শহুরে ফোকলোর
লিখেছেন লিখেছেন বিবলোফিল ০২ জুন, ২০১৪, ১০:৩৫:০০ সকাল
বসুন্ধরা সিটিতে গেলাম বিকাল নাগাদ । যাব সকালে, কিন্তু অপরুপ বৃষ্টি একটু থামিয়ে দিল । ইস চমতকার লাগে এই সব দিন । সকালে যেমন, দুপুরে তেমন, বিকালেও তেমন । সবচেয়ে মজা ঠাটা পড়া রোদ নেই । আজ রমনা পার্কে যাওয়া হলনা । ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল সাড়ে সাতটা । মনে পড়ল শালিকের বাচ্চা টার কথা । কাঠ বিড়ালীর বাচ্চাটার কথা । নবনীতার আম্মুর কবুতর গুলোর কথা ।
একদিন দেখি রমনা পার্কে কাঠবিড়ালীর বাচ্চাকে কাক এটাক করেছে । দৌড়ানো বাদ দিয়ে দাড়িয়ে থেকে সেটাকে পাহারা দিলাম কাক বেটা যেতে চায়না । তিনদিন আগে একটা শালিকের বাচ্চা উড়তে পারেনা সেটাকে ধাওয়া করেছে কাক । উপরে বাচ্চা শালিকটার বাবা মা চিতকার করছে । পরে সেটাকে একটা গাছের গর্তে ঢুকানো হল যাতে কাক বেটা খেতে না পারে ।
কাক ওদের খাবে এটা প্রকৃতি । বা বাস্তুসংস্থান । কিন্তু মানতে কষ্ট হয় । কত পাখি দেখিনা এই কাউয়া বেটা কে ঠিকি দেখা যায় । এরা এদেশের পলিটিশিয়ানদের মত ।
বসুন্ধরাতে ঢুকলাম । আগে মনে হয় হাতে হাতে টাকা নিত পাকিং এ ঢোকার সময় । এখন বার কোড সিসটেম । বল্লাম টাকা দেবনা । উওর বের হবেন যে গেটে সেখানে দেবেন । কার্ড টা রেখে দ্যান । বারকোর্ড প্রিন্ট হওয়া কার্ড টা রেখে দিলাম । মোস্তফা থেকে বের হয়ে আর এক গেট দিয়ে বের হবার সময় বল্ল যেহেতু টাকা দেননি যেখান দিয়ে ঢুকেছেন সে গেটে যান টাকা নেবে ।
আবার এপাশ ওপাশ ঘুরে সেই গেটে এলাম । এই গেটে বলে গাড়ী সাইডে রাখেন টাকা মাঝের রুমে দিয়ে আসেন । এই সার্কাস করতে মিনিমাম ৩৫ মিনিট গেল । বের হব সামনে এক আর্মীর পাজেরো । পান্থপথে পার্কিং করে রেখেছে । মেজাজ টা আরও খারাপ হল এদের সেনানিবাসে আমরা সিভিলিয়ান ঢুকলে আইন মানানো হয় । আর এরা বাইরে এসে নিজেরাই আইন মানেনা ।
একবার সেনাসদরে যাবার অভিংগতা হয়েছিল । আমি সেনাসদরে ইন লেখা দেখে ঢুকতে গেছি । সামনে এসএমজি নিয়ে দাড়ানো ডিউটি ম্যান আমাকে যেমনে ঝাড়ি মারল আমি থ । ঝাড়ির সাথে বল্ল ওই যে ওখানে পার্কিং ওখানে নিয়ে যান । আবার ঘুরে সেখানে পার্কিং করলাম । হেটে হেটে আসতেছি সেনাসদরের দিকে । কারও একজনের বাশীর শব্দে তার দিকে তাকালাম । আবার ঝাড়ি হাটা লেন চোখে দেখেন না । হাটা লেন দিয়ে আসেন । শেষে ফোনে যার কাছে গিয়েছি তাকে বল্লাম মাফ চাই দোয়া চাই । ভাই আপনি বাইরে আসেন । এখানে যুদ্ধবস্থা বিরাজমান । আমি দৌড়ের উপর আছি ।
পুরো জাতি দৌড়ের উপরে । হয়তোবা একশ বছর পরে পৃথিবীর কোন আশ্চর্য হিসেবে অভিভুত হতে পারি আমরা । কারন আমরা সব কিছুতে ফরমালিন খেয়ে বেচে আছি । হাভার্টের স্কুল অফ মেডিসিন কিংবা কেলটেকের কোন রিসার্চ ল্যাবে বের হবে বিংশশতকে বাংগালীর বেচে থাকা খাকা চীনের প্রাচীরের চেয়েও অসাধ্য ।
সো নবনীতার আম্মু মন খারাপ করনা । ৩০০০ সালে আমরা আশ্চর্যজনক জাতি হব । কেমন আছে তোমার কবুতর গুলো । ওদের পায়ে বেধে কিছু ফরমালিন মিয়ানমারে পাঠাতে পারলে ভাল হত । একটা জীবন বাচানো যেত ।
ইসকাটন
ঢাকা
১/৬/২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১১৩৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সবাই চলে গায়ের জোড়ে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন