তিন পার্বত্য জেলার এক জেলায় এক বছরে যা ঘটে সারা দেশও তা ঘটেকিনা সন্দেহ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৭:১৯:৩৪ সন্ধ্যা
শান্তির জনপদ গত
কয়েক বছরে পরিণত
হয়েছে এক অশান্ত
জনপদে। ২০১৪
সালে বছর জুড়ে চুরি,
ডাকাতি আর
ছিনতাইয়ের
মতো
ঘটনার
পাশাপাশি কম ছিল
না অপহরণের
ঘটনাও।
সারাদেশের
গুম
এক
সময়ের
করার
ঘটনা
থাকলেও
পাহাড়ী এ
জনপদে ছিল গুমের
আদলে নিখোঁজ
হওয়ার ঘটনা। আর
চাঁদাবাজী ও ধর্ষণ
তো এখানকার নিত্য-
নৈমিত্তিক ব্যাপার
হয়ে দাঁড়িয়েছিল
বছর জুড়ে।
পাহাড়ে খুন
বা হত্যাকান্ডের
ঘটনা গেল বছরের
সব কিছুকে ছাপিয়ে
গেছে। উল্লেখিত
ঘটনাসমুহ
বিশ্লেষণে
দেখা
গেছে গেল বছরের
প্রতিটি মুহুর্ত
উদ্বেগ-উৎকন্ঠার
মধ্য
দিয়ে
কাটিয়েছে
পাহাড়ী জেলা
খাগড়াছড়ির মানুষ।
জেলা
গোয়েন্দা
সূত্রে পাওয়া
পরিসংখ্যানে দেখা
গেছে, গেল বছর
খাগড়াছড়িতে ১৭টি
চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আর ৪টি ডাকাতির
ঘটনা এবং ১৫টি
ছিনতাইয়ের
ঘটনা
ঘটেছে। এ
পরিসংখ্যানের
প্রত্যেকটি
ঘটনাই
হাতে-
নাতে
ধরা পড়েছে
অথবা মামলা
হয়েছে। এসব ঘটনার
বাইরে আরো অনেক
ঘটনাই রয়ে গেছে,
যেগুলোই কেউই
জানে না বা থানায়
রেকর্ডভূক্ত
করা হয়নি।
পরিসংখ্যান
অনুযায়ী
ফেব্রুয়ারী
মাসে ১টি,
মার্চে ১টি,
মে মাসে ৩টি, জুন
মাসে ১টি,
আগষ্টে ১টি,
সেপ্টেম্বর
মাসে
১টি,
অক্টোবরে ৫টি এবং
নভেম্বরে ৩টি চুরির
ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারী
মাসে
১টি,
মে মাসে ১টি, জুলাই
মাসে ১টি এবং
সেপ্টেম্বর
মাসে ১টি ডাকাতির
ঘটনা
ঘটেছে।
জানুয়ারী মাসে ৩টি,
ফেব্রুয়ারী
মাসে
১টি, মে মাসে ১টি,
আগষ্টে ২টি,
সেপ্টেম্বর
মাসে
৬টি,
নভেম্বরে ১টি এবং
ডিসেম্বরে ১টি
ছিনতাইয়ের
ঘটনা ঘটেছে।
চুরি,
ডাকাতি আর
ছিনতাইয়ের
পাশাপাশি
চাঁদাবাজী
ও
ধর্ষণের ঘটনায়
এখানকার আইন-
শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
তলানীতে গিয়ে
ঠেকেছিল গেল বছর।
যেখানে সেখানে
চাঁদাবাজি যেন
একটা নিয়মেই
পরিণত
হয়েছে
পাহাড়ী এ
জনপদে। প্রতিদিনই
কোন না কোন দুর্গম
জনপদে চাঁদাবাজির
ঘটনা ঘটছে। কোন
কোন চাঁদাবাজির
ঘটনা প্রশাসনের
নজরে আসলেও
অধিকাংশ
চাঁদাবাজির
ঘটনাই
প্রশাসন বা আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর
অজানা
থেকে যায়,
বা জানলেও
কোনো অভিযোগ
না থাকায়
ব্যবস্থা নেয়া
যায়না।
চাঁদাবাজি
এই
জনপদে ওপেন
সিক্রেট।
এটা
নিয়মে পরিণত
হয়েছে। পাহাড়ী এ
জনপদে গেল
বছরে ৪৩টি
চাঁদাবাজির
ঘটনা
ঘটেছে।
সাম্প্রতিক
সময়ে
পাহাড়ে
অন্যান্য অপরাধের
সাথে সমানভাবে
বেড়ে চলেছে
ধর্ষণের ঘটনাও।
গেল বছর পাহাড়ী এ
জনপদে ১৪
টি ধর্ষণের
ঘটনা ঘটেছে। যার
কোনটিই বিচারের
মুখ দেখেনি।
পরিসংখ্যান
মতে,
গেল বছরের
জানুয়ারী মাসে ৪টি,
ফেব্রুয়ারী
মাসে
১টি, মার্চে ২টি,
এপ্রিলে ১টি,
মে মাসে ১০টি, জুন
মাসে ৯টি, জুলাই
মাসে ৫টি,
আগষ্টে ১টি,
সেপ্টেম্বর
মাসে
২টি,
অক্টোবরে ১টি,
নভেম্বরে ৩টি এবং
ডিসেম্বরে ৪টি
চাঁদাবাজির
ঘটনা ঘটেছে।
যেসব
চাঁদাবাজির
ঘটনা
হাতে নাতে
ধরা পড়েছে বা
মামলা হয়েছে সেসব
ঘটনারই
বিবরণ
প্রদত্ত হলো। অপর
পরিসংখ্যানে গেল
বছর
জুড়ে পাহাড়ী জনপদে
১৪টি
ধর্ষনের
ঘটনা প্রশাসন
বা আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর
নজরে
আসে।
এরমধ্যে ফেব্রুয়ারী
মাসে ১টি,
মার্চে ২টি,
এপ্রিলে ১টি, জুন
মাসে ৪টি,
আগষ্টে ৪টি,
সেপ্টেম্বর
মাসে
১টি এবং
অক্টোবরে ১টি
ধর্ষণের
ঘটনা ঘটেছে।
গত
এক
বছরে পাহাড়ী এ
জনপদে নিঁখোজ
হওয়ার মতো ঘটনাও
ছিল উদ্বেগজনক।
নিখোঁজের
ঘটনাগুলো
আইন-
শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
অবনতিসহ আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীকে
অতিমাত্রায়
বেকায়দায়
ফেলে।
এক
পরিসংখ্যানে
দেখা
গেছে, গেল বছরের
জুন মাসে ১টি, জুলাই
মাসে ১টি,
আগষ্টে ১টি,
নভেম্বরে ১টি এবং
ডিসেম্বরে ১টি
নিখোঁজের
ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে পাহাড়ী এ
জনপদে
অপহরণের
ঘটনা নতুন কিছু
না হলেও গেল বছর
অপহরণের
সংখ্যা
ছিল
উদ্বেগজনক। বছর
জুড়ে বিভিন্ন
স্থানে অপহৃত
হয়েছে ৫১জন।
পরিসংখ্যান মতে,
জানুয়ারী মাসে ৯জন,
ফেব্রুয়ারী
মাসে
১জন, মার্চে ৪জন,
এপ্রিলে ৩জন,
মে মাসে ৪জন, জুন
মাসে ১জন, জুলাই
মাসে ৭জন,
আগষ্টে ১জন,
সেপ্টেম্বর
মাসে
৯জন,
অক্টোবরে ৫জন,
নভেম্বরে ৪জন
এবং ডিসেম্বরে
৩জনকে অপহরণ
করা হয়েছে।
অপহৃতদের কেউ কেউ
মোটা অঙ্কের
মুক্তিপণের
বিনিময়ে
ছাড়া
পেলেও অনেক
ক্ষেত্রেই
অপহরণকারীদের
বিরুদ্ধে
কেউ মুখ
খুলতে রাজি হয়নি।
ফলে অপহরণকারীরা
রয়ে গেছে
ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ফলে অপহরণের কোন
ঘটনাই বিচারের
মুখ দেখেনি।
পাহাড়ে
প্রতিদিন
কোন না কোন দুর্গম
জনপদে সংঘাত-
সহিংসতা লেগেই
আছে। আছে আধিপত্য
বিস্তারের লড়াইও।
আর এসব সংঘাত-
সহিংসতা আর
আধিপত্য বিস্তারের
লড়াইয়ে জড়েছে
অনেক নিরীহ
প্রাণও।
সবমিলিয়ে
গেল
বছর খাগড়াছড়ির
বিভিন্ন
জনপদে
সংঘাত-
সহিংসতায় খুন
হয়েছে ২৬জন। অবশ্য
এসব ঘটনায় বেশীর
ভাগ ক্ষেত্রেই কোন
মামলা হয়নি।
পরিসংখ্যান
মতে জানুয়ারী মাসে
১জন,
ফেব্রুয়ারী
মাসে
১জন, মার্চে ২জন,
এপ্রিলে ৪জন,
মে মাসে ১জন, জুন
মাসে ২জন, জুলাই
মাসে ৩জন,
আগষ্টে ৫জন,
সেপ্টেম্বর
মাসে
৪জন,
অক্টোবরে ১জন
এবং সর্বশেষ
ডিসেম্বরে ২জন খুন
হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাবর্ত্য এলাকাকে বাংলাদেশ হতে বের করে দেবার পক্ষে আমি । এই গ্যাংগ্রিন নিয়ে আর চলা যাবে না ।
দেরী হলে পুরো শরীরটাকেই সে পঁচিয়ে ফেলবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন