কবি সৈয়দ শামসুল হকের অশ্লীল কবিতা, চরিত্রহীনতা এবং ধর্ম-বিদ্বেষ নিয়ে কিছু কথা...
লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৫:৫৩ রাত
মসজিদ থেকে ভেসে আসা আযানের ধ্বনি ভীষণ অপছন্দ কবি সৈয়দ শামসুল হকের। এরচেয়ে কাকের কা কা শব্দ নাকি তার কাছে বেশি মধুর লাগে। তাই তিনি তার ‘মরা ময়ূর’ নামক কাব্যনাট্যে ভোরের কাককে অনুরোধ করেছেন- ও কাক! তুই খুব জোরে কা কা কর, যাতে মুয়াজ্জিনের আজানটা আর শোনা না যায়।
বছরখানেক আগে বাংলার শীর্ষ ২০ জন নাস্তিকের পরিচয় তুলে ধরে ব্লগে একটি লেখা প্রকাশ করেছিলাম যা ভালই সাড়া ফেলেছিল। সেই ২০ শীর্ষ নাস্তিকের মধ্যে একজন হল এই শামসুল হক। এবার শীর্ষ ২০ নাস্তিকের প্রত্যেককে নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তারিত লিখতে চাই। আজকে কেবল শামসুল হককে নিয়ে আলোচনা করব।
এই কুখ্যাত ব্যক্তিটি যে কেবল ইসলামবিদ্বেষী তা কিন্তু নয়, একইসাথে সে একজন নোংরা মনের মানুষও বটে। অশ্লীল কাব্য রচনায় তার জুড়ি মেলা ভার। প্রাপ্তবয়স্ক কবিতার নামে চটিকাব্য রচনায় সে বিশেষ পারদর্শী। আরেক কুখ্যাত নাস্তিক তসলিমা নাসরিনের সাথে যৌবনে শামসুলের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। আরো অনেকের মত সেও নাকি সুযোগ বুঝে অসহায় তসলিমাকে ভোগ করেছিল- এ অভিযোগ খোদ তসলিমার। শামসুল হকের আলোচিত কয়েকটি কবিতার খন্ডাংশ নিচে দেয়া হল-
১। যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ
মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ
২। বৃষ্টিও বৃষ্টি তো নয় - জরায়ুর রক্তিম ক্রন্দন,
আজ তিনদিন থেকে অবিরাম, ক্ষান্তি নেই তার।
নিষেধ পতাকা লাল, পতাকায় শরীরী স্পন্দন,
তবুও তবুও জাগে, জাগে ইচ্ছা সেখানে যাবার।
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ,
দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা,
আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়,
বাড়তে থাকে কামনার জ্বর।
আর জ্বরতপ্ত হাত কুড়ায় কামনার ফুল...
(বি.দ্র. প্রথম অংশে মেয়েদের পিরিয়ড এবং দ্বিতীয় অংশে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়েছে)
৩। যখন খুলছো তুমি দেহ থেকে শাড়ি ও শেমিজ,
তখন উদ্বেল কেউ হয়ে ওঠে কৃষি-প্রতিভায়...
(বি.দ্র. এখানে কৃষি প্রতিভা রূপকটি দ্বারা যৌনতাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে)
৪। দেবী তুমি দাঁড়িয়ে রইলে,
আমি চুম্বনের ফুলে
সারাদেহ ঢেকে দিয়ে
পূজাপাঠ শুরু করলাম।
তুমি তো মাটি নও
ছুঁয়ে আমি দেখেছি আঙুলে,
তবুও মন্দিরে ঢুকে
প্রথমেই তোমাকে প্রণাম।
যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে ইসলামকে অপমান করা হত। এইসব কুখ্যাত চরিত্রহীন লম্পটদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই বুঝা যায় ইসলাম সঠিক পথে আছে। মন্দরা সবসময় ভালোর বিরোধীতা করবে এটাই তো জগতের নিয়ম।
বি.দ্র. সর্বপ্রথম আমার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত, যার লিংক- এখানে
বিষয়: বিবিধ
৭৬৯৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ক্বুরআন পাঠ শুনার সময় সোরগোল করার কথা বলে দিত কাফের প্রধানেরা যাতে ঠিক মত শোনা না যায় - এরকম কথা পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন ।
শামছুল হকেরা ওদেরই মতানুসারী
মাঝে মাঝে তসলিমা বাংলাদেশে আসুক সেটা চাই । তাহলে তার ''ক'' এর সাধুদের মুখোশ খুলে যাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন