সন্তুপন্থী সিএইচটি কমিশনকে নিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের মাঝে অসন্তুস প্রকাশ।দেশের সুশীল সমাজের প্রতি বাঙ্গালীদের দৃষ্টি আকর্শন।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৪:০৮ রাত

পার্বত্য চট্রগ্রামের বাঙ্গালীরা এই একপাক্ষীক সিএইচটি কমিশনকে বৈধ মনে করেনা। তাদের প্রত্যেকটি কার্যক্রম সন্তুপন্থী। তাই দেশের সুশীল সমাজকে এই দ্বিধাবিভক্তিপুর্ণ সিএইচটি কমিশন বাতিল ও শান্তিচুক্তির পুনর্মুল্যায়নের দাবি জানাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিষয়ক

কমিশন

তথা সিএইচটি কমিশনকে ঠেকাতে

আবারো

রাঙামাটির

রাজপথে নেমেছে পাহাড়ের

বাঙ্গালীরা। সিএইচটি কমিশনের

সদস্যরা রাঙামাটির

পার্বত্য

নানিয়ারচরের ১৪ মাইল এলাকায়

আসছে এমন তথ্য পাওয়ার পর

থেকেই আবারো উত্তপ্ত হতে শুরু

করেছে পার্বত্য রাঙামাটি।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই

রাঙামাটি দিয়ে নানিয়ারচরের

প্রবেশমুখ মানিকছড়ি ও

বগাছড়িস্থ রাঙামাটি-

খাগড়াছড়ির প্রধান

সড়কে অবস্থান

নিয়েছে কয়েক’শ

বাঙ্গালী নারী-পুরুষ।তাদের

দাবি সিএইচটি কমিশন

পার্বত্য চট্টগ্রাম

নিয়ে একপেশে রিপোর্ট

দিয়ে বর্হিবিশ্বে পার্বত্য

চট্টগ্রাম সম্পর্কে নীতিবাচক

জনমত গড়ে তুলছে।

পাহাড়ে বঞ্চিত বাঙ্গালীদের

বিরুদ্ধে বরাবর-ই এই কমিশন

নীতিবাচক মনোভাব পোষণ

করে আসছে।

রাঙামাটির বগাছড়ির

ভূমি উদ্ধার আন্দোলন

পরিষদের আহবায়ক মিজানুর

রহমান জানান, আমরা এর আগেও

দেখেছি সিএইচটি কমিশনের

সদস্য, সুলতানা কামাল,

হানা শামস, ইফতেখারুজ্জামান,

ব্যারিষ্টার সারা হোসেন,

ইলোরা দেওয়ানসহ তাদের

দোসররা পার্বত্য

চট্টগ্রামে বসবাসরত

বাঙ্গালীদের নিয়ে বিতর্কিত

কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।

সিএইচটি কমিশন যতবারই

পাহাড়ে আসে ঠিক ততবারই

এখানে একটি অস্থিতিশীল

পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শান্তিপূর্ন

সহাবস্থানে ফাটল ধরে। তাদের

কারনেই পাহাড়ে প্রতিনিয়ত

অশান্তি বিরাজ করছে উল্লেখ

করে মিজান জানান, যার

ফলশ্র“তিতে এই কমিশন

পাহাড়ে বারংবার স্থানীয় বঞ্চিত

বাঙ্গালীদের প্রতিরোধের

মুখে পড়ছে। আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ

করে হলেও সিএইচটি কমিশনের

মতো বিতর্কিত

সংস্থাগুলোকে বগাছড়িতে ঢুকতে

দিবো না।

এদিকে সর্বশেষ

পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাগেছে,

বগাছড়িতে

মঙ্গলবার সকাল

সাড়ে আটটার সময়

ইউএনডিপি’র

একটি

প্রতিনিধি দল

পরিদর্শনে গেছেন। এসময়

ইউএনডিপি’র

প্রতিনিধি

দলটি স্থানীয়

পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয়

সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলেন

এবং সহায়তার আশ্বাস প্রদান

করেছেন বলে এই

প্রতিবেদককে জানিয়েছেন

ক্ষতিগ্রস্থ আনারস বাগানের

মালিক আবছার উদ্দিন ও নুরুল

ইসলাম। এসময়

ইউএনডিপি প্রতিনিধি দলের

নেতৃত্বে ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত

সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার

মাহবুবুল আলম।

এদিকে ইউএনডিপি প্রতিনিধি

দল

বেরিয়ে আসার পরপরই

ঘটনাস্থলে পৌছান

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের

তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এই

প্রতিনিধি দলের

নেতৃত্বে রয়েছেন,

জেলা প্রশাসনের এডিএম সাইফ

উদ্দিন, জেলা আনসার কমাড্যান্ট

লুৎফর

রহমান ও নানিয়ারচর

থানার অফিসার ইনচার্জ রশিদ।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানাগেছে,

এসময় সরকারি এই তদন্ত

কমিটির সদস্যদের

মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ

থেকে পাঠানো সরঞ্জামসহ

২৫টি তাবু গ্রহণ

করেনি পাহাড়িরা।

অন্যদিকে সন্ধ্যায় নানিয়ারচর

ভূমি উদ্ধার আন্দোলন পরিষদ

তাদের ডাকা অবরোধ

কর্মসূচি শেষে সমাবেশ

করবে বলে জানাগেছে।

সমাবেশে তাদের

পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা দেওয়া

হবে বলে স্থানীয় একটি সূত্র

নিশ্চিত করেছে।

বিষয়: বিবিধ

১০৯১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

296801
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:২৪
udash kobi লিখেছেন : Rose

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File