"সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই" এমন বিশ্বাসের স্বপক্ষে নাস্তিকদের দেয়া যুক্তি এবং এ ব্যাপারে আল্লাহ যা বলেন...
লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ০৯ জুলাই, ২০১৪, ০৬:০৮:০২ সন্ধ্যা
অনেক নাস্তিকই এমন প্রশ্ন করে থাকে যে, আল্লাহ বলে যদি আসলেই কেউ থাকেন তাহলে তিনি কেন কুরআন অবমাননাকারী কিংবা রাসূল (সা) এর কার্টুন অঙ্কনকারী কিংবা আল্লাহকে নিয়ে নোংরা চটি গল্প লেখা নাস্তিকদেরকে কোন শাস্তি দিচ্ছেন না? নাস্তিকদের দাবি- এই ব্যাপারটি থেকেই প্রমান হয়ে যায় আল্লাহ বলে কিছু নেই- সব মানুষের ভ্রান্ত বিশ্বাস, মনগড়া সৃষ্টি...(নাউজুবিল্লাহ)
আজ এক ভাই ইসরায়েলী বাহিনীর ভয়ংকর বিমান হামলায় ৩০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা যাওয়ার খবরটি জানিয়ে প্রশ্ন করেছেন-
দুনিয়ার সব মুসলমানই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইজরাইলের ধ্বংস কামনা করে আল্লাহর কাছে এত প্রার্থনা করে তবু কেন আল্লাহ ইজরাঈলকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন না? কেন মুসলমানদের দোয়া কবুল হচ্ছে না?
তিনি অবশ্য আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেই প্রশ্নটা করেছেন, তিনি ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অত্যাচার দেখে মনের দূঃখ্যে উক্তিটি করেছেন। তবে তার প্রশ্নটির উত্তর এবং নাস্তিকদের প্রশ্নের উত্তর আসলে একই। উত্তরটা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন-
"আর তোমরা ভেবো না যে অন্যায়কারীরা যা করে আল্লাহ্ সে-সন্বন্ধে বেখেয়াল। তিনি তাদের শুধু অবকাশ দিচ্ছেন সেইদিন পর্যন্ত যেদিন চোখগুলো হবে পলকহীন স্থির" (ইব্রাহিম-৪২)
"আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা যেন না ভাবে যে আমরা তাদের যে বিরাম দিয়েছি তা তাদের নিজেদের ভালোর জন্য। নিঃসন্দেহ আমরা তাদের অবকাশ দিই যেন তারা পাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে, আর তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (সূরা-আলে ইমরান)
"আর আল্লাহ্ যদি লোকেদের পাকড়াও করতেন তারা যা অর্জন করেছে সেজন্য, তাহলে এর পিঠে তিনি জীবজন্তুদের কাউকেও ছাড়তেন না, কিন্তু তিনি এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত তাদের অবকাশ দিয়ে থাকেন। সুতরাং যখন তাদের নির্ধারিত কাল এসে যায় তখন আল্লাহ্ আলবৎ তাঁর বান্দাদের প্রতি সর্বদ্রষ্টা। (ফাতির-৪৫)
"আর তারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, অথচ "আল্লাহ্ তাঁর ওয়াদার কখনো খেলাফ করবেন না। আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভুর কাছে এক দিন তোমরা যা গণনা কর তার এক হাজার বছরের সমান। আর কত যে জনবসতি ছিল -- তার জুলুমবাজি সত্ত্বেও আমি তাকে অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাকে পাকড়াও করলাম, আর আমারই কাছে প্রত্যাবর্তন।" (আল-হাজ্জ: ৪৭-৪৮)
সুতরাং আল্লাহ কেন ইজরাঈলের অত্যাচারী ইহুদীদেরকে ধ্বংস করছেন না এটা নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অত্যাচারী ইহুদীদেরকে কিংবা অবাধ্য নাস্তিকদেরকে আল্লাহ তাৎক্ষনিক শাস্তি দিচ্ছেন না, বরং তাদেরকে পাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলার সুযোগ দিচ্ছেন যাতে তারা আরো অধিক শাস্তির উপযুক্ত হয়...
এটা তাদের জন্য কখনোই আশীর্বাদ নয় বরং অভিশাপ...
-(ফেসবুকে আমি আছি- এইখানে)
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসরাইল (দাব্বাতুল আরদ) এর অপরাধ ও অত্যাচারের লেভেল কমপক্ষে ফেরাউনের অত্যাচার ও অবিচারের কাছাকাছি হতে হবে। কারন আল্লাহ ইয়াহুদীদের কে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন - মৃত ফেরাউন এর লাশ আবিষ্কার হলে তাদের শাস্তির ঘড়ি টিক টিক করে এগুতে শুরু করবে - যা তারা আর স্লো করতে পারবেনা। এবং তাদের শাস্তি হবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে কষ্টদায়ক, বিভৎস ও নিঃশৃংস - যা ফেরাউনের শাস্তিকে অতিক্রম করবে।
আল্লাহ যেহেতু জাস্ট বিচারক - সেহেতু তিনি সে শাস্তি দেবার আগে তাদেরকে দিয়ে পাপের পরিমান ঐ লেভেল এ পৌছাতে চাইছেন।
আর মুসলিমদের হারানোর কিছু নেই। যারা মরেছেন, আহত হয়েছেন, গৃহহারা হয়েছেন - তারা আল্লাহর প্রতিশ্রুত জান্নাতের হকদার হয়েছেন।
মগের মুল্লুক শামীম ওসমান, জর্জ বুশ কিংবা নেতানিয়াহু টাইপ নিচু ক্লাসের খুনীদের চিন্তা প্রসুত ধারনা এবং দুনিয়াতে তাদেরকে এই মোহ ও উন্মাদনায় ব্যস্ত করে রাখা হয়েছে।
মহান আল্লাহ হলেন এ্যাবসুলুট বিচারক। নো মগের মুল্লুক, নো কনসেনট্রেটেড ল্যান্ড কিংবা ক্যাম্প।
আপসোস আপনার জন্য, দুঃখিত।
তা ঠিক!!!! তবে আপনার আল্লাহ রব্বুল আলামীন বেশি লাফাতে যেয়ে ঠ্যাং ভেংগে এখন ম্যাঁ ম্যাঁ করছে।
মাশাল্লাহ, আমার আল্লাহ আপনার ভাগ্যে এত লম্বা উচু কল্লা দিয়েছেন যে, আপনি এখন আকাশ ফুঁড়ে তার উপরটাও দেখছেন।
@গ্রামের পথে, সব নাস্তিকের মতই তোর মুখের ভাষাও কুত্তার ঘেউ ঘেউ এর চাইতে নিকৃষ্ট। তোর মত ছুপা মালুদের জন্য আল্লাহ হেদায়েত রাখেননি, তোদের জন্য জাহান্নামের আগুন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এই লেখাটা একবার দেখে আসতে পারেন।
নাস্তিক্যবাদের যুক্তিখন্ডন (প্রথম খন্ড)
আল্লাহে অবিশ্বাসী প্রতিটি মানুষই অন্যের অনুগ্রহে চলে, অন্যের ধনে পোদ্দারী করে, দালালী করে - এবং তারপর আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ভাব করে - অথচ মৃত্যুকে জয় করতে পারেনা। শেইম অন ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টুপিডস্ ও অকৃতজ্ঞদের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন