মানুষ নাস্তিক হয় যেসব কারনে... (পর্ব-৩)
লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:০১:৩৯ রাত
বলিউড অভিনেতা- সালমান খান! উনাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে- আপনার ধর্ম কী? উনি উত্তর দেন- আমার ধর্ম মানবতা!! অন্যান্য তারকাদের মত ইনিও সেক্যুলার/ধর্মনিরপেক্ষ। তাকে সেক্যুলার হতে হয়েছে। সেক্যুলার না হলে সে আজকের এই সালমান খান হতে পারতো না। সে যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো, তাহলে হিন্দুদের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কমে যেত। ভারতের হিন্দুরা আজ তাকে যেভাবে দেবতা ভেবে পূজা করে, যেভাবে তাকে ভালবাসে, তখন তা করতো না। আবার যদি সে সনাতন ধর্মে কনভার্ট হয়ে যায় তাহলে মুসলমানদের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কমে যাবে। ঈদকে কেন্দ্র করে রিলিজ হওয়া তার সিনেমাগুলোও আর আশানুরুপ ব্যবসা করতে পারবে না...
মিডিয়াকর্মী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী, বুদ্ধিজীবি, লেখক, কবি-সাহিত্যিক- এদের নাস্তিক হওয়ার প্রবণতা সাধারন মানুষের চেয়ে বেশি। এরা সাধারনত খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তার জন্য লালায়িত থাকে। সকল ধর্মের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হওয়ার জন্য এরা সেক্যুলার হয়। সঙ্গীতশিল্পীদের পক্ষে মুসলমান থাকা সম্ভব হয় না, কারন ইসলামে মিউজিক জিনিসটাই হারাম। তারা ভাবে- ইসলাম বহির্ভূত কাজটাই সারাজীবন করবো তাহলে আর মুসলমান থেকে লাভ কী- ইসলাম থেকে বেরিয়ে গিয়েই করি। এজন্যই খেয়াল করলে দেখবেন, হিন্দু গায়ক-গায়িকারা ঠিকই তাদের ধর্ম পালন করে, কিন্তু মুসলিম গায়ক-গায়িকারা ধর্মকে পাশ কাটিয়ে চলে। বুদ্ধিজীবিদের ব্যাপারটা আরো জটিল। সেক্যুলার না হয়ে কোন বুদ্ধিজীবিই মিডিয়ার সুনজরে আসতে পারবে না। তাদেরকে সর্বদা সরকার এবং মিডিয়ার মন যুগিয়ে চলতে হয়। আর ৯৯% মিডিয়া খুব স্বাভাবিকভাবেই ইসলামবিরোধী। কারন মিডিয়ার সাথে ইসলামের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। মিডিয়ার আয়ের মূল উৎস নাটক, সিনেমা, নাচ, গান, লোক ঠকানো বিজ্ঞাপন। আর এগুলোর সবকিছুই ইসলামে হারাম! অতএব, ইসলামবিদ্বেষী না হয়ে তাদের আর উপায় কী? ইসলামকে যত দূর্বল করা যাবে মিডিয়ার ততই লাভ। (চলবে
বি.দ্র. সর্বপ্রথম আমার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত। যার লিংক- এখানে
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন