায় স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।
স্মৃতি যখন বুঝতে পারল লঞ্চ ডুবে যাচ্ছে, জীবনের প্রদীব নিভে যাচ্ছে। হয়তো আর কারো সাথে দেখা হবে না। তাই মৃত্যুর পূর্বে অনন্ত প্রিয়তম আলভীর সাথে একটু কথা বলে নেই। তখন স্মৃতি আলভীকে ফোন দিল। আলভী ফোন রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে কান্নাভেজা কণ্ঠে স্মৃতি বলছে, আলভী আমরা যে লঞ্চে ঢাকায় আসছি সেই লঞ্চ ডুবে যাচ্ছে।
আলভী আশ্চার্য হয়ে বললো, একি বলছ তুমি!
হ্যাঁ আলভী জীবনের চরম সত্যের মূহুর্তে এখন দাঁড়িয়ে আছি। লঞ্চের ভেতর পানি ঢুকে গেছে।
এ হতে পারে না। আলভী লক্ষ করে শুনছে লঞ্চের ভেতর কান্নার রুল পড়ে গেল। সবাই চিৎকার চেচামেচি করছে। কেউ কালিমা পড়ছে। কেউ আল্লাহকে স্মরণ করছে।
আমি হয়তো বাঁচবো না। আমার সাথে বীথি, স্মৃতি ও মা আছেন তারাও হয়তো বাঁচবে না। তুমি আমার বাবাকে এ খবরটা জানিয়ে দিও। আর যদি পার একবার এসে আমার লাশটা দেখে যেও। যদি আমরা চারজনেই মারা যায় তাহলে গ্রামের বাড়ীতে সবার লাশ এক জায়গায় দাফন করবা। এই আমার অনুরোধ।
আলভী আর কোন উত্তর দিতে পারেনি। ইতোমধ্যে ফোনের লাইন কেটে গেল। হ্যালো হ্যালো বলেও আর কোন সাড়া শব্দ পেল না স্মৃতির। আলভী স্তদ্ধ হয়ে গেল। স্মৃতির কোন সাড়া না পেয়ে আবার আলভী মোবাইল ডায়াল করল। কিন্তু না আর মোবাইলে রিং ঢুকে না। মোবাইল সফটওয়্যার বলছে, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর আলভী আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার পায়ের নিচে এখন আর কোন মাটি নেই। হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। আলভীর চিৎকার শুনে তার মা আসলো।
বাবা কি হয়েছে?
মা স্মৃতি, বীথি, ইতি ও তার মা লঞ্চডুবির কবলে পড়ছে।
তুই কেমনে জানলি?
এখন আমাকে স্মৃতি ফোন করল।
ফোনটা দেতো আমার কাছে।
এখনতো আর সংযোগ পাচ্ছে না।
একি বলছিস! সবাই মনে হয় এতক্ষণে মরে গেছে।
আলভী আর বিলম্ব না করে তার চাচাকে খবর দেয়। চাচা এ খবর পেয়ে পাগলের মতো ছুটে চলল পদ্মার পাড়ে। আলভীও সাথে রওয়ানা হলো। ঘটনাস্থলে এসে চাচা ভাতিজা দুজনে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে লাগল। কোথাও জীবিত অথবা লাশের সন্ধান পেল না। শত শত মানুষ স্বজনের খুজে এখানে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। কেউ হয়তো লাশ পাচ্ছে আবার কেউ হয়তো লাশ পাচ্ছে না। হতভাগ্যদের স্বজনরা লাশ না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে গেছে। তেমনি আলভী ও তার চাচা তিন থাকার পরও কোন লাশ পায়নি। আলভী নিরাশ হয়ে ফিরে আসল ঢাকায় কিন্তু তার চাচা খবির উদ্দিন ফিরে আসল না। এখন তিনি সেখানেই আছেন। এভাবেই হয়তো বাকী জীবন তিনি তিন কন্যা ও স্ত্রীর খোঁজে পদ্মার পাড়ে ঘুড়ে বেড়াবেন। আর তাদের অপেক্ষায় থাকবেন কখন পাবে তাদের লাশ। আর আলভী হয়তো অপেক্ষা করবেন অনন্তকাল তার প্রিয়তমার জন্য।
রচনাকাল- ০১-০৯-২০১৪খ্রি:
বিষয়: সাহিত্য
১২৩৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু স্বার্থপর মানুষদের সীমাহীন অর্থলিপ্সা সমাজের কতজন কে এভাবে অনন্ত অপেক্ষায় বসিয়ে রাখে!!
গল্পের পুরোটা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কষ্টের আবহ মন্তব্যের ভাষা কে ক্ষীণতর করে দিচ্ছে......
মন্তব্য করতে লগইন করুন