সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত ২০ জন বাঙালী নাস্তিক/সেক্যুলারদের তালিকা (পর্ব-২)
লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ১৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩০:২১ সন্ধ্যা
প্রথম পর্বে পাঁচ জন নাস্তিকের প্রকৃত চেহারা তুলে ধরা হয়েছিল। এবারের পর্বে পরিচিত হবেন আরো তিন জন ভয়ঙ্কর ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের সাথে-
৬। কবির চৌধুরী: চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল- "তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে"। এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে। সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ' রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো।
৭। সৈয়দ শামসুল হক: এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। এর একটা কবিতা হল এরকম- "যখন দু'স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে, স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ, মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ"। আরেকটা কবিতা এরকম- "শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ, দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা, আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়।" যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে সেটাই বরং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হত।
৮। মুনতাসির মামুন: এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল- "সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী । বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী।" মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য- "এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।"
৩য় এবং ৪র্থ পর্ব শীঘ্রই পাবেন ইন-শা আল্লাহ....
বি.দ্র. লেখাটি সর্বপ্রথম আমার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত যার লিংক- এখানে
বিষয়: বিবিধ
৫৩১৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুন্তাসির মামুন সাহেব নাকি কয়েক বছর আগে সরকারি পয়সায় হজ্জ করেছেন!!!!
পরকালে এদের জন্য কঠিন শাস্তিই অপেক্ষা করছে যা কবরেই শুরু হয়ে যাবে ।
সৈয়দ শামসুল হক সম্পর্কে তসলিমা বেশ কিছু রগরগে কথা লিখেছিল তার ''ক'' উপন্যাসে।
লেখকদের লিখা বা কথায় নারীদের নিয়ে এরকম কথা না থাকলে ঠিক মানায় না ।
অথচ এর চেয়েও কম লেভেলের ভালগার কথা বলে শফি হুজুরকে কতই না গালমন্দ শুনতে হয়েছে নারী ও নারীবাদীদের পক্ষ হতে।
নারীদের কিন্তু কষ্মিনকালেও হুমায়ুন আজাদ , শামসুল হকদের এসব নোংরা কথার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না । বরং এরা এগুলোকে সাহিত্য বলেই মনে করে ।
মুনতাসির মামুনদের মুখে যখন স্বাধীনতার চেতনার কথা শুনি তখন খুব জানতে ইচ্ছে করে - তারা যে স্বাধীনতার চেতনা ধারন করে সেটাই কি স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা ?
যদি তাই হয় তাহলে বলতে ইচ্ছে হয় এই চেতনা যদি সবারই থাকতো তাহলে বাংলাদেশের কখনও স্বাধীন হওয়া লাগতো না । কারণ , উনারা বয়স , সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে সময়ে যুদ্ধ না গিয়ে চাচার বাসায় , বাবার বাসায় বেড়িয়েছেন । পারতে ঘরের বাইরে বের হন নি ।
এরকম মানসিকতার লোক যতদিন এদেশের মেইনস্ট্রিম ডমিনেট করবে , এদেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না । কারণ , এরা কাজে নয় কথায় বিশ্বাসী ।
কথায় যদি সব কিছু হয়ে যেত তাহলে আজ বাংলাদেশের মানুষ ১০ টাকা কেজি দরেই চাল খেতে পারতো।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এত নাস্তিক নাস্তিক করেন ক্যান? ইহুদী-নাসারার কথা বাদই দিলাম। নাস্তিক চীন-জাপানের থাপ্পর খেলে দুনিয়াব্যপি মোহাম্মদপূজারী মোমিনদের দফা রফা হয়ে যাবে। ভেবে দেখেছেন কখোনো?
এই লজ্জ্বাহীন বেজইন্মা জারজ!তোকে কতবার বল্লাম স্বীয় পরিচয় নিয়ে তারপর আসবি মন্তব্য করতে? আসলে সারা জীবন খুজেও তো পাবিনা আসলী বংশ পরিচয় তাই 'রায়হান রহমান' নিয়েই চলতে চাস!
আসলে সব নাস্তিকরাই স্বীয় জন্ম- বংশ-পরিচয় নিয়ে সন্দেহে থেকেই এমন আচরণ করে যায় সদা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন