হিন্দু ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, কারন........

লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ২২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০৭:২৫ সন্ধ্যা

হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে এতদিন একটা ভূল ধারনা ছিল। এখন আমার মনে হয়- হিন্দু ধর্ম আসলে অনেক সুন্দর এবং আধুনিক একটি ধর্ম। সত্যি কথা বলতে কি, হিন্দু ধর্মে মানুষকে ভালবাসার যে শিক্ষা দেয়া হয়েছে তা অন্য কোন ধর্মেই আপনি পাবেন না। এই ধর্মে নারীদেরকে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা- অন্য কোন ধর্মে এটা কল্পনাই করা যায় না। আপনি যদি একজন মুক্তমনা মানুষ হন অথবা যদি ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী হন তাহলে হিন্দু ধর্মই আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ...

আমার কথা বুঝতে কি কোন অসুবিধা হচ্ছে? ঠিক আছে ভাল করে বুঝিয়ে দিচ্ছি... দেখুন, হিন্দু ধর্মের নিয়ম হল- স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকেও তার সঙ্গে চিতায় পুড়তে হবে। এমন অকৃত্রিম প্রেম, এমন নিঃস্বার্থ ভালবাসা আপনি তো অনন্ত জলিলের সিনেমাতেও খুজে পাবেন না। স্বামীর জন্য স্ত্রী জীবন দিবে- এরচেয়ে মহান ভালবাসার নিদর্শন আর কি থাকতে পারে দুনিয়ায়? অথচ ইসলাম ধর্ম এখানে খুবই নিষ্ঠুর। স্বামী মারা গেলে বিধবাকে আরেকটা বিয়ে করতে বলে এই ধর্ম। কি নিষ্ঠুর!! দূঃখ্যজনক হলেও সত্য, আজকালকার হিন্দুরা মুসলমানদের সমালোচনার ভয়ে ভালবেসে আত্মাহুতি দেয়ার সুন্দর রীতিটা আগের মত পালন করে না। আমার আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী থেকে অচিরেই সব ভালবাসা হারিয়ে যাবে...

নারীরা যেসব স্বাধীনতা প্রত্যাশা করে তার সবই দেয়া হয়েছে হিন্দু ধর্মে। এই ধর্মে নারীর উপর অন্যায়ভাবে পর্দা করার নিয়ম চাপিয়ে দেয়া হয়নি, যেটা করা হয়েছে ইসলাম ধর্মে। এমনকি খ্রিষ্ট ধর্ম এবং ইহুদী ধর্মগ্রন্থেও মেয়েদেরকে পর্দা করতে বলা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে নারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। কিন্তু খুশির খবর হল- হিন্দু ধর্ম এখানে অন্য সবার চেয়ে আলাদা। মেয়েরা প্রয়োজনে সারাদিন ন্যাংটা হয়ে ঘুরবে- কার বাপের কি? তাদের শরীর তারা দেখাবে- আপনি বাধা দেয়ার কে? এটা তাদের স্বাধীনতা। আবার শুধু মেয়েদেরকে স্বাধীনতা দিলেই তো হবে না, ছেলেদেরও তো স্বাধীনতার দরকার আছে। হিন্দু ধর্ম সেটাও দেয়। ন্যাংটা মেয়ে দেখে যদি আপনার কামনার উদ্রেক হয় তাহলে আপনার জন্যেও রয়েছে তাকে যেমনে খুশি তেমনে ভোগ করার অবাধ স্বাধীনতা। এতে কোন পাপ নেই। বরং এটা করলে দেবতারা অত্যন্ত খুশি হয়ে থাকেন। কোন নারী যদি সানি লিয়নের মত দূর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাহলে সেই নারীকেও হিন্দু ধর্ম পুর্ণ সমর্থন দেয়। হিন্দু ধর্ম ব্যক্তিস্বাধীনতার ধর্ম। ইচ্ছা হলে আপনি একশোটা বিয়ে করবেন, হাজারটা বিয়ে করবেন, কিংবা বিয়ে না করেই জীবনটাকে যেমনে খুশি তেমনে উপভোগ করবেন- হিন্দু ধর্ম আপনার এই ব্যক্তিস্বাধীনতায় কোনরুপ হস্তক্ষেপ করবে না। শুধু গরু জবাই দিয়েন না তাহলেই হবে। গরু জবাই ছাড়া অন্য যে কোন কাজ আপনি করতে পারবেন। ফ্রি সেক্স বা অবাধ যৌনতার স্বাধীনতাও আপনি কেবলমাত্র এই একটি ধর্মেই পাবেন। এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও যদি আপনি হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করেন তাহলে আমি বলতে বাধ্য হব- আমি একজন চরম অকৃতজ্ঞ মানুষ।

-ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ (২২ অক্টোবর ২০১৪

ফেসবুকে আমি- এখানে

বিষয়: বিবিধ

১৮৪০৫ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

277128
২২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : পর্দা প্রথা হিন্দু ধর্মেও রয়েছে। আগে হিন্দু মেয়েরা বড় ঘোমটা দিত, ঘর থেকে বের হতো না, ইদানিং হিন্দু ধর্ম বিকৃত হয়ে ন্যাংটামি এসেছে। বর্তমান হিন্দু ধর্ম ইংরেজদের মোডিফাইড ধর্ম।
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৩
221134
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : হিন্দু ধর্ম আসলে কোন ধর্মই না। এটা কেবলই কুসংস্কার। যুগে যুগে অসংখ্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ এই ধর্মের বিভিন্ন নিয়ম কানুন, রীতি নীতি তৈরি করেছে। হিন্দু ধর্মে পর্দা করার বিধান থাকলেও সেটা হাস্যকর। যে ধর্মে অনাচার, ব্যভিচার, ধর্ষন, পরকীয়া করতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে সেই ধর্মে আবার কিসের পর্দা?
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২৯
221145
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : ভাই, হিন্দু ধর্মও ধর্ম নয় সংস্কৃতও কোন ভাষা নয়। হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ তৈরী করার জন্য মুসলমানদের অধীনস্ত প্রকৃতি পুজারী সনাতন ধর্মাম্বলীদের ব্যবহার করে নিজেদের শাসন ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ইংরেজরা এই ভাষা ও ধর্ম আবিস্কার করেছে। এসব কাজে ইংরেজরা রাজা রামমোহন রায়, স্বামী বিবেকানান্দ এর মত্ ব্যক্তিদের ব্যবহার করেছে। এখন যে হিন্দু ধর্ম ও ধর্ম গ্রন্হ রয়েছে তা মুলত ইংরেজদের দালাল শ্রেণী প্রণীত 'ধর্ম' ও 'ধর্মগ্রন্হ'।
277143
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : গরু নয় আপনি ষাঁড় মহিস পাঁঠা এমনকি মানুষও বলী দিতে পারবেন৷ এরা এত উদার৷
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
222449
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।
277158
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:০৬
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : সব ধর্মই কুসংস্কার আচ্ছন্ন, পশ্চাদপদ এবং বর্বর...............
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩১
221146
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : ঠিকই বলেছ, নাস্তিক হিটলার, নাস্তিক মুসোলিনি, নাস্তিক স্টালিন, নাস্তিক মাও সেতুং এর মতই কোটি কোটি মানুষের খুনী-বর্বর।
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৮
221152
বন্যা ইসলাম লিখেছেন : আস্তিক কৃষ্ণ, আস্তিক মোহাম্মদ....... এরাও বদমাসীতে কম ছিল না।
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:১১
221153
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হায়, আসিলো কি ক্ষন.......
কুপমুন্ডকের কাছে শিখিতে হইবে মহাবিশ্বের বিবরণ।

"নামের শেষে ইসলাম কথাটা ঝুলিয়ে রেখেছেন কেন? বর্বর ইসলামের সাথে তো বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রাখাও আপনার জন্য অনৈতিক!!!!"
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
222452
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : সব ধর্মই মানে? ধর্ম তো একটাই। ইসলাম হল একমাত্র ধর্ম। বাদবাকি সব হল কুসংস্কার, সব মানুষের বানানো। পশ্চাৎপদ এবং বর্বর। ইসলামই একমাত্র আধুনিক এবং মানবতার ধর্ম।
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
222455
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : চকচক করলেই সোনা হয় না। আর নামের সাথে ইসলাম লাগিয়ে দিলেই মুসলমান হয়ে যায় না। বন্যা ইসলাম যে একটা ছুপা মালু সেটা একটা শিশুও বুঝবে। মালুরা স্বাভাবিকভাবেই কাপুরুষ হয়ে থাকে, তাই তারা নিজের আসল পরিচয় গোপন করে মুসলমান নাম লাগিয়ে বদমায়েশী করে। কৃষ্ণের মত লুচ্চার সাথে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা) এর তুলনা একমাত্র পশুরাই করতে পারে।
277189
২২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৮
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : সহমরণ প্রথাটা হিন্দুদের মৌলিক ধর্মীয় গ্রন্থের কোথাও নেই। এটার মূলত একটা প্রথা, যা সৃষ্টি হয়েছে কর্দয ইতিহাস থেকে। হিন্দু ধর্মে স্বামী মারা যাওয়ার পর পুনরায় বিয়ে করার নিয়ম নেই। এমতাবস্থায় একজন তরুনী মেয়ে স্বামী হারা হলে সে সারা জীবন জৈবিক চাহিদা পূরণের কোন উপায় না পেয়ে, হয়তো একসময় অনৈতিক পথ বেছে নেয়। অনেক সময় দেবর, ভাসুর এমনকি শ্বশুর সহ অন্যান্য আত্মীয়দের বিকৃত যৌন প্রবৃত্তির নীরব শিকারে পরিণত হতে হয়্। এর চেয়ে মরণটাকেই সহজ মনে করে মেয়েরা চিতার আগুনে ঝাঁপ দিতে থাকে, যা পরবর্তীতে ধর্মীয় অঙ্গে পরিণত হয়।

সনাতন বা হিন্দু ধর্ম বলতে আজ আমরা যা দেখছি বা শুনছি এর কিয়দাংশও ওদের ধর্মগ্রন্থে নেই। প্রকৃত হিন্দুধর্ম এত নোংরা, কদর্য, অশ্লীল ও অমানবিয় না। এর মূল দায়ভার তথাকথিত পন্ডিতদের, যারা নিজেরে স্বার্থানুযায়ী ধর্ম বানিয়েছে, পরিবর্তন করেছে।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খইর।
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
222456
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : হিন্দুদের মৌলিক ধর্মীয় গ্রন্থ বলতে আপনি কি বুঝেন? কোনটা তাদের মৌলিক ধর্মীয় গ্রন্থ?

হিন্দুরা যেসব গ্রন্থকে তাদের পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্থ বলে হরহামেশা সম্মান প্রদর্শন করে বেড়ায়, ঈশ্বরের বাণী বলে পূজার সময় শ্লোক আওড়ায়, এইসব বইয়েই এ বর্বর প্রথার উল্লেখ রয়েছে। রেফারেন্স হিসেবে কয়েকটি সোর্স উল্লেখ করা যেতে পারে :
(১) অথর্ববেদে রয়েছে : “আমরা মৃতের বধু হবার জন্য জীবিত নারীকে নীত হতে দেখেছি।” (১৮/৩/১,৩)।
(২)পরাশর সংহিতা : “মানুষের শরীরে সাড়ে তিন কোটি লোম থাকে, যে নারী মৃত্যুতেও তার স্বামীকে অনুগমন করে, সে স্বামীর সঙ্গে ৩৩ বৎসরই স্বর্গবাস করে।” (৪:২৮)
(৩) দক্ষ সংহিতা : “যে সতী নারী স্বামীর মৃত্যুর পর অগ্নিতে প্রবেশ করে সে স্বর্গে পূজা পায়”।(৪:১৮-১৯)।
(৪) দক্ষ সংহিতা : “যে নারী স্বামীর চিতায় আত্মোৎসর্গ করে সেতার পিতৃকুল, স্বামীকুল উভয়কেইপবিত্র করে।” (৫:১৬০)। যেমন করে সাপুড়ে সাপকে তার গর্ত থেকে টেনে বার করে তেমনভাবে সতী তার স্বামীকে নরক থেকে আকর্ষণ করে এবং সুখে থাকে।

২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৮
222493
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হিন্দুদের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ বেদ যা চারটি খন্ডে বিভক্ত। এর পরপরই আসে স্মৃতি, অতঃপর পূরাণ। এ ৩টিই প্রথম সময়ে অর্থাৎ বৈদিক যুগের পূর্বে লেখা। এর পর একে একে আসে উপনিষদ, রামায়ন, মহাভারত, ত্রিভরম সাইভিতি, ব্রক্ষ্মনা ইত্যাদি।

উপরের যে কথাগুলো বলেছি, তা আমার নিজের বানানো নয়, বরং হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরু স্বামী বিবেকানন্দ (নারেন: অ্যা বিলাভড ডিসেপল,আর রোনাল্ড, পৃ: ১৬৯-১৯৩) ও স্বামী শংকরাচার্যের (শংকরাচার্য, বিদ্যাশংকর এস., পৃ: ২৮৪-২৯২)।

আর অর্থব বেদের যে রেফারেন্সটা দিলেন সেটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক আগেই লাফালাফি করেছি।


সমস্যা হলো, একেক সংস্করণে একেক ভাবে টেক্সটটা পাওয়া যায়, যার একটা কমন ব্যাখ্যা ওরা দিয়ে দেয়। "এখানে শারীরিক মৃত্যুর কথা বলা হয়নি। স্বামীর মৃত্যুর পর যে স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে তার শবের সাথে যায়..." টাইপের ব্যাখ্যা।

আমার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মকে ডিফেন্ড করা নয়, শুধু প্রকৃত কথাটাকে যাচাই করা।

২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৮
222494
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হিন্দুদের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ বেদ যা চারটি খন্ডে বিভক্ত। এর পরপরই আসে স্মৃতি, অতঃপর পূরাণ। এ ৩টিই প্রথম সময়ে অর্থাৎ বৈদিক যুগের পূর্বে লেখা। এর পর একে একে আসে উপনিষদ, রামায়ন, মহাভারত, ত্রিভরম সাইভিতি, ব্রক্ষ্মনা ইত্যাদি।

উপরের যে কথাগুলো বলেছি, তা আমার নিজের বানানো নয়, বরং হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরু স্বামী বিবেকানন্দ (নারেন: অ্যা বিলাভড ডিসেপল,আর রোনাল্ড, পৃ: ১৬৯-১৯৩) ও স্বামী শংকরাচার্যের (শংকরাচার্য, বিদ্যাশংকর এস., পৃ: ২৮৪-২৯২)।

আর অর্থব বেদের যে রেফারেন্সটা দিলেন সেটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক আগেই লাফালাফি করেছি।


সমস্যা হলো, একেক সংস্করণে একেক ভাবে টেক্সটটা পাওয়া যায়, যার একটা কমন ব্যাখ্যা ওরা দিয়ে দেয়। "এখানে শারীরিক মৃত্যুর কথা বলা হয়নি। স্বামীর মৃত্যুর পর যে স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে তার শবের সাথে যায়..." টাইপের ব্যাখ্যা।

আমার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মকে ডিফেন্ড করা নয়, শুধু প্রকৃত কথাটাকে যাচাই করা।

২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৮
222495
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হিন্দুদের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ বেদ যা চারটি খন্ডে বিভক্ত। এর পরপরই আসে স্মৃতি, অতঃপর পূরাণ। এ ৩টিই প্রথম সময়ে অর্থাৎ বৈদিক যুগের পূর্বে লেখা। এর পর একে একে আসে উপনিষদ, রামায়ন, মহাভারত, ত্রিভরম সাইভিতি, ব্রক্ষ্মনা ইত্যাদি।

উপরের যে কথাগুলো বলেছি, তা আমার নিজের বানানো নয়, বরং হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরু স্বামী বিবেকানন্দ (নারেন: অ্যা বিলাভড ডিসেপল,আর রোনাল্ড, পৃ: ১৬৯-১৯৩) ও স্বামী শংকরাচার্যের (শংকরাচার্য, বিদ্যাশংকর এস., পৃ: ২৮৪-২৯২)।

আর অর্থব বেদের যে রেফারেন্সটা দিলেন সেটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক আগেই লাফালাফি করেছি।


সমস্যা হলো, একেক সংস্করণে একেক ভাবে টেক্সটটা পাওয়া যায়, যার একটা কমন ব্যাখ্যা ওরা দিয়ে দেয়। "এখানে শারীরিক মৃত্যুর কথা বলা হয়নি। স্বামীর মৃত্যুর পর যে স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে তার শবের সাথে যায়..." টাইপের ব্যাখ্যা।

আমার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মকে ডিফেন্ড করা নয়, শুধু প্রকৃত কথাটাকে যাচাই করা।

২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৮
222496
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ৩টা হয়ে গেল! এই কমেন্ট সহ যে কোন ২টা মুছে দিন।
278700
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০০
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : (৫) ব্রহ্মপুরাণ : “যদি স্বামীর প্রবাসে মৃত্যু হয়ে থাকে তবে স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর পাদুকা বুকে ধরে অগ্নিপ্রবেশ করা।”
(৬) মহাভারতের মৌষল পর্বে, কৃষ্ণের মৃত্যুর পর তাঁর চার স্ত্রী রুক্ষিণী, রোহিণী, ভদ্রা এবং মদিরা তাঁর চিতায় সহমৃতা হয়েছিলেন। এমন কি বসুদেবের আট পত্নীও তাঁর মৃত্যুর পরে সহমরণে গিয়েছিলেন।
পাণ্ডু দেহত্যাগ করলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রী তাঁর চিতায় সহমৃতা হয়েছিলেন।
(৭) ব্যাসস্মৃতি বলছে, চিতায় বিধবা নারী তার স্বামীর মৃতদেহে আলিঙ্গন করবেন অথবা তার মস্তকমুণ্ডন করবেন। (২:৫৫)।
(৮) ষষ্ঠশতকের বরাহমিহির তার বৃহৎসংহিতায় বলেন, “অহো নারীর প্রেম কি সুদৃঢ়, তারা স্বামীর দেহক্রোড়ে নিয়ে অগ্নিতে প্রবেশ করে।” (৭৪:২৩)।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File