মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সামরিক শক্তির ফারাক (তুলনামূলক বিশ্লেষণ)

লিখেছেন লিখেছেন ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ ০২ জুন, ২০১৪, ১০:৩৮:৫৪ রাত



মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ বাধলে কারা জয়ী হবে? ক্ষয়ক্ষতি কাদের বেশি হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই পরিসংখ্যানে... দুই দেশের সামরিক শক্তিমত্তার একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যানের জন্য ছবিটি ভাল করে দেখুন। খেয়াল করলে দেখবেন- বর্তমানে সামরিক শক্তিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ২০০০ সালে বিডিআর একাই যুদ্ধ করে বার্মাকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল, বার্মা সশস্ত্র বাহিনী এখন সেই পর্যায়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। যে বার্মার সীমান্ত রক্ষী, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ আক্রমন প্রতিহত করে বিডিআর একাই ৬০০ বারমিজ সেনা হত্যা করে দেশের অংশ রক্ষা করেছিল, আজ সেই বার্মার কাছে আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হলে লাশটি ফেরত আনতেও বেগ পেতে হয়। এটি বার্মার সাথে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার বর্তমান অবস্থানকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

এই মুহুর্তে যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেহেকু আক্রমনের সূচনাটা হবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাই ক্ষয়ক্ষতিটা বাংলাদেশেরই বেশি হবে।

আমার সবচেয়ে আশ্চর্য্য লাগে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের পাশাপাশি দেশের সামরিক বাহিনীগুলোও নীরবতা পালন করছে এটা দেখে। তাদের সেরকম কোন তৎপরতা এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। সরকারের কোন মাথাব্যথাই নেই মনে হচ্ছে এব্যাপারে। অথচ মিয়ানমার খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে পুরো ব্যাপারটিকে। সীমান্তে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমাবেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। তারা বড় ধরনের কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। হঠাৎ করে আক্রমন করে বসলে সেটা ঠেকানোর মত ক্ষমতা বিজিবির কতটুকু আছে তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। বিজিবি আধা-সামরিক বাহিনী। আধা সামরিক একটা বাহিনীর পক্ষে সামরিক বাহিনীকে ঠেকানো সম্ভব হবে না বিশেষ করে যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি বিশাল অংশ সীমান্তে অবস্থান নেয়া শুরু করেছে। সেই হিসেবে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা হাতে গোণা। সত্যি কথা বলতে গেলে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমন চালালে বিজিবির চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

(কারেকশনঃ দুই দেশের আয়তন বর্গকিলোমিটারে দেয়া হয়েছে।

ফেসবুকে আমি- Click this link

বিষয়: বিবিধ

৫১৪৭৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

229775
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪১
ধন্যবাদ লিখেছেন : কোন কিছুর প্রয়োজন নেই ষোলকোটি জনতার ষোশকোটি লাঠি থাকলে যথেষ্ট. শুধু প্রয়োজন বাংলাদেশে একজন দেশপ্রেমিক রাহবার
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:১৯
176480
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : হুমম, আল্লার ফেরেস্তারা কুদরত ঘটাবে?
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:৫১
176490
ধন্যবাদ লিখেছেন : অতীত তো তাই প্রমাণ করে.
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
176819
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : ফেরেশতারা কুদরত ঘটাবে না। যা করার মানুষকেই করতে হবে। ফেরেশতাদেরকে যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেনি। ফেরেশতা দিয়েই যদি যুদ্ধ জয় করা যেত তাহলে বদর যুদ্ধ ওহুদের যুদ্ধে রাসূল (সা) কে এবং তার সাহাবীদেরকে মরনপন লড়াই করা লাগতো না
229779
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:৫০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : অনেক কিছুই জানা গেলো।
229787
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:১৮
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আপনি শুধু চীন-আমেরিকা-রাশিয়া থেকে আমাদানি করা সেনা বাহিনীর যুদ্ধ সরঞ্জামের ফিরিস্তি দিলেন!

কিন্তু মুসলিমদের কোরান বিজ্ঞান, দোয়া, মোনাজাত,বদরযুদ্ধ, আল্লাপূজা, একমাত্র সত্য! ধর্মের ফেরেস্তাদের কুদরতি......এসবের কি কোন মুল্যা নেই?
০৩ জুন ২০১৪ রাত ১২:০৩
176497
ধন্যবাদ লিখেছেন :
শিক্ষা নিন এরকম আপুদের থেকে.
০৩ জুন ২০১৪ রাত ১২:৩০
176502
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আপু আরো আছে।

মরিয়মের ফাঁসি, এখানে দেখুন
- Click this link
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
176831
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : কোরান বিজ্ঞান, দোয়া, মোনাজাত,বদরযুদ্ধ এসবের মূল্য আছে ভাই। তবে যে জাতি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না সেই জাতিকে আল্লাহও সাহায্য করেন না। ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন- অনেক নবী-রাসূলরাও আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী সাহায্য পাননি। অনেক রক্ত ঝরিয়ে, মরনপণ যুদ্ধ করে তাদেরকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয়েছে। আল্লাহ সাধারনত পৃথিবীতে মানুষের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করেন না। যুদ্ধ জয় করার জন্য মুসলমানদেরকে নিজস্ব কৌশল নির্ধারন করে আল্লাহর নাম নিয়ে এগোতে হবে।
229789
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সাধারন ভাবে আপনার বিবরন থেকে মায়ানমারকে অতি শক্তিশালি মনে হলেও প্রকৃত যুদ্ধে কেবল সংখ্যাধিক্য কোন ফলাফল দেয়না। মায়ানমারের সৈন্য সংখ্যা যাই হোক ৩০০ মাইল এর মত বিস্তৃত সিমান্তে পরস্পর মুখোমুখি হতে পারবে সমান সংখ্যক সৈনিক। মায়ানমারের দিকে উঁচু পাহাড় বেশি থাকলেও বাংলাদেশের দিকেও যতেষ্ট পাহাড় আছে যা একটি প্রাকৃতিক বাধা। নাফ নদিও ছোট নয়। নৈী বাহিনির শক্তিতে কাগজে কলমে মায়ানমার এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ এর হাতে অত্যাধুনিক রাডার সিষ্টেম আছে যা যে কোন মিসাইল আক্রমন দ্রুত ডিটেক্ট করতে সক্ষম। বিমান বাহিনির ক্ষেত্রে মায়নামার এর উড্ডয়ন সিমার মধ্যে চট্টগ্রাম থাকলেও ভারতিয় আকাশ সিমা লংঘন না করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যতক্ষন লাগবে তাতেও প্রচুর রিয়্যাকশন টাইম পাওয়া যাবে।
যদি মির জাফর বা এল ইদ্রুস এর মত কোন সেনাপতি না থাকে তাহলে বিপুল শক্তিনিয়েও মায়ানমারের সল্প প্রশিক্ষিত বাহিনি বেশি আগাতে পারবেনা।
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
176835
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : বর্তমান যুগে আক্রমনের মূল দায়িত্ব পালন করে বিমানবাহিনী। আর ঠিক এই জায়গাটাতেই আমরা পিছিয়ে। সীমান্তের কাছাকাছি ওদের রয়েছে ৩ টি এয়ার বেজ, আমাদের মাত্র ১টি। ওদের মিগ-২৯ জঙ্গীবিমান আমাদের চেয়ে প্রায় ৫ গুন বেশি। এগুলো সুস্পষ্ট পার্থক্য গড়ে দেবে। এতকিছুর পরেও আশা হারানোর কিছু নেই। ইনশা আল্লাহ যদি কখনো যুদ্ধ হয় আমরাই জিতবো। যদি ভেদাভেদ ভুলে পুরো দেশবাসী এবাত্ম হয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করি, যদি সরকারী দল বিরোধী দল শিবির ছাত্রলীগ এসব বিভেদ ভুলে যেতে পারি তবে আমাদেরকে পরাজিত করা বিশ্বের কোন পরাশক্তির পক্ষেও সহজ হবে না
229828
০৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৫:২৫
তহুরা লিখেছেন :
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
176839
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : হায় হায়! বাচ্চা পোলাপানের কাছেও এরকম ভারী অস্ত্র! অথচ আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সদস্যরাও এরকম অস্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ পায় কিনা সন্দেহ!!
০৪ জুন ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
177015
তহুরা লিখেছেন :
230084
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
নূর আল আমিন লিখেছেন : জাওয়াদ ভাই ভাল্লাক্সে অনেক
কিছু জানতে পারলাম
লিখে যান আপনার
মতো
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
176869
ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ লিখেছেন : থ্যাংকস ব্রো!!:D/ সঙ্গে থাকুন। নিয়মিত আপনাদেরকে এরকম তথ্যবহুল পোস্ট উপহার দিবো ইনশা আল্লাহ
230087
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:০৭
নূর আল আমিন লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File