পাহার ও পার্বত্য চট্রগ্রাম প্রসঙ্গ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ২৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২২:০৫ দুপুর
উচ
হ্লা ভান্তে বান্দরবান এলাকায়
২৫-৩০ জন সশস্ত্র
ব্যক্তি পরিবেষ্টিত থাকেন।
তারা বিভিন্ন অস্ত্র
ব্যবসায়ীসহ পাহাড়ী অঞ্চলের
সন্ত্রাসীদের অস্ত্র
ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।কে এই উচ হ্লা ভান্তে?
মৃত হ্লা থোয়াই প্রু-এর ছেলে উচ
হ্লা ভান্তে। ১৯৫৫
সালে বান্দরবান জেলার পুরাতন
রাজবাড়ী উজানী পাড়ার
বোমাং রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ
করেন। অবিবাহিত এ ব্যক্তির
উচ্চতা ৫ফুট ৬ ইঞ্চি। আয়ের
উৎস ধর্মীয় ব্যবসা। স্থানীয়
রাজনৈতিক দল জেএসএস-এর
সমর্থক। ভনভস্কো উচ্চ
বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৭৪
সালে এসএসসি ও চট্টগ্রাম
থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাস
করেন।
পরবর্তী
সময়ে তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ
(আইন) পাস করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উচ
হ্লা ভান্তে ১৯৮৩-৮৪
সালে বিসিএস পরীক্ষার
মাধ্যমে সাব জজ
হিসেবে চাকরিতে যোগদান
করেন। সাব জজের দায়িত্ব পালন
করা অবস্থায়
তিনি গোপনে ধর্মীয়
কর্মকাণ্ডে ও জেএসএস
আন্দোলনে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে
পড়েন। ১৯৯০
সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায়
অবসর গ্রহণ
করে বান্দরবানে ভান্তে ব্রত
গ্রহণ করেন এবং উপ ঞঞা জোত
থের ছদ্মনাম ধারণ করেন।
আগামীতে বৌদ্ধ ধর্মের
শীর্ষনেতা হিসেবে নিজেকে
প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন।
উচ হ্লা ভান্তে মায়ানমার,
থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম,
জাপানসহ বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী দেশ ভ্রমণ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি কিছুদিন
পরপরেই মায়ানমার সফর
করে থাকেন। গত বছর ২৬ জুন
ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের
একটি ফ্লাইটে মায়ানমারের
ইয়াংগুন গমন করেন।
চলতি বছরের ২১ জুন
মায়ানমারের মান্ডেনা গমন করেন।
একই
বছর ২৭ জুন ইয়াংগুন
ডিভিশনের Chief Minister U
Myint Swe-এর সাথে সাক্ষাৎ ও
দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে ৩ জুলাই মিয়ানমার
থেকে ঢাকায় আসেন এবং ৫ জুলাই
বান্দরবান গমন করেন।
এ ঘটনায় বান্দরবান জেলার
পুলিশ সুপার (এসপি) দেবদাশ
ভট্টাচার্য বলেছেন, উচ
হ্লা ভান্তে একটি ধর্মীয় গুরু।
তার মন্দিরে আশপাশের জনগণ
ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য আসেন।
তিনিও বিভিন্ন দেশে যান।
যেমন মুসলমানরা আজমীর
শরীফসহ বিভিন্ন দেশের
মাজারে যান। এ
কারণে আমরা তাকে কিছু
বলতে পারি না। তবে অস্ত্র ও
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের
বিষয়ে আমাদের সজাগ
দৃষ্টি রাখা আছে’।
সৌজন্যে উম্মে হাবিবা।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন