শহুরে ফোকলোর

লিখেছেন লিখেছেন বিবলোফিল ২৩ জুলাই, ২০১৪, ১১:৫৩:০৮ সকাল

৫০ উর্ধ বয়সী অবিবাহিত মহিলারা আসলে পাগল । কেন জান ? আমি তখন ওমুক মিনিষ্টিরির ওমুক মন্ত্রীর পিএস । মহিলা মন্ত্রী আমাকে জানাল তার মিন্টু রোডের বাসায় রাতের বেলা আমের গাছ দিয়ে সাপ নেমে কক কক করে । আর আমার বাসার মালি বাগানে পানি দেয়না । অফিস আসবার সময় সকাল বেলা গাছ গুলো দেখলে মন খারাপ হয় । ওর চাকরি নট কর । এই ছিল আমার প্রথম এসাইমেন্ট ।

গাছের ডাল কাটা মিনিষ্টিরি কে বল্লাম । সেখানকার সেক্রেটারী বল্ল একজন এসে বলে ডাল নাই ডাল ওয়ালা গাছ হলে ভাল হত । আর একজন এসে বলে ডাল কাট । যাহোক মালির চাকুরী গেল । সে কান্দে তার বউ বাচ্চা পালিত গরু ছাগল সহ এখানে থাকে । কই যাবে ? পড়লাম বিপদে ।

সেবার গেলাম অকল্যান্ডে । ছেলের জন্য কি নেব ঢুকলাম এক লাইব্রেরীতে ।

সেলসগার্ল মেয়েটা এসে বল্ল আর ইউ ফ্রম ইনডিয়া ? বল্লাম না ।

শেষমেষ নিউজিল‌্যান্ডের মাওরি ট্রাইবের উপর বইটা কিনলাম । আমার কাছে কলম নেই

মেয়েটাকে বল্লাম কলম দাও । সে কলম এনে দিল আমি একটা বানী লিখলাম । তারপর চলে এলাম ।

ডু ইউ নো মাউরি ?

কই হুম ।

কিলিফ কার্টিস হলিউড অভিনেতা । নিউজিল্যান্ডের মাউরি । এরাব হিসেবে অভিনয় করে । বেশিরভাগ মুভিতে ।

গুড ।

খবর ভাল রাখ ।

আবার কয় !

খালি আপনি আসার খবর টা জানলে কি আর এই জোলা থেরাপিতে পড়ি ।

কিছু বল্লা ?

জী না ।

অকল্যান্ডের রাস্তায় ট্যাক্চি ক্যাবে সিগারেট জালালাম । পান্জাবী সরদার ক্যাব ড্রাইভার বল্ল ডোন্ট স্মোক । মামলা হবে । আলদা জায়গা আছে বিড়ি ফুকানোর তারপর সে সেখানে থামল । আমি সিগারেট খেলাম ।

এবার বল কিবরিয়া তোমার মামিকে এতদিন ধরে দেখছ কেমন মনে হল । বল্লাম আপনাদের ফ‌্যামিলির একমাত্র নরমাল মানুষ । আস্তে আস্তে বলি বাকীরা পাবনার মেনটাল । ওরফে জোলা ।

সে আবার বলে আর কিছু বল্লে ?

বলি! না !

৩২ নম্বরে বংগবন্ধুর বাসায় গেলাম ৭৪ এ । সর সর করে দোতালায় উঠে গেলাম ইন্টারভিউ নিলাম চলে এলাম । কেউ বাধা দিলনা । নো প্রটোকল ।

গত পাচ বছর ধরে আমি আমার মামা শ্বশুরের সামনে পড়লেই একি গল্প বারবার শুনি । আর দাত এর ৩২ পাটি বের করে হাসি মানে হাসতে হয় । সেও হাসে । এই গল্প গুলো অন্তত একশবার করে শুনেছি ।

এই মামা শ্বশুর পেনশনের সব টাকা দিয়ে পাবনায় গরুর খামার দিলেন । কেউ একজন তাকে বুদ্ধি দিল গরুর গরম লাগে । ওনি দয়ার শরীরের মানুষ ঢাকা থেকে এসি কিনে নিয়ে গিয়ে গোয়াল ঘরে বসালেন । একদিন এসি গরু দুটোই গেল ।

আর একবার ওনি ঢাকাতে কোরবানীর গরুর ঢিস খেয়ে পংগুতে ভর্তি হলেন । আমি ফোন দিলাম কুশলাদী জানবার জন্য । ওনি আমাকে বল্লেন জান কিবরিয়া এখানে যারা ভর্তি হয়েছে গত কয়েক দিনে তারা সবাই আমার মত গরুর ঢিস খেয়ে বা গুতা খেয়ে ভর্তি হয়েছে । সবার অভিগ্গতা শুনি খারাপ লাগেনা দিন কেটে যাচ্ছে ।

২৩/৭/২০১৪

ইসকাটন

বিষয়: বিবিধ

১২১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File