ভালোবাসা অপরাধ
লিখেছেন লিখেছেন আমির হোসেন ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৪:৩৯ রাত
আশিক গ্রামে লজিং থেকে লেখাপড়া করে। সে এ বছর এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। ছাত্র হিসেবে খুব ভাল। আর মাত্র দু’মাস বাকী ওর ফাইনাল পরীক্ষার। লেখা পড়া নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত। বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করার সময়ও এখন আর তার নেই।
আশিকের লজিং মালিক মুক্তার সাহেবের বড় মেয়ে প্রিয়ার সাথে তার ভালোবাসা বিনিময় হয়।
আশিক প্রিয়ার ছোট একভাই ও বোনকে পড়াতো। প্রিয়াকে তার পড়াতে হতো না। সে ক্লাস নাইনে পড়ে। প্রিয়া প্রতিদিন আশিকের কাছে আসত। তার কাছে এসে বসে থাকত। মাঝে মাঝে তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে কি যেন দেখত।
আশিক তাদের বাড়িতে আসার পর থেকে সে আশিকের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ল। কতবার বলার চেষ্টা করেছে আশিকের কাছে তার মনের কথা কিন্তু বলতে পারে না। কোথা হতে যেন লজ্জা, ভয় এসে তাকে বাঁধা দেয়।
আশিক তার বাঁকা চাহনীতে ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। পড়ালেখা থেকে একটু একটু করে মন উঠে যেতে লাগল। মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে ভাবে। একদিন প্রিয়া আশিকের হাত ধরে বলেই ফেলল, স্যার আই লাভ ইউ।
একি বলছ, প্রিয়া? এ হয় না।
কেন হয় না স্যার?
তোমার আমার মাঝখানে অনেক তফাৎ। আশা করি বুঝতে পেরেছ।
না, আমি এ তফাৎ মানি না। আপনার আমার মাঝে কোন তফাৎ নেই। আমি কিচ্ছু বুঝি না। আমি শুধু আপনাকে চাই। আপনাকে ভালোবাসি এটাই সত্যি। আপনার কি আছে, কি নেই এ নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
এ সমস্ত অবেগের কথা প্রিয়ার মুখ থেকে শুনার পর আশিক আর ওর প্রিয়াকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। হয়ে গেল প্রেম। শুরু হলো নতুন প্রেমের যাত্রা। ওরা জানে না এ প্রেমের শেষ পরিণতি কি হবে। এখন আপনি থেকে তুমিতে চলে গেল। দু’জন দু’জনকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালোবাসে। প্রেমের সাগরে তারা এখন হাবুডুবু খেলছে।
একদিন আশিক প্রিয়াকে বললো, আচ্ছা প্রিয়া আমাদের এ ভালোবাসা কী তোমার মা-বাবা মেনে নিবেন?
কেন মেনে নিবে না?
আমিতো গরীব।
ও কথা বলছো কেন? তুমি গরীব বলে কী মানুষ নও?
হ্যাঁ আমি মানুষ। কিন্তু...।
কোন কিন্তু নেই। যা হবার পরে হবে। এ সব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। এখন আমরা যেভাবে আছি সেভাবেই চলুক।
গ্রামের সবাই যদি জেনে যায়?
জানুক, তাতে কি আসে যায়। আমরাতো কোন অন্যায় কাজ করছিনা।
তোমার আমার দৃষ্টিতে এটা অন্যায় নাও হতে পারে কিন্তু ওদের কাছেতো এটা অন্যায়।
এখন এসব কথা বাদ দাও।
প্রিয়া ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই চিন্তা করে না। কি হবে এ প্রেমের পরিনাম ভুলেও সে তা ভাবে না। প্রতিদিন এভাবে চলছে তাদের ভালোবাসা। এখনও কেউ জানে না এ গোপন ভালোবাসার কথা। কিন্ত সত্য কতদিন চাপা দিয়ে রাখা যাবে। নিশ্চয় একদিন প্রকাশ হবে। তখন কি হবে তাদের? তারাতো সে খবর রাখে না। এ সমাজ কি মেনে নিবে তাদের এ ভালোবাসা?
এখন আশিকের মনে শুধু প্রিয়া আর প্রিয়া। সারাক্ষণ তাকে নিয়ে ভাবে। মাঝে মাঝে তাদের মাঝে দু’একটি চিঠি আদান প্রদান করা হয়। এখন প্রিয়াকে ছাড়া সে অন্য কিছু ভাবতে পারে না।
মার্চ মাসের ৪ তারিখ আশিকের এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হলো। প্রতিদিন আশিকের সাথে প্রিয়া কেন্দ্রে আসে।
পরীক্ষা শেষ হলো। পরীক্ষা খুব ভাল হয়েছে। রেজাল্ট দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশিকের কোন কাজ নেই। এ অবসর সময় কি করে কাটাবে, তাই নিয়ে সে ভাবছে।
আশিকের এখন ইচ্ছে করছে এ অবসর সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু প্রিয়াকে ছাড়া তার যে কিছুই ভাল লাগেনা। একা বেড়িয়ে যে, সে আনন্দ পাবে না। তবুও তাকে একাই বেড়াতে হবে। কারণ প্রিয়াকে তার বাবা-মা ওর সঙ্গে যেতে দিবেনা।
আশিক ঢাকায় ফুফুর বাসায় চলে আসল। ঢাকা এসে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, যাদুঘর, শিশু পার্ক ও রমনা পার্ক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর প্রিয়াকে মিস করছে।
রমনা পার্কে এসে প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেমালোচনা দেখে তার প্রিয়ার কথা মনে পড়ে গেল। আর মনে মনে বলতে লাগলো, আহ্! এ মুহূর্তে যদি প্রিয়া আমার পাশে থাকতো তাহলে কত মজাই না হতো!
ঢাকায় অনেকদিন থাকার পর আশিক তার গ্রামের বাড়িতে ফিরল। বাড়িতে আসার পূর্বে সে তার ফুফা-ফুফুকে বলে আসছে যে, রেজাল্ট বের হলে তাঁদের এখানে চলে আসবে এবং ঢাকায় যেকোন একটি কলেজে ভর্তি হবে।
অনেক রাত। নির্জন কক্ষে আশিক বসে আছে। আশিক ভাবছে, অনেকদিন যাবত প্রিয়ার সাথে দেখা নেই। ওর কাছে একটি চিঠি দেওয়া উচিত। তা না হলে সে অভিমান করবে। আশিক জটপট করে চিঠির প্যাড নিয়ে বসে গেল। চিঠি লিখছে-
ওগো আমার প্রাণের প্রিয়া,
এখন অনেক রাত। আকাশে অসংখ্য তারা ঝিকিমিকি করছে। বাহিরে ঝিঁঝিঁ পোকা মিট মিট করে আলো দিচ্ছে। ঘড়ির কাটা টিক্ টিক্ করে বেজেই চলছে। সবাই এ মুহূর্তে গভীর নিদ্রায় মগ্ন। কেউ হয়তো বা এ মুহূর্তে সুখের স্বপ্ন দেখছে। জানিনা তুমি এখন কি করছ। আমি এখন নির্জন কক্ষে একা বসে শুধু তোমার কথাই ভাবছি।
প্রিয়া তুমি আমার বুকভরা ভালোবাসা নিও। আর সাথে নিও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। কেমন আছ? আশা করি ভাল আছ। ভাল থাকাই আমার কামনা। প্রিয়া, আমি তোমাকে একান্ত আপন করে পেতে চাই। আমি তোমার জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত অপেক্ষা করে যাব। তুমি সুন্দর, সত্যি তোমার সুন্দর্যের প্রশংসা না করে পারছি না। তোমার চেয়ে তোমার সুন্দর মনটাকে আমি বেশি ভালোবাসি। চিঠির মাঝে তোমার প্রতি রইল আমার সোহাগভরা কিস। সাদরে বরণ করে নিও। আর দেড়ীতে চিঠি দেওয়ার জন্যে রাগ করো না, প্লিজ লক্ষিèটি। আর হে, আমি কিন্তু, অল্প দিনের মধ্যেই তোমার কুলে ফিরে আসব। ভাল থেকো। তোমার মঙ্গল জীবন কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।
খোদা হাফেজ।
ইতি
শুধু তোমার আশিক
আশিক যথাসময়ে চিঠি পোষ্ট করে দিল। প্রিয়া চিঠিটা হাতে পেল। ও চিঠিরটা পড়ে আনন্দে নেচে উঠল। একবার নয়, দুবার নয়, তিনবার চিঠিটা পড়লো। তবুও ওর চিঠি পড়ার স্বাদ মিটলো না।
১৭ জুন রেজাল্ট দিবে আশিক আগে থেকেই জানে। বিকেলে আশিক পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলো। অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দূর থেকে বিদ্যালয়ে আসছে। আশিক রেজাল্টের জন্য অপেক্ষায় আছে।
হেডমাস্টার স্যার রেজাল্ট নিয়ে হাজির হলেন। ততক্ষণে আশিকের বুকটা ধুক্ ধুক্ করে কাপঁছে। কারণ ওর রেজাল্ট কি জানি কি হয়।
নোটিশ বোর্ড রেজাল্ট চার্ট লাগিয়ে দেওয়া হলো। অসংখ্যা ছাত্র-ছাত্রী ভীড় জমালো। আশিক দেখতে পেল, সে দুটি বিষয়ে লেটারসহ প্রথম বিভাগে পেয়েছে। আশিক রেজাল্ট দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল।
মিষ্টি নিয়ে আশিক ওর লজিং বাড়িতে আসল। বাড়ির সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে দিল। তারপর সে নির্জনে গিয়ে প্রিয়াকে একটি মিষ্টি খাইয়ে দিল।
দিনে দিনে অনেক দিন হয়ে গেল আশিক প্রিয়ার প্রেম। এখনও প্রকাশ পায়নি। কিন্তু সত্য যে গোপন থাকে না এ কথাটি চিরন্তন সত্য। এখন আশিক প্রিয়ার প্রেম কাহিনীও গোপন নেই। ক্রমে ক্রমে বাড়ীর সবাই জেনে গেল।
প্রিয়ার মা তার বাবাকে বলছেন, তুমি কি কিছু লক্ষ্য করেছ?
কী লক্ষ্য করব?
মাষ্টারের সাথে প্রিয়ার...। প্রিয়ার বাবা তার মায়ের কথাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, বুঝতে পেরেছি আর বলতে হবে না।
আগে থেকেই সাবধান করা উচিত। তা না হলে প্রিয়া আমাদের মান সম্মান ডুবিয়ে খাবে।
কথা ঠিকই বলেছ। তুমি কি ওদেরকে কিছু বলছ?
না।
তাহলে আমিই বলব।
আশিক ও প্রিয়া দু’জনে বাংলা ঘরে বসে প্রেমালোচনা করছে। হাত ধরাধরি করে বসে আছে। দু’জনের কোন খেয়াল নেই যে, মানুষ যদি ওদের দু’জনকে এভাবে এক সাথে বসে থাকতে দেখে তখন কি হবে। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত পোহায়। হঠাৎ প্রিয়ার বাবা মুক্তার সাহেব ওদেরকে এ অবস্থায় দেখে ফেলে। এ দৃশ্য দেখার সাথে সাথে রাগে অগ্নির্শ্মা হয়ে গেলেন মুক্তার সাহেব। তারপর বললেন, এই প্রিয়া গেলি এখান থেকে, শুয়োরের বাচ্চা শুয়োর। আর যদি কোন দিন তোকে এই ঘরে দেখি তাহলে পিঠের চামড়া তুলে ফেলব।
তারপর আশিকের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে মুক্তার সাহেব বললেন, তুমি এই মুহূর্তে আমার বাড়ি থেকে চলে যাও। তোমাকে বিশ্বাস করে এ বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলাম। আর তুমি কিনা শেষ পর্যন্ত আমার সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে।
আশিকের অপরাধ, প্রিয়া ওর ঘরে আসে কেন? সে প্রিয়ার সাথে কথা বলে কেন? প্রিয়াকে সে ভালোবাসে কেন? সব কেনর উত্তরতো একটাই, প্রিয়াকে ওর ভালোলাগে। ওকে সে ভালোবাসে। কিন্তু এই ভালোলাগা, ভালোবাসা তাঁরা ভালো চোখে দেখেনি। তাঁদের চোখে ভালোবাসা অপরাধ কিন্তু তাঁরা একথাটি উপলব্ধি করতে পারে না যে, ভালোবাসা আছে বলেই এ পৃথিবী বেঁচে আছে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালোবাসে বলেই প্রিয়াকে জন্ম দিতে পেরেছে।
মুক্তার সাহেব আশিককে বললেন, তুমি কী জান আজ কত বড় অন্যায় করেছ? আমাদের বংশের কোন মেয়ে কোন ছেলের সাথে প্রেম করুক তা আমরা চাইনা। তাছাড়া তোমার মত ফকিরের ছেলের সাথে আমার মেয়ে কিছুতে মিশতে পারে না। ছি: ছি: আমি ভাবতে পারিনা।
আশিক এবার মুখ খুললো, কাকা ভালোবাসা কী অপরাধ?
হ্যাঁ ভালোবাসা অপরাধ। তুমি জান কার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো?
হ্যাঁ আমি জানি। আমি আমার ও প্রিয়ার ভালোবাসা হত্যাকরাী একজন পিতার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি।
কী বললে, এত বড় স্পর্ধা তোমার! আর কোন কথা নয়। এখন আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও। তোমার মতো রাস্তার ছেলের সাথে আমার মেয়ে মেলামেশা করতে পারে না।
প্রিয়া এতক্ষণে মুখ খুললো, বাবা ওতো কোন অপরাধ করেনি। তোমার চোখে অপধার করেছি আমি। শাস্তি যদি দিতে চাও, আমাকে দাও। ওকে তুমি বিদায় করে দিও না। ওকে আমি ভালোবাসি। ভালোবাসা অন্যায় নয় বাবা। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবোনা।
কী বললি, ওকে তুই ভালোবাসিস! আমার মুখের সামনে দাঁিড়য়ে কথা বলার সাহস হলো কি করে?
ভালোবাসা আমাকে সাহস দিয়েছে।
অভাব যখন ঘরে আসবে তখন তোর এসব ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যাবে।
প্রিয়া আর কিছুই বলছে না। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। আশিক এবার নম্র সুরে বললো, আমি আপনাকে পিতা মনে করে আপনাদের বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু গরীব বলে আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। আমি আপনার মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম। এই ছিল আমার অপরাধ। ঠিক আছে আর আমাকে বলতে হবে না। আমি চলে যাচ্ছি আমাকে মাফ করে দিবেন। হয়তো কোন একদিন আবার আসব।
একথা বলেই আশিক কাপড়-ছোপড় গুছাতে লাগল। এ দৃশ্য দেখে প্রিয়ার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারছে না। প্রিয়া আশিকে ঝাপটে ধরে বললো, আশিক তুমি যেওনা। যেতে হলে সাথে আমাকে নিয়ে যাও।
না প্রিয়া না, এ হয়না। সময় হলে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব। এখন আমি একাই যাব।
এদৃশ্য দেখে বাড়ির আশে পাশের লোকজন এসে এখানে ভিড় করলো। মুক্তার সাহেব প্রিয়াকে জোর করে ধরে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন।
প্রিয়া খাটের উপর উপুর হয়ে শুয়ে ফুঁপিয়ে কাদঁছে আর চোখ দিয়ে শ্রাবণের ধারা বইছে।
ভালোবাসার অপরাধে আজ আমি তাঁদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এখন কি করব। আমিতো প্রিয়াকে ছাড়া একমুহূর্তও থাকতে পারবো না। আমি চলে গেলে আমাদের ভালোবাসার বাঁধন শেষ হয়ে যাবে। না, না, এ হতে পারেনা। আমি তো তাঁদের বাড়িতে জোর করেও থাকতে পারবো না। তাহলে কী আমাকে যেতেই হবে? অন্য কোন কি পথ নেই? কি করে আমি প্রিয়াকে পাব? এসব ভাবছে আর কাপড়-ছোপড় গুছাচ্ছে আশিক।
আশিক চলে যাচ্ছে। ওর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। একবার প্রিয়ার রুমের দিকে তাকায় আবার সামনের দিকে তাকায়। প্রিয়া আবার ছুটে এসে পিছন দিক দিয়ে ডাকছে। আশিক যেওনা। আমাকে নিয়ে যাও। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না।
কিন্তু আশিক আর সেই কথা শুনছে না। একবারও পিছনের দিকে তাকালোনা। সামনের দিকে যাচ্ছেতো যাচ্ছে। বাড়ির আশেপাশের সবাই তার গমনাপথের দিকে তাকিয়ে রইল। আশিককে আর এখন দুর থেকে দেখা যাচ্ছে না। মিশে গেলো প্রকৃতির সাথে। প্রিয়া এ বেদনা সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পাগলের মতো কাঁদতে লাগল।
রচনাকাল- ০১-০২-২০০০খ্রি:
বিষয়: সাহিত্য
১৭৮৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি গুছিয়ে লিখার সুন্দর ক্ষমতা রাখেন, আশাকরি অনেক সুন্দর লিখা উপহার পাব ! শুভকামনা রইলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন