পশু কুরবানী নাকি ৫ ওয়াক্ত নামাজ- কোনটা বেশি গুরুত্বপুর্ণ?

লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৪৯:৩৬ সন্ধ্যা

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আছে- সেটা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, অথচ পশু কুরবানী করাটা ওয়াজিব হলেও সেটা নিয়ে চলছে হুলস্থুল কান্ড!!! যে লোক জুমআর নামাজটাও ঠিকমত পড়ে না সেই লোক পর্যন্ত কুরবানী মিস করে না। অথচ ফরজ নামাজের গুরুত্ব কুরবানীর চেয়ে হাজারগুণ বেশি, পরকালে ফরজ নামাজের হিসাব নেয়া হবে সবার আগে, এই ফরজ নামাজ পড়তে একটা পয়সাও খরচ হয়না- তবুও এর প্রতিই যত অনীহা!!

শতকরা প্রায় ৯৯% মানুষ কুরবানী দেয়, কিন্তু শতকরা ১০% মুসলমানও নামাজ আদায় করে না। এর কারন হিসেবে আমি বলবো- কুরবানী দেশের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে, কিন্তু নামাজটা ঠিক সংস্কৃতি হয়ে উঠতে পারেনি। হুজুগে বাঙালীর কাছে তাই ফরজ নামাজের চেয়ে ওয়াজিব পশু কুরবানীর গুরুত্ব বেশি। তাছাড়া কুরবানী অনেকটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে, সবাই কুরবানী দিচ্ছে তাই আমাকেও দিতে হবে- এমন ধারনা থেকেই সবাই কুরবানী দেয়, প্রতিযোগীতামূলক মনোভাবই এখানে মুখ্য, মুখরক্ষার খাতিরে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই কুরবানী দেয়। কে কার চেয়ে বড় গরু কিনলো কিংবা কার গরুর দাম কত বেশি সেটা নিয়ে একটা প্রতিযোগীতা সবসময়ই লক্ষ্য করা যায়। অথচ গরুর সাইজ কিংবা দাম যত বেশিই হোক নিয়্যত ঠিক না থাকলে এত সাধের কুরবানীই বৃথা। লোক দেখানো কুরবানী করা আর পুরো টাকাটা জলে ফেলে দেয়া একই কথা। সংস্কৃতি রক্ষার খাতিরে কিংবা প্রেস্টিজ রক্ষার উদ্দেশ্যে যদি কুরবানী দেন তাহলে আপনার প্রেস্টিজ হয়তো বাড়বে, সবার সাথে হয়তো তাল মেলানোও হবে, ফ্রিজটাও মাংসে পরিপূর্ণ হবে কিন্তু মূল উদ্দেশ্য আল্লাহকে খুশী করা অধরাই থেকে যাবে।

যে লোক ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়লো না তার কুরবানী দেয়ার কি অর্থ আমি বুঝি না। হাজারটা পশু কুরবানী দিলেও "বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই" এর মত তার ষোল আনাই বৃথা...

বিষয়: বিবিধ

১২৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

271698
০৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১৯
ফেরারী মন লিখেছেন : আসলেই আপনার কথার যুক্তি আছে। আমরা দিন দিন যেন কেমন হয়ে যাচ্ছি। যা করতে হবে তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। অকাজ নিয়ে ব্যস্ত। নামাজ না পড়লে কেউ বলে কিন্তু কুরবানীর পশু ভালো না হলে যে মান সম্মান যায়।
271718
০৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সমস্যাটার শিক্ষার!!!
মানুষ যদি নামাজের গুরুত্ব বুঝত তা হলে অবশ্যই তা আগে আদায় করত।
271757
০৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৪৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যে লোক ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়লো না তার কুরবানী দেয়ার কি অর্থ আমি বুঝি না। হাজারটা পশু কুরবানী দিলেও "বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই" এর মত তার ষোল আনাই বৃথা...


ষোল আনাই বৃথা বলা উচিত নয়- যিনি আমল কবুলের মালিক তিনিই এর ফায়সালা করবেন-

তবে নিঃসন্দেহে সলাতের গাফলতি গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ, দুনিয়াতেও শাস্তিযোগ্য

আমাদের কাজ তাদেরকে সলাতে আনা-
কুরবানী ত্যাগ করানো নয়!!

নেতিবাচক ভাব বর্জনীয়-
ইতিবাচক দৃষ্টিই কল্যানকর, পছন্দনীয়
[সুসংবাদ দাও, দূরে ঠেলে দিওনা]


ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক Rose Big Hug
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক Praying
271850
০৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : অবশ্যই ফরজ সালাতের সাথে কোরবানী তুরনীয় নয়। যে লোক ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়লো না তার কুরবানী দেয়াতে তার ষোল আনাই বৃথা বলাটা বোধহয় ঠিক না। অনেক খানিক বৃথা হতে পারে। বিষয়টা আরও ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষনের মাধ্যমে উপস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। কেননা এতে আংশিক বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে। তবুও লেখককে ধন্যবাদ। আশা করছি লেখার মান উন্নত হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File