হিন্দী গান- শিরকের সবচেয়ে কার্যকরী ও প্রচলিত মাধ্যম
লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ২৫ জুন, ২০১৪, ০৮:০৩:২১ রাত
"তোমার মধ্যে খোদা কে দেখি আমি, প্রিয়া আমি কি করবো?
সিজদায় ঝুকে যায় মাথা, প্রিয়া আমি কি করবো" (নাউজুবিল্লাহ)
এটা হল একটি জনপ্রিয় হিন্দী গান (তুঝমে রাব দিখতা হ্যায়) এর বঙ্গানুবাদ। গানটি সম্পর্কে আরো মূল্যবান কিছু তথ্য দিচ্ছি তার আগে এই স্ট্যাটাসটা লেখার মূল উদ্দেশ্যটা বলে নেই-
তিনি হলেন আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভাল মেয়েদের মধ্যে একজন (অন্তত এতদিন তাই জানতাম)। মোটামোটি ইসলামিক মাইন্ডের হওয়ার কারনে উনাকে আমি যথেস্ট রেসপেক্টও করি। সেই তিনি সম্প্রতি এরকমই একটি শিরকী হিন্দী গান প্রমোট করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- গানটি নাকি তার অসম্ভব ভাল লেগেছে। শুধু তাই না, তিনি তার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে ঐ শিরকী হিন্দী গানটি শুনার জন্য অনুরোধও করেছেন। তার মতে- ঐ গানটি যে না শুনেছে তার নাকি জীবনে হিন্দী গান শুনাটাই বৃথা!!!
উনি কি জানেন, উনার অনুরোধ শুনে যত লোক ঐ শিরকী গানটি শুনবে তাদের সবার সম্মিলিত পাপ উনার নামের সাথেও লেখা হয়ে যাবে। আর সেই পাপ এমনই পাপ- যে পাপ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না। ধরে নিলাম, উনি হিন্দী গানটির অর্থ বুঝতে পারেননি, কিন্তু অর্থ না বুঝলে কোন আক্কেলে গানটি প্রমোট করেন উনি? যারা হিন্দী ভাষা বুঝেন তারা জানেন, অধিকাংশ হিন্দী গানেই অন্তত এক লাইন হলেও শিরকী কথা থাকে। ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই অধিকাংশ গানে এধরনের শিরকী কথা ঢুকিয়ে দেয়। হিন্দুদের নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও যে বিপথে চলে যেতে পারে এই মেয়েটি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
রাব না বানা দি জোড়ি- সিনেমার যে গানটির কথা স্ট্যাটাসের শুরুতে আমি উল্লেখ করেছি সেই গানটি অন্তত একবারের জন্য হলেও গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠেননি এমন মুসলমান বাংলাদেশে খুব কমই আছেন। কেউ অর্থ জেনে আবার কেউবা অর্থ না বুঝেই এই ধরনের শিরকি গানগুলো শুনে থাকেন। যারা হিন্দী গান শুনেন তাদের কাছে আমি অনুরোধ করবো- একান্তই যদি হিন্দী গান শুনার অভ্যাস ত্যাগ করতে না পারেন তাহলে অন্তত সেইসব গান বর্জন করুন যেগুলোতে এরকম সরাসরি শিরকী কথা রয়েছে। সবচেয়ে দূঃখ্যজনক ব্যাপার হল- এই গানটার সাথে যিনি অভিনয় করেছেন তিনিও একজন তথাকথিত মুসলিম (শাহরুখ খান), গানটির মিউজির কম্পোজাররাও হলেন এরকমই নামসর্বস্ব মুসলিম (সেলিম-সুলায়মান), তবে গানটির কথা যে লিখেছে সে একজন হিন্দু। কি বলবেন এইসব হিন্দু ও নামধারী মুসলমানদের সম্পর্কে? এদের ব্যাপারে মন্তব্য করার ভার আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম...
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'যদি সাগরের জলকে কালি করি,
আর গাছের পাতাকে করি খাতা
আর একে একে লিখে যাই মহিমা তোমার
তবুও রইবেনা একটিও পাতা...' - এগুলো তো মৌলবাদী জঙ্গি তৈরির গান!
খোদা জানে যে, আমি (তোমার মাঝে) মিশে গেলাম
থোদা জানে এটা কেন হলো,
যে হয়ে গেলে তুমি আমার খোদা" নাউজুবিল্লাহ (আরেকটা হিন্দি গানের নমুনা)
এটা আমাদের মর্ডান প্রজন্মের পছন্দ।
০ এরকম প্রচুর গান , কবিতা ,গল্প , উপন্যাস , নাটক , সিনেমা আছে - যেখানে মেয়েদের এমন প্রশংসা করা হয়েছে যা শিরকের মতই ।
যারা এটা করছে তারা তো শিরক্ করছেই । আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় যে মেয়েরা এটা যে শিরক্ তা জেনেও এরকম প্রশংসা খুব এনজয় করে ।
কখনই মানা করে না এসব রচয়িতাদের যে , এসব করো না , এটা শিরক্ । এতে তোমাদের সাথে আমাদেরও পাপ হচ্ছে ।
ঈসা (আঃ) এর অবর্তমানে খৃষ্টানরা উনাকে নিয়ে যা করছে তা শিরকে্র পর্যায়ে নিয়ে গেছে । হাশরের ময়দানে আল্লাহ ঈসা (আঃ)কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন । ঈসা (আঃ) ব্যাপারটা অস্বীকার করবেন ।
কারণ এরা এসব করেছে ঈসা (আঃ) এর অনুপস্থিতিতে এবং উনি এটা অপছন্দই করতেন ।
কিন্তু নারীরা তো এই সব প্রশংসা তাদের উপস্থিতিতেই শুনছে এবং মোটেই তার প্রতিবাদ করছে না । বরং এসবে সে অহংকারী হয়ে উঠছে ।
রোজ হাশরের ময়দানে এইসব নারীরা কি ঈসা (আঃ) এর মত জবাব দিতে পারবে ?
পোস্টের জন্য জাযাকাল্লাহ্।
মন্তব্য করতে লগইন করুন