রাঙামাটিতে ভুষণছড়া গণহত্যা দিবস পালন : সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারনের দাবি পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ০৬ জুন, ২০১৪, ০৫:৪৯:৫৯ বিকাল
রাঙামাটিতে পালিত
হয়েছে ঐতিহাসিক
ভুষণছড়া গণহত্যা দিবস। শনিবার দিসব
উপলক্ষে রাঙামাটি পৌরসভা মিলনায়তনে গণহত্যার
বিচারের
দাবিতে আলোচনা সভা করে পার্বত্য
বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।
এতে বক্তারা বলেন, পার্বত্য
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড
ভূষণছড়া গণহত্যার বিচার ৩০ বছরেও
হয়নি। বরং সরকার হত্যাকান্ডের
সাথে জড়িত পাহাড়ি নেতাদের
পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে মতার
চেয়ারে বসিয়ে পুরস্কৃত করেছে।
১৯৮৪ সালে রাঙামাটির বরকল
উপজেলার ভুষণছড়া গ্রামে তৎকালীন
পাহাড়িদের
বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন
শান্তি বাহিনীর হামলায় চার
শতাধিক অ-উপজাতীয় বাঙ্গালীদের
হত্যা করে। এটি ছিলো পার্বত্য
চট্টগ্রামের অসংখ্য হত্যাকান্ডের
মধ্যে সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড। প্রতিবছর
পার্বত্য
বাঙ্গালীরা দিবসটি শোকের
সাথে পালন করে।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের
রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ ইব্রাহীমের
সভাপতিত্বে সভায় প্রধান
অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পৌর
মেয়র সাইফুল ইসলাম ভুট্টো। প্রধান
বক্তা ছিলেন পার্বত্য
বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাবেক
কেন্দ্রীয় সভাপতি এয়াকুব
আলী চৌধুরী, বর্তমান
সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, পার্বত্য
নাগরিক পরিষদের রাঙামাটির
আহবায়ক নুর জাহান বেগম, সদস্য সচিব
মোঃ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন,
স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার হচ্ছে, এরশাদ শিকদারের
বিচার হতে পারলেও কিন্তু পার্বত্য
চট্টগ্রামের ৩০ হাজার বাঙ্গালীর
খুনী সন্তু লারমার বিচার
করা হচ্ছে না। বক্তারা সন্তু
লারমাকে পার্বত্য আঞ্চলিক
পরিষদের চেয়ারম্যান পদ
থেকে অপসারন করে বিচারের
আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায়
পার্বত্য বাঙ্গালীরা গণ
আদালতে তার বিচার
করবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারী দেন
বক্তারা। বক্তারা ভুষণছড়া গণহত্যাসহ
পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল গণহত্যার
বিচার দাবি করেন।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের
কোন নিরাপত্তা নেই উল্লেখ
করে বলেন,
পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন
নামে বিভক্ত হয়ে পার্বত্য
চট্টগ্রামে সন্ত্রাস, খুন, অপরণ,
চাঁদাবজি ও নির্যাতন চালাচ্ছে।
এতে সাধারণ
বাঙ্গালী পাহাড়ি কেউ নিরাপদ নয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের
অধিকার বাস্তবায়ন করতে সরকারের
প্রতি জাতীয় মানবাধিকার
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর
রহমানের দেয়া বক্তব্যের
সমালোচনা করে বলেন, তাঁর
কাছে ভুষণছড়া গণহত্যা মানবাধিকার
লঙ্ঘন নয়। তিনি সরকারের নির্দেশ
উপো করে একের পর এক আদিবাসীদের
বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। বক্তারা ড.
মিজানুর রহমানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান
করে তাঁকে এ ধরনের বক্তব্য
দেয়া থেকে সরে আসার আহবান
জানান।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ন
মন্তব্য করতে লগইন করুন