মামা-ভাগ্নের রসালো আলোচনা
লিখেছেন লিখেছেন ধন্যবাদ ১১ জুন, ২০১৪, ১১:২৬:৪১ রাত
অনেক দিন আগে দৈনিক খবরের কাগজে মামা-ভাগ্নের সংলাপ নিয়ে একটি কৌতুক পড়েছিলাম
যা অনেকটা এরকম
ভাগ্নে- মামা আমি চেয়ারম্যানের কন্যার প্রেমে পড়েছি.
মামা- দেখতে হবে না কার ভাগ্নে. প্রেম করবে তো বড় মানুষের সাথেই করবে.
ভাগ্নে - আজ আমার জানমণিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় দাঁড়াতে বললে সে দাঁড়ায়.
মামা- দাঁড়াবে না? আমার ভাগ্নে ডাকলে না দাঁড়ায়ে পারবে?
ভাগ্নে- আমি তাকে বললাম জান! আমি তোমাকে ভালবাসি.
মামা- বলবি না? বলতেই তো হবে.
ভাগ্নে- ভালবাসি বলার পর সে আমাকে কষে একটা চড় মারে.
মামা- বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় বিরক্ত করলে মারবে না?
ভাগ্নে- আমিও তাকে চড়মেরে গাল লাল করে দিয়েছি.
মামা- মারবি না? মার খেয়ে কি চেয়ে চেয়ে দেখবি?
ভাগ্নে- এর পর দেখি পুলিশ এসে আমার জামা চেপে ধরে.
মামা- ধরবে না! তুই মেয়ে মানুষের গায়ে হাত তুলেছিস.
ভাগ্নে- আমি পুলিশকে কনুই মেরে দৌড়ে পালিয়ে এসেছি.
মামা- সাবাশ ভাগ্নে সাবাশ! কাজের মতো একটা কাজ করলি.
উপরের কথাগুলো হাসির মনে হলেও তা বাস্তব সত্য.
আফগানিস্তানে যখন লাদেন ওমররা ইসলামের নামের শান্তির পতাকা উড়িয়ে ছিল. তখন আমরা খুশিতে আটখানা হয়ে বলেছিলাম: "সাবাশ আফগানিস্তান" এমনকি দেশের মিডিয়াগুলোও লাদেনদের পক্ষে ছিল. কয়েক বছর না যেতে যখন আমেরিকা আফগানিস্থান দখল করলো এখন আমরা বলছি লাদেনরা জঙ্গি. এদের অনুসারিরা জঙ্গি. এদেরকে পরাজিত করেছে ভাল হয়েছে.
তেমনি ভাবে সাদ্দাম কে বলেছিলাম বাপের ব্যাটা সাদ্দাম. সাদ্দামের পরাজয়ের পর বললাম সাদ্দাম তেমন সুবিধার মানুষ ছিলেন না.
এখন সাপোর্ট দিচ্ছি ইরানকে. আল্লাহ না করুক ইরান যদি পরাজিত হয় জানি না আমরা কি বলব.
এখন সকল মিড়িয়া আওয়ামিলিগের বন্দনা গাইতে আরামবোধ করছে.
ক'দিন পর যখন অন্য দল এসে এদের থলের বিড়াল বের করবে তখন মিড়িয়া বলবে এরা এমন দুষ্ট ছিল যে দুষ্ট বললেই মিড়িয়ায় আঘাত করতো.
অন্যকে খুশি করার জন্য আমরা মিথ্যে বলি. অথবা অন্যে কষ্ট পাবে তাই চুপ করে থাকি.
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন